বার্সেলোনা থেকে বিদায় নেওয়ার সময় চোখের জলে বুক ভাসিয়েছিলেন লুইস সুয়ারেজ।
চোখের জল ঠেকাতে পারলেন না। সাইড বেঞ্চে বসে অঝোরে কাঁদছিলেন তিনি। বারবার তোয়ালে দিয়ে সে কান্না ঢাকার চেষ্টা করে যাচ্ছিলেন। কিন্তু পারলেন না। চেহারা রক্তিম বর্ণ ধারণ করেছিল। টিভি ক্যামেরায় ধরা পড়ছে তার অশ্রুসিক্ত মুখখানা।
রোববার রাতে লা লিগায় সেভিয়ার বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র করা ম্যাচটি ছিল অ্যাটলেটিকোতে সুয়ারেজের ক্লাবে বিদায়ী ম্যাচ।
সে ম্যাচে শুরুর একাদশে ছিলেন সুয়ারেজ। ৬৫ মিনিট খেলেন তিনি। দল ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে থাকলে সুয়ারেজকে তুলে নেন কোচ দিয়েগো সিমিওনে।
এরপরই সাইড বেঞ্চে বসে কাঁদতে শুরু করেন সুয়ারেজ।
গত মৌসুমে বার্সা থেকে অনাড়ম্বর বিদায় নেন সুয়ারেজ। প্রিয় ক্লাবের হয়ে আরও ম্যাচ খেলতে চেয়েছিলেন লিওনেল মেসির বন্ধু। কিন্তু সে সময়ের কোচ কোম্যান এক রকম তাড়িয়েই দেন উরুগুইয়ান স্ট্রাইকারকে। সুয়ারেজের এমন বিদায় মেনে নিতে পারেননি মেসিও। দুঃখ প্রকাশ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ ঝেড়েছিলেন বন্ধুর জন্য।
আর ফ্রি এজেন্ট অ্যাথলেটিকোতে যোগ দিয়েই নিজের জাত চেনান সুয়ারেজ। ৩৮ ম্যাচে ২১ গোল করে অ্যাটলেটিকোর লিগ শিরোপা জয়ে অবদান রেখেছিলেন। প্রতিশোধ নেন বার্সার বিপক্ষে।
তবে এই মৌসুমটা তার একেবারেই ভালো যায়নি। ফলে তাকে বিদায় জানায় ক্লাব।
তবে সুয়ারেজের অবদান ভোলেননি অ্যাটলেটিকো সমর্থকরা। তাকে বিদায় জানাতে ওয়ান্ডায় বিশাল এক ব্যানার টানান তারা, যাতে লেখা ছিল— ‘আমাদের চ্যাম্পিয়ন বানানোর জন্য ধন্যবাদ লুচো।’
৩৫ বছর বয়সি এই তারকার পরবর্তী দল কোনটি হবে, তা এখনও নিশ্চিত নয়।
তথ্যসূত্র: ফুটবল ইস্পানা, মার্কা।