পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের ফলে দক্ষিণাঞ্চলের স্টেডিয়ামগুলোতে বাড়বে বিসিবির কার্যক্রম। তাই দেশের ২৫টি জেলায় পরিবর্তন আসছে ক্রিকেট কাঠামোতে। যেখানে বয়সভিত্তিক দলগুলোর জন্য থাকবে ডরমিটরির ব্যবস্থা। জানিয়েছেন বিসিবির মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান তানভীর আহমেদ টিটু। পাশাপাশি ঢাকার আশপাশের জেলাগুলোতে আরো বেশ কয়েকটি মাঠ সংস্কার করা হবে বলে জানিয়েছেন বিসিবির ফ্যাসিলিটিস কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খান।
পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের সঙ্গে খুলেছে দক্ষিণা দুয়ার। বাঙালির গর্বের সেতুতে নতুন সম্ভাবনার জোয়ার লেগেছে সর্বত্র। ক্রীড়াঙ্গনেও ভাসছে সেই উচ্ছ্বাসে। দক্ষিণের জেলাগুলো নিয়ে নতুন ভাবনায় ক্রিকেট বোর্ডও।
বছরব্যাপী জেলাগুলোতে ক্রিকেট কার্যক্রম চলমান রাখতে নানা পরিকল্পনা নিয়েছে ক্রিকেট বোর্ড। বয়সভিত্তিক ক্রিকেট চলমান রাখতে ঢাকার বাইরে অবকাঠামো উন্নয়নে জোর দিচ্ছে বিসিবি। এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি জেলা পর্যবেক্ষণ করেছে বোর্ডের সংশ্লিষ্ট বিভাগ। পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় সেই তালিকায় যুক্ত হবে দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোও।
২৫ জেলায় বয়সভিত্তিক ক্রিকেটারদের জন্য ব্যবস্থা করা হচ্ছে ডরমিটরির। যার ফলে কমে আসবে জেলা দলগুলোর ব্যয়ও।
বিসিবির মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান তানভীর আহমেদ টিটু বলেন, ‘জেলা পর্যায়ের ২৫টি স্টেডিয়ামের উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ হচ্ছে। বোর্ড মিটিংয়ে আমাদের এ নিয়ে আলাপ আলোচনা হয়েছে। ২৫টি জেলায় আমরা এর কার্যক্রম শুরু করেছি। আর এবারের স্টেডিয়ামগুলোতে ডরমিটরির ব্যবস্থাও থাকবে। ফলে ব্যয়টা কমানো সম্ভব হবে।’
শুধু স্টেডিয়ামের উন্নয়নই নয়। পাশাপাশি কিছু ক্রিকেট মাঠ সংস্কার নিয়েও কাজ করছে বোর্ড। যেখানে ঢাকার আশেপাশের জেলাগুলো বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে। এরই মধ্যে গাজীপুরসহ বেশ কয়েকটি জেলার মাঠও দেখেছে ফ্যাসিলিটিস কমিটি।
বিসিবির ফ্যাসিলিটিস কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খান বলেন, ‘ঢাকার গাজীপুরে একটা জায়গা দেখেছি আবার চিটাগাংয়ে আমরা দেখছি যেন খেলোয়াড়রা খেলতে পারে। মাঠ কিন্তু ১২ মাসই দরকার। ফলে জেলা পর্যায়ে নানা ধরনের খেলা হলে ক্রিকেটটা সবসময় খেলা যায় না। ফলে আমরা চিন্তা করেছি ক্রিকেটের জন্য আলাদা মাঠ করে ছেলেদের খেলার সুযোগ করে দেব।’
তা ছাড়া বগুড়া রাজশাহীতে এখনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট না ফিরলেও, ঘরোয়া বিভিন্ন টুর্নামেন্ট আয়োজনে সংস্কার করা হবে বলেও জানান এই বোর্ড কর্তা।