অক্টোবর ৩১, ২০২২ ৮:০৮ পূর্বাহ্ণ
শেষ ওভারে জিম্বাবুয়ের দরকার ছিল ১৬ রান। অধিনায়ক সাকিব আল হাসান বল তুলে দিলেন অফস্পিনার মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের হাতে। এক পর্যায় ম্যাচের পরিস্থিতি দাঁড়ায় ২ বলে ৫ রান। মনে হচ্ছিল বুঝি হেরেই গেল বাংলাদেশ। তখন নো বলে ফের নাটকীয়তা।
৩ রানের রুদ্ধশ্বাস জয় নিয়ে মাঠে ছাড়ে লাল-সবুজেরা। এমন ম্যাচে শেষ ওভার করতে এসে মনের অবস্থা কেমন ছিল মোসাদ্দেকের? ১৬ রান আটকানো যাবে ভেবেছিলেন? শেষ ওভারে চার-ছক্কা খেয়ে তার মনের অবস্থাটা কেমন ছিল? শেষ বলটা নো হয়ে গেল, তারপর মনের কী অবস্থা ছিল? সংবাদ সম্মেলনে এত প্রশ্নের মুখে ঠান্ডা মাথায় খেললেন এই তারকা ক্রিকেটার।
শেষ ওভারে বল তুলে দিয়ে কী বলেছিলেন সাকিব? কী পরামর্শ দিয়েছিলেন? মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত বলেন, সাকিব ভাইয়ের কথা হয়েছিল দুই রকম- ইয়র্কার করব নাকি লেন্থ বল করব। মাঠটা ছোট ছিল সামনের দিকে, ইয়র্কার মিস হলে লেন্থ মিসে ৬ হওয়ার সম্ভাবনা আছে। এ জন্য আমরা পরিকল্পনা করছিলাম একটু ব্যাক অব লেন্থে, একটু জোরের ওপর করব, যেন মিস টাইমিং হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
মোসাদ্দেক শেষ ওভারের উত্তেজনা সম্পর্কে বলেন, এটা অবশ্যই অন্যরকম একটা অভিজ্ঞতা। ওদের ইনিংস শেষ করে আমরা চলে এলাম, এরপর নো বল, আবার ভেতরে গেলাম, সবাই নার্ভটা কন্ট্রোল করার চেষ্টা করেছি। ঠিক আছে যাই হবে, হোক। আমাদের যে প্ল্যান ছিল ঐ প্ল্যান অনুযায়ী বোলিং করি। এরপর যদি ওরা রান নিতে পারে, সেটা নিয়ে আমরা কোনো চিন্তা করিনি।
মাথা ঠান্ডা রেখেই বল করেছেন মোসাদ্দেক। বললেন, একটা বলও জেদ দিয়ে করিনি। প্রতিটি বল ডট করার জন্য, জেতার জন্য সবার মধ্যে একটা ক্ষুধার্ত ভাব ছিল। সবাই জিততে চেয়েছে। সেই শারীরিক অঙ্গভঙ্গি মাঠে শো করেছে। আমি মনে করি পুরো টিমের চেষ্টা ছিল আমাদের জেতার পেছনে।
শেষ ওভারে ছক্কা খেয়েও অস্থির হননি মোসাদ্দেক। পরামর্শ নিয়েছেন অধিনায়ক সাকিবের। বললেন, এটা ক্রিকেট। ছয়-চার বা যেকোনো কিছু হতে পারে। কিন্তু নার্ভ কন্ট্রোল করাটা জরুরি। সাকিব ভাইয়ের সঙ্গে সেটাই বলছিলাম আমি।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শ্বাসরূদ্ধকর এ ম্যাচে ৩ রানে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। আগে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫০ রান সংগ্রহ করে টাইগাররা। ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত করেন ৫৫ বলে ৭১ রান। জিম্বাবুয়ের হয়ে গারাভা ও মুজারবানি দুটি এবং রাজা ও শন উইলিয়ামস একটি করে উইকেট শিকার করেন। ১৫১ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে আট উইকেটে ১৪৭ রানে থামে জিম্বাবুইয়ানরা। জিম্বাবুয়ের শন উইলিয়ামস করেন ৬৪ রান। বাংলাদেশের হয়ে তাসকিন আহমেদ একটি মেডেনসহ ৩টি ও মুস্তাফিজুর রহমান ২টি উইকেট নেন। বোলিংয়ে দুর্দান্ত নৈপূণ্য দেখানো তাসকিন হয়েছেন ম্যাচসেরা।