নাসিরনগরে আদালতের নিষেধাজ্ঞার পরও চলছে ব্রীজ নির্মান

দেশজুড়ে

জানুয়ারি ২৩, ২০২৩ ১১:২৬ পূর্বাহ্ণ

মোঃ আব্দুল হান্নান,নাসিরনগর,

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে আদালতের নিষেধাজ্ঞার পরও চলছে ব্রীজ নির্মানের কাজ।ঘটনাটি ঘটেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার সদর ইউনিয়নের নাসিরপুর কুকুরিয়া খালের পূর্বপাশে।ঘটনার বিবরণে জানা গেছে কুকুরিয়া খালের পাড়ে সাবেক ২৪৭৫ ও হালে বিএস ৫৩৫৬ দাগের ৩০১ নাল,সেঃ মেঃ ৫৩৫৭ দাগে নাসিরপুর গ্রামের নারায়ন চন্দ্র বিশ্বাসের ছেলে সত্যরজ্ঞন বিশ্বাসের খরিদ সুত্রে ৬৯ শতক নাল ভূমি রয়েছে।যার উত্তরে খাল,দক্ষিনে আব্দুল মোতালিব পূর্বে রাস্তা পশ্চিমে কুকুরিয়া খাল।যার মালিকানা নিয়ে সরকারের সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ বিজ্ঞ আদালতে মামলা চলমান রয়েছে।২০১৫ সালে বিজ্ঞ সিনিয়র সহকারী জজ আদালত সত্য রঞ্জন বিশ্বাসের পক্ষে প্রথম রায় প্রদান করেন। পরবর্তীতে সরকারের পক্ষ থেকে আপিল করা হলেও২৮ নভেম্ভর ২০২২ তারিখে আবারো আপিলের রায় সত্য রঞ্জনের বিশ্বাসে পক্ষে রায় দেয় আদালত।
কিন্তু আদালতের নিষেধাজ্ঞার পরও উক্ত খালের উপরে ভেকু দিয়ে মাঠি কেটে চলছে ব্রীজ নির্মানের কাজ।আবারো ব্রীজ নির্মান বন্ধের জন্য সত্যরঞ্জন বিশ্বাস ১৯ জানুয়ারী ২০২৩ তারিখে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা রুজু করলে ওই দিনই আদালত নিষেধাজ্ঞা জারী করেন।
তাছাড়াও আইনশৃংখলা রক্ষার স্বার্থে ২১ জানুয়ারী সত্যরঞ্জন বিশ্বাস বাদী হয়ে নাসিরনগর থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করলে এস আই মোঃ ইছহাক সরেজমিন ঘটনাস্থলে গিয়ে ভেকু দিয়ে মাঠি কাটা বন্ধ করে দিয়ে আসেন।

এবিষয়ে জানতে চাইলে সত্য রঞ্জন বিশ্বাস বলেন ২৪৭৪ দাগে ১৬৫ শতাংশ জায়গা থেকে সরকার ব্রীজ ও খালের জন্য গোগাম শ্রেনীর জায়গা একুয়ার করলেও অজ্ঞাত কারনে আমার মত নিরীহ ও অসহায় মানুষের জায়গা কেন জোর পূর্বক দখলের চেষ্টা চলছে আমা জানি না।তিনি আরো বলেন ম্যাপে রাস্তাটি সোজা থাকলেও বর্তমানে একটি কুচক্রী মহলে ইঙ্গিতে ব্রীজটি ব্যাকা করে আমার জায়গা দখলের চেষ্টা করছে।তিনি এ বিষয়ে আদালতের ন্যায় বিচার প্রার্থনা করছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নাসিরনগর উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী মোঃ ইছহাক মিয়া বলেন আমি আমিন সাথে নিয়ে গিয়ে জায়গাটি একুয়ার করার প্রস্তাব দিয়েছি।তাদের কাগজ পত্র সঠিক থাকলে সরকার উপযুক্ত মুল্য পরিশোধ করতে বাধ্য রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *