নভেম্বর ১৪, ২০২২ ৯:০০ পূর্বাহ্ণ
ইংল্যান্ড-পাকিস্তান ফাইনালের মধ্যে দিয়ে পর্দা নামলো টি-২০ বিশ্বকাপের অষ্টম আসরের। পাকিস্তানকে ৫ উইকেটে হারিয়ে দীর্ঘ এক যুগ পর শিরোপা ঘরে তুলে ইংলিশরা। আর পুরো টুর্নামেন্টে অসাধারণ বোলিং করে ম্যান অব দ্যা ম্যাচসহ টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কার জিতে নেন স্যাম কারান।
বিনা যুদ্ধে নাহি দিব সূচাগ্র মেদিনী- এই মন্ত্রে দীক্ষিত হয়েই যেন অষ্টম টি-২০ বিশ্বকাপের শিরোপা লড়াইয়ে মাঠে নেমেছিল পাকিস্তান ও ইংল্যান্ড। দুই দলের সর্বোচ্চ চেষ্টার লড়াইয়ে শেষ হাসি হাসে ইংলিশরা। একইসঙ্গে জিতে নেয় টি-২০ বিশ্বকাপে নিজেদের দ্বিতীয় শিরোপাও।
মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে প্রথমে ব্যাট করে ৮ উইকেটে ১৩৭ রান সংগ্রহ করেছিল পাকিস্তান। জবাবে ৫ উইকেট হারিয়েই লক্ষ্যে পৌঁছায় ইংল্যান্ড, হাতে ছিল আরো ৬ বল।
এর মাধ্যমে যেন ইতিহাসের প্রতিশোধ নিল ইংলিশরা। ৩০ বছর আগে ১৯৯২ সালের বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল পাকিস্তান। ফাইনালের আগে সবকিছুর সঙ্গে মিল রেখে এগিয়েছিল বাবর আজমের দল। তবে শেষ দানে সব উল্টে দিয়েছেন জস বাটলার-বেন স্টোকসরা।
মেলবোর্নে টস জয়ের পরই যেন চ্যাম্পিয়নশিপের মুকুটে মাথাটা গলিয়ে দিয়েছিলো ইংল্যান্ড। বাকি কাজটুকু সেরে দেন স্যাম কারান। তরুণ এই পেসারের হাতেই আর সবচেয়ে বেশি মার খেতে হলো পাকিস্তানি ব্যাটারদের। ৪ ওভার বল করে দিলেন মাত্র ১২ রান। উইকেটও নিলেন তিনটি।
তুলে নেন মোহাম্মদ রিজওয়ান, শান মাসুদ এবং মোহাম্মদ নওয়াজের মত ব্যাটারদের।
শেষ দিকে রান তাড়া করতে গিয়ে বেন স্টোকসও অসাধারণ পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন। ৪৯ বলে করেছেন অপরাজিত ৫২ রান। স্টোকসের এই অসাধারণ ব্যাটিং সত্ত্বেও ফাইনালের জন্য সেরা হিসেবে স্যাম কারানকেই বেছে নিলেন বিচারকরা। কারণ, কারানের আজকের এই বোলিংয়ের কারণেই ১৩৭ রানে থামে পাকিস্তান।
কেবল ম্যাচ সেরাই নন, পুরো টুর্নামেন্টে অসাধারণ বোলিং করে টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কারও জিতে নিয়েছেন তিনি।
বল হাতে টুর্নামেন্টজুড়ে নিয়েছেন সর্বোচ্চ ১৩ উইকেট। ইংল্যান্ডকে চ্যাম্পিয়ন করার পেছনে তার এটা অনেক বড় একটি অবদান।