‘হোম অফিস’ করার আইনি অধিকার দিচ্ছে যে দেশ

মজার খবর স্পেশাল

জুলাই ১৩, ২০২২ ২:০৯ অপরাহ্ণ

করোনা মহামারি পর্বে চাকুরিজীবীদের জন্য বাড়ি থেকে কাজের (ওয়ার্ক ফর্ম হোম) নতুন ধারা তৈরি হয়েছে। সংক্রমণ মোকাবিলা করতে অফিস গিয়ে নয়, বাড়ি থেকেই চলেছে কাজকর্ম। পরে করোনা সংক্রমণ কমে গেলে বাসা থেকে কাজ করার সুযোগ বাতিল করে প্রতিষ্ঠানগুলো। তবে করোনায় আক্রান্ত বা শারীরিক অসুস্থতার কারণে অনেক কর্মী এখনো বাসা থেকে কাজ করার আবেদন জানান। কিছু প্রতিষ্ঠান মানবিক দিক বিবেচনা করে অনুমতি দিলেও অনেক প্রতিষ্ঠান এখন আর তা দেয় না। কর্মী ও প্রতিষ্ঠানের এসব জটিলতা কাটাতে ইউরোপের দেশ নেদারল্যান্ডসে হোম অফিস আইন চালু হচ্ছে।

সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে জানা গেছে,  গত সপ্তাহে ডাচ্‌ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে হোম অফিস বিল পাস হয়েছে। এখন বিলটি সিনেটের অনুমোদন পেলেই দেশটিতে হোম অফিসের বিষয়টি আইনি স্বীকৃতি পাবে।

জানা গেছে, দেশটিতে কোনো কর্মী হোম অফিস করার আবেদন জানালে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান সেই আবেদন খারিজ করে দিতে পারে। নতুন আইন সিনেটের অনুদোন পেলে কর্মীর এই আবেদন প্রতিষ্ঠানকে রাখতেই হবে। এরপরও যদি প্রতিষ্ঠান কর্মীকে সেই অনুমতি না দেয়, তাহলে উপযুক্ত কারণ দেখাতে হবে।

নেদারল্যান্ডসের প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য ও হোম অফিস বিল উত্থাপনকারীদের একজন সেনা মাতুগ বলেন, আইনটি অনুমোদন পেলে কর্মীরা ভালো কর্মজীবনের ভারসাম্য খুঁজে পাবেন এবং অফিসে যাতায়াতে যে সময় ব্যয় হয়, তা অনেক কমে যাবে।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, মূলত নতুন বিলটি নেদারল্যান্ডসের ফ্লেক্সিবল ওয়ার্কিং অ্যাক্ট-২০১৫-এর একটি সংশোধনী। এই সংশোধনীতে কর্মীদের কাজের সময়, অফিসের সময়সূচি, এমনকি কাজের স্থান পরিবর্তনের সুযোগ রাখা হয়েছে। করোনা সংক্রমণ কমে যাওয়ায় বিশ্বে যখন হোম অফিস থেকে কর্মীদের অফিসে সশরীর হাজির হয়ে কাজ করানোর চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে, ঠিক সেই সময় নেদারল্যান্ডস কর্মীদের সুবিধা দিতে হোম অফিস আইন চালু করতে যাচ্ছে।

এমনিতেই সারা বিশ্বের প্রতিষ্ঠানগুলোকে হোম অফিস থেকে কর্মীদের অফিসে সশরীর ফিরিয়ে আনতে বেগ পেতে হচ্ছে। দীর্ঘদিন বাড়িতে বসে কাজ করায় অনেক কর্মীই আর অফিসে ফিরতে চাইছেন না। অফিসে ফেরার নির্দেশনা পেয়ে অনেক কর্মী চাকরিও ছেড়ে দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতাপ্রতিষ্ঠান টেসলার প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্ক নির্দেশ দিয়েছেন, কর্মীদের হোম অফিস থেকে সশরীর অফিসে ফিরতে হবে, না হলে তাদের চাকরি ছাড়তে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *