এপ্রিল ২২, ২০২২ ৯:৫৪ পূর্বাহ্ণ
জাহাজ থেকে হামলায় সক্ষম অত্যাধুনিক হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে চীনা সামরিক বাহিনী। ক্ষেপণাস্ত্রটির নাম দেওয়া হয়েছে ওয়াইজে-২১ কিংবা ইগল স্ট্রাইক-২১। হাইপারসনিক বলতে শব্দের চেয়েও পাঁচগুণ গতিকে বোঝানো হয়েছে।
ভিডিওটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন
সামাজিকমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, চীনের টাইপ ০৫৫ যুদ্ধজাহাজ থেকে ওয়াইজে-২১ ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। বেইজিংয়ের সামরিক বাহিনীর সবচেয়ে বড় ও অত্যাধুনিক রণতরী টাইপ ০৫৫।
এ পর্যন্ত ক্ষেপণাস্ত্রটি নিয়ে খুব বেশি তথ্য পাওয়া যায়নি। চীনা প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের বরাতে সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট বলছে, এক হাজার থেকে দেড় হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত হামলায় সক্ষম এই ক্ষেপণাস্ত্র। বিমানবাহী রণতরী লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে ক্ষেপণাস্ত্রটির নকশা করা হয়েছে।
বেইজিংভিত্তিক নৌবিশেষজ্ঞ লি জিই বলেন, জাহাজ থেকে উৎক্ষেপণে সক্ষম ওয়াইজে-২১ ক্ষেপণাস্ত্র এক হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত হামলা চালাতে পারবে। আওতার মধ্যে থাকা যে কোনো বিমানবাহী রণতরীকে লক্ষ্যবস্তু বানাতে পারবে এটি। টাইপ ০৫৫ ডেস্ট্রয়ারে ১১২টি ভার্টিকাল লঞ্চ মিসাইল সেল রয়েছে।
দ্য টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহী রণতরীর জন্য এই ক্ষেপণাস্ত্র মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করবে। ভিডিওতে দেখা গেছে, টাইপ ০৫৫ রেনহাই-ক্লাস ক্রুজার থেকে ওয়াইজে-২১ ক্ষেপণাস্ত্রটি উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। আমেরিকান রণতরীর জন্য দ্য ডিএফ-২১ ও ডিএফ-২৬-এর চেয়ে চীনের এই হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রই বেশি ঝুঁকি তৈরি করবে।
তবে সংবাদমাধ্যমের খবর নিয়ে চীনা কর্তৃপক্ষের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তাইওয়ান নিয়ে ওয়াশিংটনের সঙ্গে যখন বেইজিংয়ের উত্তেজনা চলছে, তখনই ক্ষেপণাস্ত্রটির পরীক্ষা চালাল চীনা নৌবাহিনী।
তাইওয়ানকে মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে একীভূত করতে শান্তিপূর্ণ পথই বেছে নেওয়ার কথা বলছে চীন। কিন্তু তাতে বাধা আসলে বলপ্রয়োগের বিষয়টিও একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছে না বেইজিং।