সুনাক-বরিসের মধ্যে কার পাল্লা ভারী?

সুনাক-বরিসের মধ্যে কার পাল্লা ভারী?

আন্তর্জাতিক স্লাইড

অক্টোবর ২২, ২০২২ ৭:৫২ পূর্বাহ্ণ

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস বৃহস্পতিবার পদত্যাগ করার পর নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ নিয়ে এখন আলোচনা চলছে দেশটিতে।  কনজারভেটিভ পার্টি যেহেতু এখন ক্ষমতায় আছে ফলে তাদের মধ্যে থেকেই কেউ একজন প্রধানমন্ত্রী হবেন।

নতুন দলীয় প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে এখন কনজারভেটিভ পার্টির মধ্যে এক সপ্তাহের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

বৃহস্পতিবার কনজারভেটিভ পার্টির নীতি নির্ধারণী ১৯২২ কমিটি জানায়, দলীয় প্রধান ও পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার নির্বাচনে অংশ নিতে চাইলে কমপক্ষে ১০০ জন এমপির সমর্থন লাগবে। নয়ত নির্বাচনে অংশ নেওয়া যাবে না। এমন নিয়ম হওয়ায় সর্বোচ্চ তিনজন প্রধানমন্ত্রী হওয়ার নির্বাচনে লড়াই করতে পারবেন।

গণমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, ১০০ জন এমপির সমর্থন পাওয়ার দিক দিয়ে এখন সবচেয়ে এগিয়ে আছেন ঋসি সুনাক। দ্বিতীয় স্থানে আছেন বরিস জনসন। তৃতীয় স্থানে আছেন পেনি মর্ডান্ট।

আগামী সোমবার পর্যন্ত এমপিরা তাদের সমর্থনের বিষয়টি জানাতে পারবেন।

শুক্রবার বাংলাদেশ সময় রাত ৮টা পর্যন্ত ঋসি সুনাককে সমর্থন জানিয়েছেন ৫৬ জন এমপি। ৩৩ জন সমর্থন দিয়েছেন বরিস জনসনকে। আর পেনি মর্ডান্টকে সমর্থন দিয়েছেন ১৭ জন।

মানে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত টিকে থাকতে পারেন ঋসি সুনাক এবং বরিস জনসন।

বরিস জনসন মাত্র তিন মাস বাধ্য হয়ে প্রধানমন্ত্রিত্ব ছাড়েন। পার্টিগেটসহ নানান ক্যালেঙ্কারিতে জর্জরিত হওয়ার পর সরে যেতে হয় তাকে।  এরপর ক্ষমতায় আসেন লিজ ট্রাস। কিন্তু তিন মাস পর ট্রাসও ক্ষমতা হারান।  এরপর অপ্রত্যাশিতভাবে আবার বরিসের নাম উচ্চারিত হচ্ছে।

তবে আদৌ বরিস প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতায় আসতে পারবেন কিনা এ নিয়ে আছে সন্দেহ।

যদিও বর্তমান প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেন ওয়ালেস সরাসরি বরিসকে সমর্থন জানিয়েছেন। বর্তমান মন্ত্রীসভার বাণিজ্য মন্ত্রীও বরিসকে প্রকাশ্যে সমর্থন জানিয়েছেন।

তবে এমপিদের মধ্যে জনসমর্থন বেশি ঋসি সুনাকের। তিনি কনজারভেটিভ পার্টির সর্বশেষ নির্বাচনে লিজ ট্রাসের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে দ্বিতীয় হয়েছিলেন। এখন নতুন নির্বাচনেও বেশিরভাগ এমপির সমর্থন তিনিই পাচ্ছেন।

বরিস জনসন ক্ষমতা ছাড়ার আগে তার বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট হয়েছিল। সেখানে ১৪৮ জন এমপি তার বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছিলেন। সেই এমপিরা তিন মাস পরেই আবার বরিসকে সমর্থন দেন কিনা এটি দেখার বিষয়।

তবে এমপিদের মধ্যেই কেউ কেউ বলছেন বরিস জনসন ২০১৯ নির্বাচনে বিপুল জনসমর্থন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। কিন্তু তাকে তার দায়িত্ব শেষ করার আগেই সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফলে তাকে তার দায়িত্ব শেষ করার সুযোগ দেওয়া উচিত।

তবে যুক্তরাজ্যের বর্তমান বিরোধী দল লেবার পার্টি বরিস জনসনের ফেরার বিষয়ে তীব্র বিরোধীতা জানিয়েছে। বিরোধী দলীয় নেতা কেয়ার স্টেরমার বলেছেন, মাত্র তিন মাস আগে বরিস ‘আনফিট’ বলে ঘোষণা দিয়েছিল তারই দলের সদস্যরা। ফলে এখন যদি তারা তাকে সমর্থন দেন তাহলে এটি হবে লজ্জাজনক। কেয়ার স্টেরমার বলেছেন বরিস জনসন ফিরে আসলে আগাম সাধারণ নির্বাচনের বিষয়টি আরও ত্বরান্বিত হবে।

সূত্র: বিবিসি, দ্য গার্ডিয়ান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *