রাসূল সা. এর জীবনী অধ্যয়ন তার আনুগত্যের পূর্বশর্ত

রাসূল সা. এর জীবনী অধ্যয়ন তার আনুগত্যের পূর্বশর্ত

ধর্ম

অক্টোবর ২৪, ২০২২ ৮:২৭ পূর্বাহ্ণ

প্রত্যেক মানুষের জীবনের তিনটি দিক থাকে জন্ম মৃত্যু এবং উভয়ের মাঝে আল্লাহ প্রদত্ত হায়াতে জিন্দেগী। দুনিয়া হল আখেরাতের শস্য ক্ষেত অর্থাৎ মৃত্যু পরবর্তী জীবনের প্রস্তুতির নেয়ার জায়গা। কোন শিশু ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর আপনজন ও আশেপাশের সকলেই খুশি হয় এটাই স্বাভাবিক।

যেমন কেউ জন্মগ্রহণ করার পর তার আত্মীয়স্বজন সবাই খুশি হন। তেমনিভাবে কারো মৃত্যুতে আপনজন সহপাঠী পরিচিতজন আশপাশের সবাই ব্যথিত হবে দুঃখিত হবে এটাও সত্য। যেমন আমার মৃত্যুর পর আপনজন সহ অনেকেই ব্যথিত হবেন শোক প্রকাশ করবেন। আর যদি কেউ পরিবার ও সমাজের মাঝে, দেশ ও জাতির মাঝে একজন বিশেষ ও মহান ব্যক্তি হয়ে থাকেন তাহলে শুধু আপনজনই নন বরং পুরো জাতি তার জন্য ব্যথিত হয় শোকাহত হয়।

গবেষকদের মতে ৫৭০ মতান্তরে ৫৭১ খ্রিস্টাব্দে ২০ এপ্রিল রবিউল আউয়াল মাসের ৯ মতান্তরে ৮ অথবা ১২ তারিখ সোম বার দিবাগত রাত্রিতে সুবহে সাদেকের সময় বিশ্ব মানবতার মুক্তির দূত নবীকুল শিরোমনি মা আমিনার নয়ন মনি কেয়ামত পর্যন্ত সমস্ত নবী ও রাসূলদের প্রশংসনীয় ব্যক্তি মহান রব্বুল আলামীনের প্রিয় বন্ধু এই দুনিয়াতে আগমন করার সময় যেমনিভাবে আসমান ও জমিন বাসি খুশি হয়েছিল তেমনিভাবে কুল কায়নাতের সমস্ত কিছু সেদিন খুশিতে আন্দোলিত হয়েছিল। খুশি হয়েছিলেন মা আমিনা, দাদা আব্দুল মুত্তালিব; এমনকি চাচা আবু লাহাব তো ভাতিজার জন্মের সুসংবাদ প্রদানকারী দাসীকে আজাদ করে দিয়েছিলেন।

তবে মানুষের জন্মে খুশি হওয়া, মৃত্যুতে ব্যথিত হওয়া এবং জন্ম মৃত্যুর সময়ের কিছু অলৌকিক বিষয়কে কেন্দ্র করে উৎসব পালন করাই যতেষ্ঠ নয়, তবে হ্যাঁ, একজন আশেকের জন্য মা’শুকের সবকিছু জানা থাকা গভীর ভালোবাসা ও প্রেমের নিদর্শন। তবে এটাও মনে রাখতে হবে যে, মানুষের জন্য অনুসরণীয় ও অনুকরণীয় বিষয় হচ্ছে তার জন্ম ও মৃত্যুর মাঝখানে সেই সময়টুকু যার দ্বারা দুনিয়াবাসী উপকৃত হয়েছে এবং তার অবর্তমানে তার সেই কর্মমুখী জীবন থেকে বর্তমানে জীবিতদের কি করণীয় রয়েছে সেটা জানা ও উপলদ্ধি করা। অর্থাৎ যা শিক্ষণীয় রয়েছে এবং মান্য করা ও বর্জন করার বিষয় রয়েছে সেটা জেনে আমল করাই হল লক্ষ্যণীয় ও মূল বিষয়।

একজন মুসলমান দুনিয়াতে কিভাবে চলবে, কিভাবে তার এবাদত বন্দেগী করবে, আচার-ব্যবহার ও লেনদেন করবে তার সবকিছুই রাসূলের জীবনে রয়েছে উত্তম পাথেয় ও দিক নির্দেশনা।

আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন: যারা আল্লাহ ও শেষ দিবসের আশা রাখে এবং আল্লাহকে অধিক স্মরণ করে, তাদের জন্যে রাসূলুল্লাহর মধ্যে উত্তম নমুনা রয়েছে। সুরা আহযাব – ৩৩:২১

রাসূলুল্লাহ সা. এর আনুগত্য যেহেতু সকল মুসলমানের উপর ফরজ তাই যাকে আনুগত্য ও অনুসরণ করা হবে তাকে চেনা ও জানা আমাদের সকলের ওপর আবশ্যকীয়। সে জন্য অবশ্যই আমাদেরকে তার জীবনী অধ্যয়ন করতে হবে। রাসূলুল্লাহ সা. এর আনুগত্য ফরজ বিষয়ে আপনাদের সামনে কিছু প্রমান পেশ করছি।

রাসূলুল্লাহ সা. এর আনুগত্য সকল মুসলমানের ওপর ফরজ।

উম্মতে মোহাম্মদী তার নবী ও রাসূলের সাথে সম্পর্ক শুধুমাত্র আদব, সম্মান ও ভালবাসার নয় বরং তার আনুগত্য করা, তার হুকুম আহকামকে মান্য করা, আদেশ নিষেধকে ফলো করা প্রত্যেক উম্মতের ওপর ফরজ করে দেয়া হয়েছে।

১. কোরআনুল কারিমে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বারবার তাঁর রাসূলের আনুগত্য করা এবং তার হুকুম মানার কথা উল্লেখ করেছেন এবং তাঁর রাসূলের হুকুম অমান্য করাকে কুফরি হিসেবে সাব্যস্ত করেছেন।

এরশাদ হয়েছে,

قُلْ أَطِيعُواْ اللّهَ وَالرَّسُولَ فإِن تَوَلَّوْاْ فَإِنَّ اللّهَ لاَ يُحِبُّ الْكَافِرِينَ

বলুন, আল্লাহ ও রসূলের আনুগত্য প্রকাশ কর। বস্তুত: যদি তারা বিমুখতা অবলম্বন করে, তাহলে আল্লাহ কাফেরদিগকে ভালোবাসেন না। সুরা ইমরান – ৩:৩২

২. রাসুলের আনুগত্য করাকে মুমিন হওয়ার জন্য শর্তস্বরূপ উল্লেখ করা হয়েছে। এরশাদ হয়েছে,
وَأَطِيعُواْ اللّهَ وَرَسُولَهُ إِن كُنتُم مُّؤْمِنِينَ

আর আল্লাহ এবং তাঁর রসূলের হুকুম মান্য কর, যদি ঈমানদার হয়ে থাক। সুরা আনফাল – ৮:১

৩. রাসূলের আনুগত্যকে আল্লাহর আনুগত্য হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে। এরশাদ হয়েছে,

مَّنْ يُطِعِ الرَّسُولَ فَقَدْ أَطَاعَ اللّهَ وَمَن تَوَلَّى فَمَا أَرْسَلْنَاكَ عَلَيْهِمْ حَفِيظًا

যে লোক রাসূলের হুকুম মান্য করবে সে আল্লাহরই হুকুম মান্য করল। আর যে লোক বিমুখতা অবলম্বন করল, আমি আপনাকে (হে মুহাম্মদ), তাদের জন্য রক্ষণাবেক্ষণকারী নিযুক্ত করে পাঠাইনি। সুরা নিসা – ৪:৮০

৪. রাসুলের হুকুমকে মান্য করা শরীয়তের ভিত্তি হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে, আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেছেন রসূল যা কিছু হুকুম করে সেটাকে মান্য কর এবং যা থেকে তোমাদেরকে নিষেধ করে তা থেকে বিরত থাক। যেমন এরশাদ হয়েছে,
وَمَا آتَاكُمُ الرَّسُولُ فَخُذُوهُ وَمَا نَهَاكُمْ عَنْهُ فَانتَهُوا

এবং রাসূল তোমাদেরকে যা দেন, তা গ্রহণ কর এবং যা নিষেধ করেন, তা থেকে বিরত থাক। সুরা হাশর – ৫৯:৭

৫. যখন রাসূলুল্লাহ সা. কোন বিষয়ে ফায়সালা করে দেন তখন মানুষের জন্য সেটাকে মান্য করা ছাড়া কোন উপায় নেই। যেমন এরশাদ হয়েছে,

وَمَا كَانَ لِمُؤْمِنٍ وَلَا مُؤْمِنَةٍ إِذَا قَضَى اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَمْرًا أَن يَكُونَ لَهُمُ الْخِيَرَةُ مِنْ أَمْرِهِمْ وَمَن يَعْصِ اللَّهَ وَرَسُولَهُ فَقَدْ ضَلَّ ضَلَالًا مُّبِينًا

আল্লাহ ও তাঁর রাসূল কোনো কাজের আদেশ করলে কোনো ঈমানদার পুরুষ ও ঈমানদার নারীর সে বিষয়ে ভিন্ন ক্ষমতা নেই যে, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আদেশ অমান্য করে সে প্রকাশ্য পথভ্রষ্ট তায় পতিত হয়। সুরা আহযাব – ৩৩:৩৬

৬. এখতেলাফ ও ঝগড়ার সময় বিচার ও ফায়সালার ক্ষেত্রে আল্লাহর রাসূলের ফায়সালার ওপরে যে সন্তুষ্ট না হয় রাসূলের ফায়সালাকে মেনে নিতে প্রস্তুত না হয় সে তো মুসলমানই থাকে না। যেমন এরশাদ হয়েছে,

فَلاَ وَرَبِّكَ لاَ يُؤْمِنُونَ حَتَّىَ يُحَكِّمُوكَ فِيمَا شَجَرَ بَيْنَهُمْ ثُمَّ لاَ يَجِدُواْ فِي أَنفُسِهِمْ حَرَجًا مِّمَّا قَضَيْتَ وَيُسَلِّمُواْ تَسْلِيمًا

অতএব, তোমার পালনকর্তার কসম, সে লোক ঈমানদার হবে না, যতক্ষণ না তাদের মধ্যে সৃষ্ট বিবাদের ব্যাপারে তোমাকে ন্যায়বিচারক বলে মনে না করে। অতঃপর তোমার মীমাংসার ব্যাপারে নিজের মনে কোন রকম সংকীর্ণতা পাবে না এবং তা হূষ্টচিত্তে কবুল করে নেবে। সুরা নিসা – ৪:৬৫

৭. রাসূলুল্লাহ সা. এর হাদিস পড়া ও জানাই যথেষ্ট নয় বরং তার ওপর আমল করা আবশ্যকীয়।

এরশাদ হয়েছে,

وَمَا جَعَلْنَا الْقِبْلَةَ الَّتِي كُنتَ عَلَيْهَا إِلاَّ لِنَعْلَمَ مَن يَتَّبِعُ الرَّسُولَ مِمَّن يَنقَلِبُ عَلَى عَقِبَيْهِ

আপনি যে কেবলার উপর ছিলেন, তাকে আমি এজন্যই কেবলা করেছিলাম, যাতে একথা প্রতীয়মান হয় যে, কে রসূলের অনুসারী থাকে আর কে পিঠটান দেয়। সুরা বাকারা – ২:১৪৩

৮. রাসূলের আনুগত্য আল্লাহ তাআলাকে ভালোবাসার জন্য শর্ত এবং রাসূলের আনুগত্য মানুষকে স্বয়ং আল্লাহ তায়ালার মাহবুব এবং প্রিয় বানিয়ে দেয়। যেমন এরশাদ হয়েছে,

قُلْ إِن كُنتُمْ تُحِبُّونَ اللّهَ فَاتَّبِعُونِي يُحْبِبْكُمُ اللّهُ وَيَغْفِرْ لَكُمْ ذُنُوبَكُمْ وَاللّهُ غَفُورٌ رَّحِيمٌ

বলুন, যদি তোমরা আল্লাহকে ভালোবাস, তাহলে আমাকে অনুসরণ কর, যাতে আল্লাহ ও তোমাদিগকে ভালোবাসেন এবং তোমাদিগকে তোমাদের পাপ মার্জনা করে দেন। আর আল্লাহ হলেন ক্ষমাকারী দয়ালু। সুরা ইমরান – ৩:৩১

৯. রাসূল সা. এর ব্যক্তিত্ব ও গুণাবলী উম্মতের জন্য উত্তম নমুনা ও আইডল হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে। যেমন এরশাদ হয়েছে,
لَقَدْ كَانَ لَكُمْ فِي رَسُولِ اللَّهِ أُسْوَةٌ حَسَنَةٌ لِّمَن كَانَ يَرْجُو اللَّهَ وَالْيَوْمَ الْآخِرَ وَذَكَرَ اللَّهَ كَثِيراً

যারা আল্লাহ ও শেষ দিবসের আশা রাখে এবং আল্লাহকে অধিক স্মরণ করে, তাদের জন্যে রাসূলুল্লাহর মধ্যে উত্তম নমুনা রয়েছে। সুরা আহযাব – ৩৩:২১
১০. আল্লাহ রাব্বুল আলামিন ও তাঁর রাসূলের অবাধ্যতা জাহান্নামে যাওয়ার কারণ।

আল্লাহ তাআলা বলেন,
﴿إِلَّا بَلَٰغٗا مِّنَ ٱللَّهِ وَرِسَٰلَٰتِهِۦۚ وَمَن يَعۡصِ ٱللَّهَ وَرَسُولَهُۥ فَإِنَّ لَهُۥ نَارَ جَهَنَّمَ خَٰلِدِينَ فِيهَآ أَبَدًا ٢٣ ﴾ [الجن: ٢٣]

‌শুধু আল্লাহর পক্ষ থেকে পৌঁছানো এবং তাঁর রিসালাতের বাণী প্রচারই আমার দায়িত্ব। আর যে- কেউ আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে অমান্য করে তার জন্য রয়েছে জাহান্নামের আগুন, সেখানে তারা চিরদিন থাকবে।সূরা আল-জিন্ন, আয়াত: ২৩

১১. আল্লাহ ও তার রাসূলের আনুগত্য না করা আমল বরবাদ হওয়ার কারণ: আল্লাহ তাআলা বলেন,

﴿يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوٓاْ أَطِيعُواْ ٱللَّهَ وَأَطِيعُواْ ٱلرَّسُولَ وَلَا تُبۡطِلُوٓاْ أَعۡمَٰلَكُمۡ ٣٣﴾ [محمد: ٣٣]

হে মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহর আনুগত্য কর এবং রাসূলের আনুগত্য কর, আর তোমরা তোমাদের আমলগুলো বিনষ্ট করো না। সূরা মুহাম্মাদ, আয়াত: ৩৩

১২. আল্লাহ ও তার রাসূলের বাধ্য মুমিনদের কাজ হলো আল্লাহ তাআলা ও তার রাসূলের ফয়সালা মেনে নেয়া।

আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿إِنَّمَا كَانَ قَوۡلَ ٱلۡمُؤۡمِنِينَ إِذَا دُعُوٓاْ إِلَى ٱللَّهِ وَرَسُولِهِۦ لِيَحۡكُمَ بَيۡنَهُمۡ أَن يَقُولُواْ سَمِعۡنَا وَأَطَعۡنَاۚ وَأُوْلَٰٓئِكَ هُمُ ٱلۡمُفۡلِحُونَ ٥١﴾ [النور: ٥١]

মুমিনদের উক্তি তো এই যখন তাদের মধ্যে বিচার- ফায়সালা করে দেওয়ার জন্য আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলের দিকে ডাকা হয়, তখন তারা বলে, ‘আমরা শুনলাম এবং আনুগত্য করলাম।’ আর তারাই সফলকাম। সূরা আন-নূর, আয়াত: ৫১

১৩. আবু হুরায়রা থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘আমার সব উম্মত জান্নাতে যাবে; কিন্তু সে ব্যক্তি নয়, যে (জান্নাতে যেতে) অস্বীকার করেছে। সাহাবিরা জিজ্ঞেস করেন, হে আল্লাহর রাসুল! কে অস্বীকার করেছে? তিনি বলেন, যে আমার আনুগত্য করে, সে জান্নাতে যাবে। আর যে আমার নাফরমানি করে, সে (জান্নাতে যেতে) অস্বীকার করেছে।’ বুখারি : ৭২৮০

১৪. রাসূল (সা) বলেছেন, শুনে রাখ! শিগগির এমন ব্যক্তির উদ্ভব হবে যে, সে তার সুসজ্জিত আসনে ঠেস দিয়ে বসে থাকবে; তখন তার কাছে আমার কোনো হাদীস পৌঁছলে সে বলে উঠবে, আমাদের মাঝে এবং তোমাদের মাঝে তো আল্লাহর কিতাবই আছে। এতে আমরা যা হালাল হিসেবে পাব তা হালাল হিসেবে গ্রহণ করব আর যা হারাম হিসেবে পাব তা হারাম মনে করব। অথচ (প্রকৃত অবস্থা হল এই যে,) রাসূলুল্লাহ যা হারাম করেছেন তা আল্লাহ তাআলা কর্তৃক হারামকৃত বস্তুর মতই হারাম। -জামে তিরমিযী, হাদীস ২৬৬৪; সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস ১২; সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ৪৬০৪; সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস ১২

যখন আমাদের সম্পর্ক কোন ব্যক্তির জীবন আদর্শ ও তার আনুগত্যের সাথে সংশ্লিষ্ট; সুতরাং সেই ব্যক্তির জীবনী পড়া, জানা এবং তার শিক্ষাকে শিক্ষা করা ছাড়া কোন উপায় নেই; কেননা তাছাড়া তো তার আনুগত্য ও অনুসরণ করা কোন ভাবেই সম্ভব হবে না। এজন্য নবীজী সা. এর জীবনী অধ্যয়ন করা প্রত্যেকের ওপর আবশ্যকীয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *