বর্ণাঢ্য জীবনের অধিকারী ছিলেন আকবর আলি খান

জাতীয় স্লাইড

সেপ্টেম্বর ৯, ২০২২ ৭:১১ পূর্বাহ্ণ

না ফেরার দে‌শে চ‌লে গে‌লেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা, খ্যাতিমান অর্থনীতিবিদ ও বিশিষ্ট কলামিস্ট আকবর আলি খান। বৃহস্পতিবার রাত ১০টার পর রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর।

বৃহস্প‌তিবার রা‌তে এভার কেয়ার হাসপাতা‌লের জনসং‌যোগ বিভাগ যুগান্তর‌কে তার মৃত্যুর বিষয়‌টি নি‌শ্চিত ক‌রে‌ছেন।

আকবর আলী খান ১৯৪৪ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে জন্মগ্রহণ করেন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তিনি হবিগঞ্জের মহুকুমা প্রশাসক বা এসডিও ছিলেন। তি‌নি যুদ্ধকালীন সময়ে সক্রিয়ভাবে মুজিবনগর সরকারের সঙ্গে কাজ করেন।

২০০৬ সালে তিনি রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদের নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের একজন উপদেষ্টা ছিলেন। পরবর্তীতে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্ন না হওয়ার আশঙ্কায় তিনি তিনজন উপদেষ্টার সঙ্গে একযোগে পদত্যাগ করেন।

মেধাবী শিক্ষার্থী আকবর আলি খান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগে অধ্যয়ন করেছন।
সেখান ১৯৬৪ সালে সম্মান ও ১৯৬৫ সালে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন দুটিতেই প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হন।

১৯৬৭-৬৮ সা‌লে তিনি লাহোরের সিভিল সার্ভিস একাডেমিতে যোগ দেন। প্রশিক্ষণ শেষে ১৯৭০ সালে হবিগঞ্জ মহুকুমার এস. ডি. ও. হিসেবে পদস্থ হন।

যুদ্ধ শুরুর আগের অসহযোগ আন্দোলনে তিনি সমর্থন দেন। পাকিস্তান বাহিনীর আক্রমণ শুরু হলে হবিগঞ্জ পুলিশের অস্ত্র সাধারণ মানুষের মধ্যে বিতরণ করে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন এবং মুক্তিযুদ্ধে অনুপ্রাণিত করেন।

১৯৭১ সা‌লের ১৬ই ডিসেম্বরে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর দেশে প্রত্যাবর্তন করেন এবং সচিবালয়ে সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ে যোগ দেন।

অল্প সময়ের জন্য পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ে কাজ করে ১৯৯৩ এ সরকারের সচিব হিসাবে পদোন্নতি লাভ করেন। ১৯৯৩ থেকে ১৯৯৬ পর্যন্ত তিনি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৬ সালে তিনি অর্থ সচিব হিসাবে পদস্থ হন।

২০০১ সালে তিনি বিশ্বব্যাংকে বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসাবে বিকল্প কার্যনির্বাহী পরিচালক (অল্টারনেটিভ এক্সিকিউটিভ ডাইরেক্টর) পদে যোগদান করেন। বিশ্ব ব্যাংকে তিনি ২০০২ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত কাজ করেন।

বাংলাদেশে ইসলাম ধর্মের বিকাশ নিয়ে তার ‘হিস্টোরি অব বাংলাদেশ’ বা ‘বাংলাদেশের ইতিহাস’ বইটি খুব বিখ্যাত। এছাড়া, অর্থনীতি, সাহিত্যসহ সমসাময়িক বিষয় নিয়ে বহু গ্রন্থ রচনা করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *