হজ কোটা বাড়ানোয় বাংলাদেশ থেকে আরও ২ হাজার ৪১৫ জনকে হজ করার অনুমতি দিয়েছে সৌদি আরব।
হজ এজেন্সি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সভাপতি এম শাহাদাত হোসেন তসলিম বুধবার (২২ জুন) রাতে গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের দ্বিপাক্ষিক চুক্তি অনুযায়ী, এ বছর মোট ৫৭ হাজার ৫৮৫ জন বাংলাদেশির হজ করার কথা ছিল। তাদের সঙ্গে আরও ২ হাজার ৪১৫ জন যুক্ত হওয়ায় এ সংখ্যা বাড়ল।
হজযাত্রীদের মধ্যে ৪ হাজার জন সরকারি হজ ব্যবস্থাপনায় এবং বাকিরা বেসরকারি হজ এজেন্সির মাধ্যমে হজ পালন করবেন।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে এ বছরের ৮ জুলাই হজ শুরু হতে পারে।
পবিত্র হজ পালনের উদ্দেশ্যে মঙ্গলবার (২১ জুন) পর্যন্ত সৌদি আরবে পৌঁছেছেন ২৮ হাজার ৩০৯ জন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৩ হাজার ৩৮৫ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় গেছেন ২৪ হাজার ৯২৪ জন। এদিকে সৌদি গিয়ে এ পর্যন্ত ছয় হজযাত্রীর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
এক নজরে হজের আরও কিছু তথ্য:
• চলতি বছর হজ অনুষ্ঠিত হবে ৮ জুলাই (চাঁদ দেখার ওপর)
• সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রীর কোটা ৪ হাজার জন (রাষ্ট্রীয় খরচ ও গাইডসহ)
• বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রীর কোটা ৫৩ হাজার ৫৮৫ জন।
• ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় অনুমোদিত হজ এজেন্সির সংখ্যা ৩৫৯টি।
• হজযাত্রীদের সৌদি আরবে যাত্রার প্রথম ফ্লাইট চালু হয় ৫ জুন।
• হজযাত্রীদের সৌদি আরবে যাত্রার শেষ ফ্লাইট ৩ জুলাই।
• হজযাত্রীদের প্রথম ফিরতি ফ্লাইট ১৪ জুলাই।
• হজযাত্রীদের শেষ ফিরতি ফ্লাইট ৪ আগস্ট।
গত ২০১৯ সালে প্রায় ১ লাখ ২৭ হাজার বাংলাদেশিকে হজ করার অনুমতি দেয়া হয়েছিল। তবে করোনা মহামারিতে গত ২ বছর সীমিত আকারে হজ পালিত হয়। তবে এবছরও হজ পালনে হজ যাত্রীদের বয়সসীমা বেধে দেয়া হয়। যাদের বয়স ৬৫ বছরের নিচে তারাই কেবল হজে যেতে পারবেন।