সেপ্টেম্বর ২০, ২০২২ ৯:০৯ অপরাহ্ণ
নিজস্ব প্রতিবেদক,
রাজধানীর কলাবাগান থানার আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিকী সন্মেলন গত ১৩ সেপ্টেম্বর(মঙ্গলবার) স্থানীয় সরকারি স্টাফ কোয়ার্টার মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এখন ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টির লক্ষ্যে নেতা নির্বাচনের প্রক্রিয়া। ১৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কে হচ্ছেন সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এ নিয়ে নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে চলছে নানা হিসাব-নিকাশ।চলছে চুল চেরা বিশ্লেষণ। খুপরি চায়ের দোকান থেকে শুরু করে রাজনৈতিক অঙ্গনজুড়ে চলে এই নিয়ে আলোচনা।
সরেজমিনে ঘুরে জানাগেছে, ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ব্যাপক আলোচনায় রয়েছেন সৈয়দ ওমর ফারুক সায়মন এর নাম। আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের প্রথম পছন্দের সাধারণ সম্পাদকের তালিকায় আছেন যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক সায়মন। তাদের প্রাণের দাবি সায়মনকে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হোক।
খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, ওমর ফারুক সায়মন এর বাবা একজন বীরমুক্তিযোদ্ধা ও ঐতিহ্যবাহী আওয়ামী লীগ পরিবার। তিনি কলাবাগানের ১৬ নাম্বার ওয়ার্ডের গ্রীন রোডের গ্রীণ কর্নার এলাকার বাসিন্দা। ছোটকাল থেকেই বিভিন্ন সামাজিক ও ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে ওতপ্রতভাবে জড়িত। দলের দুঃসময়ে লড়াই সংগ্রামে রাজপথে থেকে আন্দোলন করে আসছেন।তিনি নিউ মডেল ডিগ্রি কলেজের সাবেক প্রচার সম্পাদক,১৬ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি,বৃহত্তর ধানমন্ডি থানা ছাত্রলীগের সাবেক ১ নম্বর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক,জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে একাধিকবার পরিচালনা কমিটির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক, গ্রীন কর্নার ইউনিটি ভোট কেন্দ্রের নির্বাচনী পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও ১৬ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি হিসেবে দীর্ঘদিন দ্বায়িত্ব পালন করে আসছেন।
স্থানীয় নেতাকর্মীদের দাবী, যুবলীগ নেতা সৈয়দ ওমর ফারুক সায়মন ছাত্র রাজনীতি থেকেই একজন পরিচ্ছন্ন জনবান্ধন ও কর্মীবান্ধব নেতা। যা এলাকায় সর্বজন স্বীকৃত। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জননেত্রী শেখ হাসিনার ক্ষেত্রে তিনি একজন আপোষহীন, পরীক্ষীত নেতা। নিজে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাজপথের লড়াকু সৈনিক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন বারবার। এছাড়াও তিনি ঢাকা-১০ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য,দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিষ্টার শেখ ফজলে নুর তাপস এর একনিষ্ঠ ও বিশ্বস্ত কর্মী। মহামারী করোনা কালীন সময়ে মেয়র ফজলে নুর তাপসের নির্দেশনায় অত্র এলাকার গরীব-দুঃখী অসহায় মানুষের পাশে থেকে সকল প্রকার সাহায্য সহযোগিতা করে মানুষের মন জয় করেছেন। এছাড়াও তিনি মেয়রের পক্ষ থেকে গরীব অসহায়দের সাধ্যমতো সাহায্য সহযোগিতা করে চলেছেন অবিরাম। নেতাকর্মী ও দলের যেকোনো বিপদে-আপদে নিঃস্বার্থভাবে ছুটে যান। তাই সব মিলিয়ে ওমর ফারুক সায়মনকেই ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে চান নেতাকর্মীরা।
এ ব্যপারে কলাবাগান থানা ছাত্রলীগের সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাওলাদার মোঃ সাকিব বলেন, যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক সায়মন একজন কর্মী বান্ধব নেতা। রাত-বিরেতে যখন কোন নেতাকর্মী কিংবা অসহায় মানুষের বিপদে তিনি হাত পা গোটায়ে বসে থাকেন না। তিনি সকলের সুখে-দুঃখে তার পাশে দাড়ান যা তার বড় গুন। দলের আন্দোলন সংগ্রাম ও যেকোনো প্রোগ্রামে সায়মন ভাই বড় ভুমিকা রাখেন।
কলাবাগান থানা সেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ জামাল হোসেন বলেন, যুবলীগ নেতা সায়মন ভাইয়ের কোন বদনাম নেই। তিনি কোন খারাপ কাজের সাথে জড়িত হন না। খারাপ কাজের জড়িত কাউকে তিনি প্রশ্রয় দেন না। দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিষ্টার শেখ ফজলে নুর তাপস ভাইয়ের আদর্শকে বুকে ধারণ করে তিনি ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের রাজনীতি করেন। সবদিক বিবেচনা করে সায়মন ভাইকে সাধারণ সম্পাদকের দ্বায়িত্ব দিলে দল ও সংগঠন শক্তিশালী হবে।
১৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী সেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি আব্দুর রহমান নিরব ও সাধারণ সম্পাদক শাকিল আহামেদ জানান, দল ও সংগঠন শক্তিশালী করার পাশাপাশি শেখ ফজলে নুর তাপস ভাইয়ের হাতকে শক্তিশালী করতে হলে সায়মন ভাইকে সাধারণ সম্পাদকের কোন বিকল্প নেই।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক সায়মন বলেন, আমি বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার একজন ক্ষুদ্র কর্মী। আমি পদের চেয়ে দলকে বেশি ভালোবাসি। আমার নেতা ও আদর্শ ঢাকা-১০ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র, জননেতা ব্যারিষ্টার শেখ ফজলে নুর তাপস। আজীবন তার ছায়াতলে থাকতে চাই। তিনি আমাকে তার ক্ষুদ্র একজন কর্মী হিসেবে যখন যেখানে যে দ্বায়িত্ব দিবেন আমার জীবন দিয়ে হলেও চেষ্টা করবো তার আদর্শ ও দ্বায়িত্ব পালন করতে।