ত্বকের ব্রণ থেকে রক্ত বের হলে কী অজু ভেঙে যায়?

ধর্ম

সেপ্টেম্বর ৫, ২০২২ ৮:১৩ পূর্বাহ্ণ

ত্বকে জমে থাকা ময়লা, তেল ও ব্যবহৃত প্রসাধনীর অংশ বিশেষ থেকে ব্রণ সৃষ্টি হয়ে থাকে। এছাড়া মানসিক চাপ, হরমোনের সমস্যা, বয়ঃসন্ধীর সময় কিংবা ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থেকেও ব্রণ হতে পারে।

চেহারা, কপালে ব্রণ উঠলে অনেক সময় আমরা তা গেলে দেই। আবার কখনো ব্রণ পেকে নিজে থেকেই রক্ত বের হয়। ব্রণ থেকে রক্ত বের হলে অজু ভেঙে যাওয়া নিয়ে একটি সন্দেহ তৈরি হয়।

কারণ, যেসব বিষয়ে অজু ভাঙে তার একটি হলো- শরীর থেকে রক্ত, পুঁজ বা পানি জাতীয় নাপাক কিছু বের হয়ে গড়িয়ে পড়া। এ নিয়ে ইসলামী সমাধান জানতে চান অনেকেই।

ইসলামী আইন ও ফিকাহ শাস্ত্র বিশেষজ্ঞরা বলেন, পেশাব-পায়খানার স্থান ছাড়া শরীরের অন্য কোথাও থেকে বের হওয়া বস্তু যদি নাপাক না হয়, তাহলে এর কারণে অজু ভাঙবে না। আর যদি নাপাক কিছু বের হয় তাহলে এর দ্বারা অজু ভাঙার জন্য শর্ত হলো, বের হওয়া নাপাক বস্তুটি নিজ স্থান থেকে বের হয়ে প্রবাহিত বা গড়িয়ে পড়তে হবে। যেমন, শরীরের কোনো যখম বা ক্ষতস্থান থেকে রক্ত, পুঁজ ইত্যাদি নির্গত হওয়া। -(আল-মাওসুআতুল ফেকহিয়্যাহ-৪৩/৩৮৬)

তাই ব্রণ থেকে রক্ত বের হওয়ার পর তা গড়িয়ে পড়লে অজু ভাঙবে, অন্যথায় এর কারণে অজু ভাঙবে না।

এ বিষয়ে হানাফি মাযহাবের নির্ভরযোগ্য কিতাব ফাতাওয়ায়ে শামীতে উল্লেখ করা হয়েছে, মানুষের পেশাব-পায়খানার স্থান দিয়ে কোনো কিছু বের হলে অজু ভেঙে যাবে, চাই সেটা অল্প পরিমাণেই হোক না কেন।

তবে শরীরের অন্য কোনো অঙ্গ বা জায়গা থেকে নাপাক কিছু বের হলে তা বের হওয়ার জায়গা থেকে প্রবাহিত হয়ে গড়িয়ে পড়তে হবে। আর যদি বের হয়ে গড়িয়ে না পড়ে তাহলে অজু ভাঙবে না।

ফুকাহায়ে কেরাম বলেন, যদি রক্ত বের হওয়া মাত্রই কেউ তা যখমের মুখ থেকে মুছে নেয়, তাহলে দেখতে হবে এই রক্ত না মুছে ছেড়ে দিলে তা প্রবাহিত হতো কিনা, প্রবাহিত হওয়ার সম্ভবনা থাকলে এর কারণে অজু ভাঙবে। আর যদি মনে হয় যে রক্ত না মুছলেও তা প্রবাহিত হতো না তাহলে অজু ভাঙবে না। -(রদ্দুল মুহতার, ফাতাওয়ায়ে দারুল উলূম-১/১১১)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *