লংকান মানুষদের কষ্টের কথা জানালেন কামিন্স

খেলা

জুলাই ১৩, ২০২২ ৯:০১ পূর্বাহ্ণ

শ্রীলংকায় দ্বিপাক্ষিক ক্রিকেট সিরিজ খেলতে এসেছিল অস্ট্রেলিয়া। তবে এই সফর থেকে মাঠের ফলাফলের চেয়েও বড় শিক্ষা নিয়ে যাচ্ছেন তারা। লংকান মানুষদের মানবেতর জীবনযাপনের চাক্ষুষ সাক্ষী হয়ে জীবনকে যেন আরেকবার উপলব্ধি করেছেন অজি ক্রিকেটাররা।

মাঠের সাফল্য-ব্যর্থতার হিসেবে গেলে লংকা সফরে অজিদের প্রাপ্তি সামান্যই। তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজটা জিতে শুরু করেছিল সফর। এরপর পাঁচ ওয়ানডের সিরিজে হার। টেস্ট সিরিজটা ১-১ ব্যবধানে শেষ হলেও দ্বিতীয় টেস্টে ইনিংস ও ৩৯ রানের হার অস্ট্রেলিয়ানদের অহমে আঘাত না করে পারে না।

কিন্তু এই সফর তো আর দশটা সাধারণ সফরের মতো নয়। শ্রীলংকার রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক টানাপোড়েনের মধ্যে শেষ হওয়া সফরে মাঠের বাইরের অভিজ্ঞতাও তাদের বড় প্রাপ্তি। লংকায় এই কঠিন সময়ের চাক্ষুষ সাক্ষী অস্ট্রেলিয়া দলের অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের বর্ণনায় উঠে এসেছে লংকানদের লড়াইয়ের করুণ চিত্র।

দ্বিতীয় টেস্টে ক্রিকেটের চেয়েও বেশি আলোচনা সম্ভবত হয়েছে মাঠের আশপাশে লংকানদের প্রতিবাদ নিয়ে। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ায় এ নিয়ে প্রচারিত ভিডিওতে কামিন্স বলেন, ‘গতকাল যে প্রতিবাদ হলো, সেটি এড়িয়ে যাওয়ার প্রশ্নই আসে না। দেশ থেকে আমাদের কাছে ‘সবকিছু কেমন চলছে? আশা করি সবকিছু ঠিকঠাকই আছে’ লেখা অনেক খুদেবার্তা এসেছে। আমরা কোনো সমস্যাই অনুভব করিনি।‘

কামিন্সদের অনুভূতির তারে বরং টোকা দিয়েছে শুধু লংকানদের দুর্দশার চিত্র। সেখানকার অবস্থা কতটা দুর্দশার, সেটির আঁচ কিছুটা পাওয়া যায় কামিন্সের বর্ণনায়। তিনি বলেন, ‘হোটেলের কর্মচারীদের কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলেছি, কয়েকজন ড্রাইভারের সঙ্গেও। তাদের কী কষ্টই না হচ্ছে! একদিন খেলে পরের দিন খাচ্ছেন না তারা, যেন সন্তানদের খাওয়াতে পারেন। কী কষ্ট!’

চোখের সামনে মানুষের এমন জীবন দেখে নিজেদের জীবনের জন্য বুঝি আরেকবার কৃতজ্ঞতাই ঝরল কামিন্সের। কোথাও মানুষ যেখানে খাবার জোগাড় করতেই গলদঘর্ম, বিদ্যুত-জ্বালানির যেখানে তীব্র সংকট। সেখানে কামিন্সরা ঠিকই দেশে দেশে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, ক্রিকেট খেলছেন।

ক্রিকেটের কাছে তাই কামিন্সের কৃতজ্ঞতা। তার ভাষায়, ‘মাঝে মাঝে মনে হয় যে কতটা সৌভাগ্যবান আমরা। প্রথমত বিশ্বজুড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছি। আর এখানে ব্যাপারটা শুধু এখানে এসে ক্রিকেট খেলাই নয়। খেলার কী প্রভাব পড়েছে সেটা তো বোঝাই যায়। ব্যাপারগুলো নিয়ে মাঝে মাঝে আমরা নিজেদের মধ্যে কথা বলি।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *