আফ্রিকার উত্তর নাবিবিয়ার কুনেইন প্রদেশে বাস করে হিম্বা উপজাতি। উত্তরের নামিবিয়ার কুনে অঞ্চল, যা আগে কাওকোল্যান্ড নামে পরিচিত, এখানে প্রায় ৫০ হাজার হিম্বা প্রজাতির বাস। এই হিম্বা প্রজাতিটি মূলত এক ধরণের আদিবাসী সম্প্রদায়। এই উপজাতির নারীদের গোসল করা নিষেধ। তথাপিও এই নারীরাই আফ্রিকার সবথেকে বেশি সুন্দরী মনে করেন নিজেদেরকে! এই সম্প্রদায়টি অ্যাঙ্গোলার কুনেনি নদীর কাছে জনপ্রিয়।
জানা যায়, এই নারীরা কেবল বিয়ের সময় গোসল করেন। তবে বিষয়টি এক ধরণের কুসংস্কারও বলা যেতে পারে! কারণ, এখানকার নারীরা পানির ছোঁয়াও নিতে পারেন না। তাদের এক ধরনের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে এবং তারা পানিতে হাত রাখতে না পারায়, এমনকি তারা তাদের কাপড় ধোয়াও করতে পারে না।
এখানকার নারীরা শরীরকে চকচকে ও সুগন্ধযুক্ত করতে সর্বদা একটি বিশেষ ধরনরর আয়ুর্বেদিক ওষুধ বা ক্রিম ব্যবহার করে। এই বিশেষ আয়ুর্বেদিক ওষুধ বা ক্রিমটি প্রকৃতপক্ষে নারীদের প্রশান্তি এবং এক ধরনের অনবদ্য গ্ল্যামার দেয়। এর নাম রেড অকরি। হিম্বারা রেড অকরি (গিরিমাটি বিশেষ ও তার রং) নামক ক্রিম তৈরির করার জন্য বিখ্যাত।
এই ক্রিম শুধুমাত্র হিম্বা নারীরাই ব্যবহার করে। এটি সূর্যের রেডিয়েশন থেকে ত্বককে রক্ষা করে। পাশাপাশি পোকামাকড়ের কামড়ও প্রতিরোধ করে। ক্রিমটি ব্যবহারের ফলে শরীরে তেমন লোমও হয় না। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য হিম্বা নারীরা নিয়মিত ধোঁয়ায় স্নান করে নেয়।
একটি পাত্রে ধোঁয়া উৎপন্নকারী কয়লা নিয়ে সেখানে কমিফোরা গাছের পাতা, ছোট ছোট শাখা-প্রশাখা যোগ করে। ধোঁয়া উঠতে শুরু হলে এই ধোঁয়া শরীরে লাগায়। শরীরে ঘাম ছুটলে কম্বল দিয়ে ধোঁয়াসহ পুরো শরীর ঢেকে রাখে। এভাবেই তারা গোসলের কাজটি সম্পন্ন করে থাকে।
ছাগল অথবা গরুর চামড়া দিয়ে তৈরিকৃত মুকুট যা এরিম্বি নামে পরিচিত তা বয়ঃসন্ধিতে পৌঁছালে হিম্বা মেয়েদের পড়তে হয়। বিবাহের পর, একটি হিম্বা ছেলেকে একজন পুরুষ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। অন্যদিকে সন্তান জন্ম না দেওয়া পর্যন্ত তাকে পূর্ণাঙ্গ নারী হিসেবে বিবেচনা করা হয় না।
কিছু অদ্ভুদ নিয়ম রয়েছে এ গোষ্ঠীর। জানলে অবাক হবেন, হিম্বারা অতিথিকে প্রসন্ন করতে বিনামূল্যে তাদের নারীদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের অনুমতি দেয়।