সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের দ্বিতীয় ধাপের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৯ জুন) রাতে এ ফল প্রকাশ করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফকর।
এর আগে বুধবার (৮ জুন) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্র গণমাধ্যমকে জানায়, ফল প্রকাশের জোর সম্ভাবনা রয়েছে বৃহস্পতিবার। ফল প্রকাশে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে মন্ত্রণালয় ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর।
প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গেছে, ২৯ জেলার দ্বিতীয় দফায় লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেয়াদের মধ্যে মোট ৫৩ হাজার ৫৯৫ প্রার্থীকে মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে। লিখিত পরীক্ষার ফলাফল প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের ওয়েবসাইট (www.dpe.gov.bd) এ পাওয়া যাবে।
মৌখিক পরীক্ষার জন্য মনোনীত প্রার্থীদের অনলাইনে আবেদনের সময় আপলোড করা ছবি, আবেদনের কপি, লিখিত পরীক্ষার প্রবেশপত্র, নাগরিকত্ব ও স্থায়ী ঠিকানার সপক্ষে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান/পৌরসভা/সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলরের সনদপত্র, জাতীয় পরিচয়পত্র এবং শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদসহ পোষ্য সনদ (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র কমপক্ষে ৯ম গ্রেডের গেজেটেড কর্মকর্তাকে দিয়ে সত্যায়িত করে ১৮ জুনের মধ্যে স্ব স্ব জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে আবশ্যিকভাবে জমা দিয়ে প্রাপ্তি স্বীকারপত্র সংগ্রহ করতে হবে। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে সব সনদ ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের ফটোকপি (সত্যায়িত) জমা দেয়ার সময় ওইসব কাগজপত্রের মূল কপি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে দেখাতে হবে।
মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত প্রার্থীরা ১৮ জুনের মধ্যে কাগজপত্র জমা দিতে ব্যর্থ হলে তাদের মৌখিক পরীক্ষার কার্ড দেওয়া হবে না। মৌখিক পরীক্ষার সময় এসব কাগজপত্রের মূল-কপি সঙ্গে আনতে হবে। মৌখিক পরীক্ষার তারিখ পরবর্তীতে জানানো হবে এবং তা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফথরের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।
ফলাফলের নির্দেশনায় আরও বলা হয়, এ ফলাফলের ভিত্তিতে নির্বাচিত প্রার্থীরা কেবল মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন। এ ফল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের রাজস্ব খাত ভুক্ত ‘সহকারী শিক্ষক নিয়োগ ২০২০’ এর কোনো শূন্য পদে নিয়োগের জন্য কোনো নিশ্চয়তা প্রদান করে না।
প্রকাশিত ফলের যেকোনো পর্যায়ে কোনো প্রকার ভুল-ভ্রান্তি/ত্রুটি-বিচ্যুতি/মুদ্রণজনিত ত্রুটি পরিলক্ষিত হলে, তা সংশোধন করার বা প্রয়োজনবোধে সংশ্লিষ্ট ফল বাতিল করার এখতিয়ার কর্তৃপক্ষ সংরক্ষণ করে।
প্রাথমিকের দ্বিতীয় ধাপের লিখিত পরীক্ষা গত ২০ মে ২৯টি জেলায় অনুষ্ঠিত হয়। মোট পরীক্ষার্থী ছিলের ৪ লাখ ৬৬ হাজার ১০০ জন। আর তৃতীয় ও শেষ ধাপের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় গত ৩ জুন। এ ধাপে মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন ৪ লাখ ৪৬ হাজার ৫৯৮ জন।
এর আগে প্রাথমিকের প্রথম ধাপের লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ৪০ হাজার ৮৬২ জন। প্রথম ধাপের লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ১২ জুন এ পরীক্ষা শুরু হবে। মৌখিক পরীক্ষার বিস্তারিত সময়সূচি সংশ্লিষ্ট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের নোটিশ বোর্ড এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর, জেলা প্রশাসক ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।
প্রথম ধাপের লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেয়ার সময়ও বাড়ানো হয়েছে। আগামী ১১ জুন পর্যন্ত কাগজপত্র জমা দেয়া যাবে।
তিন ধাপে পরীক্ষা নেয়া শেষে উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের আগামী জুলাইয়ের মধ্যে নিয়োগ দেয়া হবে বলে জানিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।