বাহুবলী দিয়ে যেমন সুপারস্টারে পরিণত হয়েছেন দক্ষিণের অভিনেতা প্রভাস। তেমনি ‘কেজিএফ: চ্যাপ্টার ওয়ান’ দিয়ে তুমুল আলোচিত হন দক্ষিণের আরেক অভিনেতা যশ।
এর আগে অনেক ছবি উপহার দিলেও ২০১৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘কেজিএফ: চ্যাপ্টার ওয়ান’ দিয়ে আকাশচুম্বী খ্যাতি পান যশ।
২০১৮ সালে মুক্তি পাওয়া ‘কেজিএফ-১’-এর সাফল্যের পর এই সিনেমার দ্বিতীয় পর্বের মুক্তির অপেক্ষায় দিন গুনছিলেন দর্শকেরা। অবশেষে দীর্ঘ অপেক্ষার পর ২০২২ সালের ১৪ এপ্রিল ‘কেজিএফ-২’ মুক্তি পায়।
১০০ কোটি টাকা বাজেটের ছবিটি এক মাসের মাথায় বক্স অফিস থেকে প্রায় ১২০০ কোটি টাকা আয় করেছে।
বক্স অফিস কাঁপিয়ে এখনও ‘কেজিএফ-২’ রমরমিয়ে ব্যবসা করে চলেছে সিনেমা হলগুলোতে। ইতোমধ্যে এই বছরের অন্যতম সফল ছবি হিসাবে পরিচিতিও পেয়েছে।
সিনেমাটির কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন যশ। এই ছবিকে সাফল্যের শিখরে পৌঁছে দেওয়ার পিছনে মুখ্য চরিত্র যশের যথেষ্ট অবদান রয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক পেয়েছেন তিনি।
ভারতীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, ‘কেজিএফ ২’ সিনেমার জন্য তিনি পেয়েছেন ২৫ থেকে ২৭ কোটি রুপি। ফলে স্বাভাবিকভাবেই যশের সঞ্চিত অর্থের পরিমাণও বেড়েছে। বর্তমানে তিনি ৫৩ কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক।
সূত্রের খবর, সম্প্রতি কয়েকটি দামি গাড়ি কিনেছেন যশ। বেঙ্গালুরু শহরের বুকে একটি বিলাসবহুল ডুপ্লে বাড়িও কিনেছেন।
জানা যায়, এই বাড়ির মূল্য ৬ কোটি টাকা। যশ এবং তার স্ত্রী দুই সন্তানসহ ওই বাড়িতেই থাকেন। এ ছাড়াও অডি, বিএমডব্লিউ-র মতো নানা দামি গাড়ি রয়েছে তার।
এর মধ্যে রয়েছে ৮০ লাখ টাকা মূল্যের অডি কিউ৭, ৭০ লাখ টাকা মূল্যের বিএমডব্লিউ ৫২০ডি এবং ৪০ লাখ টাকা মূল্যের পজেরো স্পোর্টস। এছাড়া ৮৫ লাখ টাকা দিয়ে মার্সিডিজ বেঞ্জ জিএলএস এবং ৬০ থেকে ৮০ লাখ টাকা মূল্যের একটি রেঞ্জ রোভারও কিনেছেন।
এছাড়া ‘ভিলেন’ নামে একটি ব্র্যান্ড চালু করেছেন যশ। যেখানে পুরুষদের বিভিন্ন রকমের সুগন্ধি, মানিব্যাগ, গলার চেইন, হাতে পরার ব্রেসলেট, সানগ্লাস, জামা-কাপড় ইত্যাদি পাওয়া যায়।
‘কেজিএফ-১’-এর সাফল্যের পর বিজ্ঞাপন মহলে যশের চাহিদা ক্রমশ বাড়ছিল। তবে দ্বিতীয় পর্বের পর তার চাহিদা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে প্রতিটি বিজ্ঞাপনে ৬০ লাখ টাকা থেকে প্রায় ১ কোটি টাকা ধার্য করেন যশ।