শোবার ধরন বলে দেবে দাম্পত্য জীবন কতটা গভীর

লাইফস্টাইল স্পেশাল

জুলাই ১৩, ২০২২ ৯:১০ পূর্বাহ্ণ

তিন ভাগের এক ভাগ সময় কাটে ঘুমিয়ে। মানুষ ভেদে ঘুমানোর ধরন আলাদা। জানেন? ঘুমের ধরন বলে দিতে পারে দাম্পত্য সম্পর্ক কত গভীর। মনোবিদরা বলছেন, দম্পতির শোবার ধরন দেখে তাদের দাম্পত্যের টাইপটাও বোঝা যায়!

ভাবছেন আপনাদেরটা কোন খাতে পড়বে? পড়ে নিন আর মিলিয়ে নিন নিজেদের সঙ্গে!

জড়িয়ে ধরে মুখোমুখি ঘুমোনো

রোমান্টিক মনে হলেও জড়িয়ে ধরে মুখোমুখি ঘুমোনো সম্পর্কের স্বাস্থ্যের পক্ষে খুব একটা ভালো নয়! তাতে একদিকে যেমন ব্যক্তিস্বাধীনতার অভাব বোঝায়, আবার সম্পর্কে একটা নিরাপত্তার অভাবও সূচিত করে।

বিছানায় একজনের প্রাধান্য

সঙ্গী যদি বিছানার সিংহভাগ দখল করে হাত পা ছড়িয়ে ঘুমিয়ে থাকে,  এমন ঘুমের অবস্থান কিন্তু সম্পর্কে একজন সঙ্গীর আধিপত্যই ইঙ্গিত করে। হয় আপনাদের সম্পর্কে কোনও সমস্যা আছে, অথবা আপনি বাধ্য হচ্ছেন থাকতে! সম্পর্কের সমস্যাগুলো নিয়ে আলোচনা করা, সমাধান হলেই এ ব্যাপারটাও ঠিক হয়ে যাবে!

না ছুঁয়ে মুখোমুখি ঘুমোনো

এক বিছানায় যে যার মতো ঘুমানোসম্পর্কে কিছু একটার অভাব রয়েছে হয়তো! অন্তত এই অবস্থান সেটাই বলছে! বডি ল্যাঙ্গুয়েজ বিশেষজ্ঞেরা বলেন, ঘুমের এই অবস্থানটি পারস্পরিক ঘনিষ্ঠতা ও সংযোগের চাহিদা সূচিত করে!

পরস্পরের দিকে পিছন করে ঘুমোনো

বিছানায় ঘুমানোর সমযপরস্পরের উলটো দিকে মুখ করে ঘুমান আর আপনাদের মাঝে খানিকটা ফাঁকও থাকে, তা হলে আপাত দৃষ্টিতে মনে হতে পারে আপনারা পরস্পরের থেকে বিচ্ছিন্ন! আসলে কিন্তু আপনারা নিজেদের সম্পর্ককে সুখী, পরিতৃপ্ত ও নিশ্চিন্ত! নির্ভরতা অটুট এবং স্বাধীন মনোভাবটাও ধরে রাখতে জানেন!

দুজনে একই দিকে মুখ করে ঘুমানো

দুজনে একই দিকে মুখ করে ঘুমানোর সময় যিনি পেছনে থাকেন তিনি অপরজনকে জড়িয়ে রাখেন। এই অবস্থানে ঘুমোনোর অর্থ হল একজন পার্টনার অপরজনকে সমস্ত ঝড়ঝাপটা থেকে সুরক্ষিত রাখতে চান। এদের মধ্যে পারস্পরিক বিশ্বাসও থাকে যথেষ্ট!

মুখোমুখি জড়িয়ে ঘুমোনো তারপর আলাদা হয়ে যাওয়া

মুখোমুখি জড়িয়ে ঘুমোনোর পর মিনিট দশেকের মধ্যে যারা আলাদা হয়ে যায় এবং যে যার মতো ঘুমিয়ে থাকেন। পারস্পরিক ঘনিষ্ঠতা আর ব্যক্তিস্বাধীনতা, দুটি দিকই বজায় রাখার ইঙ্গিতবাহী এই অবস্থানটি।

সঙ্গীর বুকে মাথা রেখে ঘুমোনো

সাধারণত নতুন প্রেমে এই অবস্থানে ঘুমোন অনেকে, বিশেষ করে হানিমুনের সময়টা! পরস্পরের প্রতি গভীর ভালোবাসা আর নির্ভরতার ইঙ্গিত দেয় এই অবস্থানটি।পরিসংখ্যান বলছে, মাত্র চার শতাংশ দম্পতি এভাবে ঘুমোন! কাজেই আপনাদের ঘুম ঠিক এমন না হলে দুঃখ পাওয়ার কোনও কারণ খুঁজতে যাবেন না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *