৪৩ বছরে ৫৩ বার বিয়ে, অতঃপর…

মজার খবর স্পেশাল

সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২২ ৮:১০ পূর্বাহ্ণ

কথায় আছে জন্ম,মৃত্যু, বিয়ে– মানুষের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই তিনটি বিষয় বিধাতার হাতে।  তবে এই ব্যক্তির বিয়ে ভাগ্যের দিয়ে বিধাতা বোধহয় একটু বেশিই নজর দিয়েছিলেন।  তাইতো একবার, দুইবার কিংবা তিনবার নয়– ৪৩ বছরে মোট ৫৩ বার বিয়ে করেছেন আবু আব্দুল্লাহ।

তবে ব্যক্তিগত আনন্দ নয়, আব্দুল্লাহর এতোগুলো বিয়ে করার পেছনের কারণ ছিল স্থিতিশীলতা এবং মানসিক শান্তি। এমনটাই দাবি করেছেন সৌদি আরবের বাসিন্দা আব্দুল্লাহ।

এতোগুলো বিয়ে করার কারণে স্বাভাবিকভাবেই ‘শতাব্দীর সেরা বহুবিবাহকারী’ তকমা জুটেছে আব্দুল্লাহর কপালে। অবশ্য বর্তমানে একটিই স্ত্রী রয়েছে তার। আর বিয়ে করার পরিকল্পনা নেই বলেও সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন টেলিভিশন চ্যালেন এমবিসিকে জানিয়েছেন ৬৩ বছর বয়সী আব্দুল্লাহ।

এতোগুলো বিয়ে করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যখন আমি প্রথমবার বিয়ে করি, তখন আমার আর বিয়ে করার পরিকল্পনা ছিল না। আমি ভালোই ছিলাম। আমাদের সন্তানও হয়েছিল। কিন্তু কিছুদিন পর সমস্যা দেখা দেয় এবং আমার ২৩ বছর বয়সে আমি আবার বিয়ে করা সিদ্ধান্ত নেই। আমি আমার সিদ্ধান্তের কথা স্ত্রীকে জানাই।

কিন্তু দ্বিতীয়বার বিয়ের পর প্রথম ও দ্বিতীয় স্ত্রীর মধ্যে কলহ হয়। এই কারণে তৃতীয় ও চতুর্থ বিয়ে করেন তিনি। এরপর প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্ত্রীকে তালাক দেন আব্দুল্লাহ।

আব্দুল্লাহর দাবি তার এই বহুবিয়ের পেছনে ছিল এমন একজন নারী খোঁজার তাগিদ, যেই নারী তাকে সুখী করতে পারবে। তবে সব স্ত্রীর সঙ্গেই স্বচ্ছ থাকার চেষ্টা করেছেন বলে দাবি করেছেন আব্দুল্লাহ।

তিনি বলেন, আমি দীর্ঘ সময় ধরে ৫৩ জন নারীকে বিয়ে করেছি। প্রথমবার বিয়ে করি ২০ বছর বয়সে। আমার প্রথম স্ত্রী আমার চেয়ে ছয় বছরের বড় ছিল।

তার মতে, তার যে বিয়ে সবচেয়ে কম সময় টিকেছিল, সেটির স্থায়ীত্ব ছিল মাত্র এক রাত।

তিনি বলেন, পৃথিবীর প্রতিটি পুরুষ চায় একজন নারীর যিনি চিরকাল তার সঙ্গে থাকবেন…. স্থিতিশীলতা একজন তরুণীর সঙ্গে নয়, একজন বৃদ্ধার সঙ্গে পাওয়া যায়।

তিনি আরও বলেন, আমার বেশিরভাগ বিয়ে সৌদি নারীদের সঙ্গে হয়েছে।

তবে বিদেশে ব্যবসায়িক সফরে তিনি বিদেশি নারীদেরও বিয়ে করেছিলেন।

তিনি বলেন, আমি দেশের বাইরে তিন থেকে চার মাস থাকতাম। তাই নিজেকে পাপ থেকে বাঁচাতে বিয়ে করেছি।

প্রসঙ্গত, ইসলামে পুরুষদের একবারে চারটি  বিয়ে করার অনুমতি আছে। তবে যদি একজন পুরুষ তার সব স্ত্রীর সঙ্গে ন্যায়বিচার করতে না পারেন বা তাদের সমান দৃষ্টিতে দেখতে না পারবেন তবে তাকে অবশ্যই একটি বিয়ে করতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *