হাঁপানিতে সঠিক ডায়েট তৈরিতে করণীয়

স্বাস্থ্য

জুন ১৯, ২০২২ ৮:৪৮ পূর্বাহ্ণ

আষাঢ়ের এই সময়টায় কখনো থাকে সূর্যের প্রখর গরম আবার কখনো থাকে হঠাৎ বৃষ্টি। আবহাওয়া পরিবর্তনের এই সময়গুলোতে অ্যাজমা বা হাঁপানি রোগীরা বেশ বিপাকে পড়েন। কারণ, এমন স্যাঁতসেঁতে পরিবেশে তাদের শ্বাসকষ্টের সমস্যা অনেকটা বেড়ে যায়।

এ ধরনের রোগীদের নানা কারণেই অক্সিজেন বহনকারী নালি পথ সংকুচিত হওয়ার প্রবণতা লক্ষ করা যায়। যার কারণে শ্বাসকষ্টের সমস্যা ছাড়াও এসব রোগীর শারীরিক আরও অনেক জটিলতা দেখা দেয়।

এসব জটিলতা থেকে মুক্তি পেতে চাইলে অ্যাজমা বা শ্বাসকষ্টের রোগীকে অবশ্যই প্রয়োজনীয় চিকিৎসা গ্রহণ করার পাশাপাশি ডায়েটে রাখতে পারেন কিছু বিশেষ খাবার। এসব খাবার আপনার হঠাৎ উদ্ভূত শ্বাসকষ্টের সমস্যাকে বাধা দেবে।

লেবু: অ্যাজমা বা হাঁপানি রোগটি মূলত ফুসফুসের সমস্যার সঙ্গে সম্পর্কিত। যার কারণে এ ধরনের রোগীদের অক্সিজেন লেভেল কমে যাওয়ার সমস্যা থাকে। এ সমস্যার সমাধানে ডায়েটে লেবু রাখতে পারেন। লেবুর ভিটামিন সি শারীরিক সমস্যা দূর করার পাশাপাশি শরীরের অক্সিজেনের কার্যক্ষমতা বাড়াতে পারে।

আঙুর: আঙুর ফলটি মূলত এর গড়ন, পুষ্টিগুণ, রং এবং নিজের স্বাদের জন্য বিখ্যাত। সুপার ফুড এই ফলটি ত্বকের নানা সমস্যা সমাধানের পাশাপাশি তারুণ্য ধরে রাখার কাজে পারদর্শী। এ ছাড়া এই ফল শরীরের অক্সিজেনকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারে, যা অ্যাজমা বা হাঁপানি সমস্যার সমাধানে দারুণ কাজে আসে।

তরমুজ: গরমের সময় পাওয়া এই ফলটি প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। ভিটামিন সি এবং পানির আধার এই ফলটি অ্যাজমা রোগীদের শরীর সুস্থ রাখতে পারে। তাই নিয়মিত এ ফলটি ডায়েটে রাখতে পারেন।

ব্রোকলি: বিদেশি সবজি ব্রোকলি স্বাদে অনন্য তেমনি পুষ্টিগুণেও সমৃদ্ধ। পুষ্টিবিদরা বলছেন, এ খাবার নিয়মিত খেলে অনেক রোগই প্রতিহত করা সম্ভব। ব্রোকলিতে থাকা ভিটামিন ও মিনারেল ফুসফুসের সুস্বাস্থ্যের জন্য বিশেষ উপকারী। তাই অ্যাজমা বা শ্বাসকষ্টের রোগীদের এই সবজি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা উচিত।

এসব খাবারের পাশাপাশি অ্যাজমা বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা ডায়েটে আদা, শসা, কলা, পালং শাক, হলুদ, আপেল, গাজরের মতো খাবারগুলোও বেশি প্রাধান্য দিতে পারেন। এই খাবারগুলো আপনার হঠাৎ শ্বাসকষ্টের সমস্যা তৈরি করতে বাধা দেবে। পাশাপাশি বাড়িয়ে দেবে শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতাও।

এসব খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলার পাশাপাশি এড়িয়ে চলতে চেষ্টা করুন ডিম, দুধ, চীনাবাদাম, সয়া নাগেট এবং ফ্রোজেন আলুর চিপসের মতো ক্ষতিকর খাবারগুলো। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব খাবারের উপাদান শরীরে হাঁপানির সমস্যা বাড়িয়ে দেয়। তাই হাঁপানি বা অ্যাজমার ক্ষেত্রে উপকারী ও অপকারী খাবারগুলো প্রথমে খুঁজে বের করুন। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে সুস্বাস্থ্য নিশ্চিতে এরপরই তৈরি করুন সঠিক ডায়েট লিস্ট।

সূত্র: এই সময়

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *