৩০ হাজার ৩শ’ ৪৮ জন গ্ৰ্যাজুয়েট ও গবেষকের অংশগ্রহণে ঢাবি’র ৫৩তম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত

শিক্ষা

নভেম্বর ১৯, ২০২২ ৯:১৬ অপরাহ্ণ

 

মতিউর রহমান সরকার দুখু
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

উৎসবমুখর পরিবেশের মধ্য দিয়ে আজ ১৯ নভেম্বর, শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে ৫৩তম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর জনাব মোঃ আবদুল হামিদ
সমাবর্তনে সভাপতিত্ব করেন। ৫৩তম সমাবর্তনে ৩০ হাজার ৩শ’ ৪৮ জন গ্ৰ্যাজুয়েট ও গবেষকের অংশগ্রহণ‌ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্ৰ্যাজুয়েট ও উপাদানকল্প কলেজ/ইনস্টিটিউটের গ্ৰ্যাজুয়েটবৃন্দ সমাবর্তনের মূল ভেন্যু বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে সরাসরি এবং অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের গ্ৰ্যাজুয়েটবৃন্দ ঢাকা কলেজ ও ইডেন কলেজ ভেন্যু থেকে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আখতারুজ্জামান সমাবর্তনে বক্তব্য রাখেন। নোবেল বিজয়ী ফরাসি অর্থনীতিবিদ Professor Dr. Jean Tirole সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এ সময় তাঁকে সম্মানসূচক Doctor of Laws (Honoris Causa) ডিগ্রি প্রদান করা হয়। সমাবর্তনে প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রসাশন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ ধন্যবাদ জ্ঞাপন ও প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল সাইটেশন পাঠ করেন। এ সময় কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, বিভিন্ন অনুষদের ডিন,সিনেট সিন্ডিকেট সদস্য, একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্যসহ আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। রেজিস্টার প্রবীর কুমার সরকার অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।

মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর আবদুল হামিদ গ্ৰ্যাজুয়েটদের উদ্দেশ্যে বলেন, “সকল প্রকার সংকীর্ণতা ও ধর্মান্ধতা থেকে নিজেকে এবং পরিবারের সদস্যদের মুক্ত রাখতে হবে।প্রগতি, আধুনিকতা ও সহনশীলতার দিকে আরো এগিয়ে যেতে হবে। শিক্ষার্জন যেন সমাবর্তন আর সার্টিফিকেটেই সীমাবদ্ধ না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আজকের এই অর্জনের পিছনে বাবা-মা,শিক্ষকমন্ডলী এবং রাস্ট্রের যে অবদান ও ত্যাগ রয়েছে,তা হৃদয়ে ধারণ করতে হবে। দেশ ও জনগণের কল্যাণে সর্বদা নিজেকে নিয়োজিত রাখতে হবে।” সমাবর্তন বক্তা Professor Dr. Jean Tirole বলেন, “পেশাজীবনে সফলতা অর্জনের জন্য গ্ৰ্যাজুয়েটদের আত্মবিশ্বাস, দায়িত্ববোধ ও সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্ৰহণের সক্ষমতা থাকতে হবে। পরিকল্পিত উপায়ে কঠোর পরিশ্রম করলে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব।” এছাড়া আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে অসাধারণ সাফল্য ও অগ্ৰগতি অর্জনের জন্য তিনি বাংলাদেশের ভূয়সি প্রশংসা করেন। উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আখতারুজ্জামান বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নবজ্ঞাননির্মার্ণের ব্রতকে সামনে রেখে একদিকে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যসমূহ( এসডিজি) বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে, অপরদিকে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের মতো প্রযুক্তিমুখ্য বিশ্বব্যবস্থার উপযোগী করে এর শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও গবেষকদের প্রস্তুত করার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। বহুমুখী বাস্তবতাকে সামনে রেখে এই বিদ্যাপীঠ আগামী একশ বছরে কোন পথে এগিয়ে যাবে তা নির্ধারণে প্রয়াস চলছে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *