নেতারা নিষ্ক্রিয়, শঙ্কায় বিএনপি

রাজনীতি স্লাইড

জুলাই ১১, ২০২২ ৯:১৫ পূর্বাহ্ণ

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বেচ্ছাচারিতা ও সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে অসম্মানসূচক আচরণে দিন দিন নিষ্ক্রিয় হচ্ছেন দলটির ত্যাগী নেতারা। ফলে ঈদের পর ডাকা আন্দোলন আবার ভেস্তে যাওয়ার শঙ্কায় রয়েছে বিএনপি।

নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াপন্থী সিনিয়র নেতাদের ওপর সুযোগ পেলেই খড়গ চালান তারেক রহমান। সিনিয়রদের ওপর মাঝে মাঝে বেশ চড়াও হন তিনি। তার স্বেচ্ছাচারিতা ও অসম্মানসূচক আচরণের কারণে দলীয় কর্মকাণ্ডে দুই পা এগোতে গিয়ে তিন পা পেছনে যান নেতারা। এ পরিস্থিতিতে ঈদের পর ডাকা আন্দোলন ব্যর্থ হওয়ার আশঙ্কা করছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সূত্র আরো জানায়, বিএনপি মহাসচিব মনে করছেন, দলের প্রথম ও দ্বিতীয় সারির নেতারা যেভাবে নিষ্ক্রিয় হচ্ছেন তাতে আন্দোলনের জন্য কর্মী জোগাড় কঠিন হবে। এরই মধ্যে তিনি দফায় দফায় দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির সব নেতাসহ ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। কিন্তু সিন্ডিকেট নেতৃত্বের কারণে একজন আন্দোলনে যোগ দেওয়ার মত দিলে আরেকজন পিছিয়ে যাচ্ছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক সদস্য বলেন, আমরা জনসম্পৃক্ত ইস্যুকে কেন্দ্র করে আন্দোলন করতে অক্ষম হয়েছি। শীর্ষ নেতাদের সঙ্গেও অন্য নেতাদের ভালো সমন্বয় ঘটাতে পারিনি। সবাই মনে ক্ষোভ নিয়ে আছেন। মূলত নেতাদের ক্ষোভটি হচ্ছে- তারেক রহমানের একচেটিয়া কর্তৃত্ব ও অসদাচরণ। ক্ষোভ দূর করতে না পারলে ঈদের পর ডাকা আন্দোলন ভেস্তে যাবে, যা মহাসচিব আমাদের অবগত করেছেন।

ইস্যু ছাড়া আন্দোলন হবে কীভাবে- এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমাদের হাতে ভালো কোনো ইস্যু নেই যে, আন্দোলন করে সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে পারবো। খালেদা জিয়ার চিকিৎসার দাবিতে আন্দোলন করবো। সেখান থেকে কোনো ঘটনা ঘটলে ইস্যু সৃষ্টি হতে পারে। ইস্যু সৃষ্টির চেষ্টা তো করাই যায়!

বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য বলেন, তারেক রহমান একাই দল পরিচালনা করছেন। তিনি অন্যদের মতামতকে তোয়াক্কা করেন না। কারো বক্তব্য শোনেন না। লন্ডন থেকে একটি করে বাণী হাজির করছেন এবং সেটি সবাইকে পালন করতে বাধ্য করছেন তারেক।

তিনি আরো বলেন, স্থায়ী কমিটির কার্যক্রম খুবই মন্থর। কমিটির বৈঠকে শুধু তারেক রহমানের বক্তব্যই প্রচার হয়। একইসঙ্গে তার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হয়। এ পরিস্থিতিতে নেতারা সবাই চুপসে আছেন। এতে ঈদের পর ডাকা আন্দোলনের সম্ভাবনা ক্ষীণ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *