রিপন মজুমদার জেলা প্রতিনিধি
মহালয়ার মধ্যে দিয়ে দেবি দুর্গার আগমন ঘটে অশ্রুসিক্ত নয়নে দেবিকে বিদায় জানাছে ভক্তরা।র্তলোকে। ষষ্ঠী পুজার মধ্যে দিয়ে শুরু হয় শারদীয় দুর্গাপূজার উৎসব শেষ হয়েছে দশমীর মধ্যে দিয়ে। এবার দেবী স্বর্গ লোক থেকে মর্তে এসেছিলেন হাতিতে চড়ে এবং ফিরে যাবেন নৌকায়। দশমীর পুজার পুরোহিতের মন্ত্র উচ্চারণ ও ঢাকের তাল জানিয়ে দেয় আজ দশমী কিছুক্ষণ পরেই মা দেবী দুর্গা চলে যাচ্ছেন তাই ভক্তদের মনে বাজছে বিশাদ আর বেদনার সুর।
বিশুদ্ধ পঞ্জিকা মতে বুধবার সকাল ৯টায় দশমী বিহিত পূজা ও পূজা শেষে দর্পণ বিসর্জনের মধ্য দিয়ে দশমীর পূজা শেষ হচ্ছে। যদিও গত দু বছর একদিকে করোনা অন্ন দিকে গত বছর ১৫ই আগষ্টে কুমিল্লায় হিন্দুদের দুর্গা মণ্ডপে পবিত্র কোরআন রাখাকে কেন্ড করে নোয়াখালীতে যে হিংস্রতা ঘটেছিল সেই আতঙ্ক এখনো কাটেনি বলে পুজার আনন্দ সেভাবে করতে পারেনি সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। এবারও নোয়াখালীতে ১৮০টি মন্ডবে জাঁকজমকপূর্ণ পরিবেশে উদযাপিত হয়েছে শারদীয় দুর্গাপূজা।
আজ মহা দশমীতে বাঙ্গালী নারীরা দশমী পুজার পরে দেবীকে সিঁদুর রাঙ্গিয়ে দিয়ে একে অপরকে সিঁদুর রাঙ্গিয়ে দেন। পুরোহিত বলেন সকালে দশমীর পূজা শেষে বিকারে বিসর্জন হবে। এরপর আমাদের মা বোনেরা সিঁদুর খেলবেন। তারপর বিকাল ৪টার দিকে মা দেবী দুর্গাকে নিয়ে যাবে নদির ঘাটে।
সেখান থেকে দেবীকে নৌকায় তুলে শুরু হবে শোভাযাত্রা আর সন্ধ্যায় দেবীকে যার যার সুবিধা মতে বিসর্জন দেওয়া হবে নদীর জলে। সধবা নারীরা স্বামী ও সংসারের মঙ্গল কামনায় দশমীর দিনে নিজ কপালে সিঁদুর লাগান এবং সেই সিঁদুরের কিছু অংশ অঞ্জলী দেন দেবীর চরণে। তারপর সবাই মিলে একে অপরকে সিঁদুর মাখিয়ে দেন। দেবীদুর্গা আগামী বছর আবার সাথে করে শাঁখা সিঁদুর সঙ্গে নিয়ে আসবেন এবং সেই শাঁখা সিঁদুর ধারণ করেই স্বামী সহ সংসারেরি মঙ্গল হবে এই বিশ্বাসে ভক্তরা সিঁদুর নিয়ে দশমী পুজা উদযাপন করেন। এই উৎসবের নামই সিঁদুর খেলা। এই সিঁদুর খেলায় বিবাহিত নারীর জন্য সীমাবদ্ধ থাকলেও ছেলেরাও সহ সকলেই মণ্ডপে ভিড় করেন এবং ঢাকের তালে নেচে গেয়ে এতে অংশ নেন।