সুরা রুমের তিন আয়াত পড়ার ফজিলত

সুরা রুমের তিন আয়াত পড়ার ফজিলত

ধর্ম

জানুয়ারি ১৪, ২০২৩ ১:২১ অপরাহ্ণ

দিনে-রাতে প্রতিটি সময়ে আমল রয়েছে। সেই আমলগুলো কোরআন-হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। মূলত বান্দার সওয়াব বাড়াতে ও জীবন স্বাচ্ছন্দ্যময় করতে আমলগুলো দেওয়া হয়েছে। সেই হিসেবে দৈনিক সকাল ও সন্ধ্যায় বিভিন্ন আমল ও জিকির-আজকার রয়েছে।

যেগুলো করলে আল্লাহ সারাদিন বা সারারাত নিরাপদে ও ভালোভাবে রাখেন। আমলের পরবর্তী পুরোটা সময় কল্যাণকর ও বরকতময় করেন।

এক হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, হজরত আবু উমামা (রা.) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ফজরের পর থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত আল্লাহর জিকির-আজকার, তাসবীহ-তাহলীল ও তাকবীর-তাহমীদ করা আমার নিকট ইসমাঈল (আ.)-এর বংশধর থেকে দুই বা ততোধিক গোলাম আজাদ করার চেয়ে অধিক প্রিয় এবং আসরের পর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত (এমন করাটা) ইসমাঈল (আ.)-এর বংশধর থেকে চারজন গোলম আজাদ করা অপেক্ষা অধিক প্রিয়।

-(আলমুজামুল কাবীর তাবারানী, হাদীস ৮০২৮; মুসনাদে আহমদ, হাদীস ২২১৮৫; মাজমাউয যাওয়ায়েদ ১০/১৩২)

সকাল-সন্ধ্যায় যেসব আমল করা হয় তার একটি সুরা রুমের ১৭ থেকে ১৯ নাম্বার আয়াত পাঠ। এর ফজিলত সম্পর্কে হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি সকালে (একুশ পারায় সূরা রোমের) এই তিনটি আয়াত পড়বে সে ঐ দিন (নিয়মিত আমল ইত্যাদি) তার যেসব ছুটে যাবে সেগুলোর সওয়াবও পেয়ে যাবে। আর যে ব্যক্তি সন্ধ্যায় এই আয়াতগুলো পড়বে সে ঐ রাতের (নিয়মিত আমল) যেসব আমল ছুটে যাবে তার সওয়াব পেয়ে যাবে। -(আবু দাঊদ)

সুরা রুমের আয়াত তিন হলো-

আরবি:  

فَسُبْحَانَ اللَّهِ حِينَ تُمْسُونَ وَحِينَ تُصْبِحُونَ وَلَهُ الْحَمْدُ فِي السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَعَشِيًّا وَحِينَ تُظْهِرُونَ يُخْرِجُ الْحَيَّ مِنَ الْمَيِّتِ وَيُخْرِجُ الْمَيِّتَ مِنَ الْحَيِّ وَيُحْيِي الْأَرْضَ بَعْدَ مَوْتِهَا ۚ وَكَذَٰلِكَ تُخْرَجُونَ

উচ্চারণ: ফাসুব হা-না ল্লা-হি হীনা তুম সু-না অহী-না তুছ্ব বিহূ-ন্ অলাহুল হামদু ফিস্ সামা-ওয়া-তি অল আরদ্বি অ‘আশিয়্যান ওহীনা তুজ-হিরুন। ইয়ুখরিজুল হাইয়্যা মিনাল্ মাইয়্যিতি অ ইয়ুখরিজুল মাইয়্যিতা মিনাল হাইয়্যি অইয়ুহইল আরদ্বা বায়’দা মাওতিহা-অকাযা-লিকা তুখ রজুন

অর্থ: কাজেই তোমরা আল্লাহর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা কর যখন তোমরা সন্ধ্যা কর এবং যখন তোমরা ভোর কর এবং বিকেলে, আর যখন তোমরা দুপুরে উপনীত হও। আর তারই জন্য সব প্ৰশংসা আসমানে ও যমীনে। তিনিই মৃত থেকে জীবিতকে বের করেন এবং তিনিই বের করেন মৃতকে জীবিত থেকে, আর যমীনকে জীবিত করেন তার মৃত্যুর পর এবং এভাবেই তোমাদের বের করে আনা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *