সেনা প্রত্যাহারের একদিন পরই কৃষ্ণসাগরে ফসফরাস বোমা ব্যবহার করে হামলার অভিযোগ উঠেছে রাশিয়ার বিরুদ্ধে। এ ছাড়া অব্যাহত রুশ হামলায় বিধ্বস্ত ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন আবাসিক স্থাপনা। লিসিচান্সকের একটি তেল পরিশোধনাগার নিয়ন্ত্রণে নেয়ার দাবি করেছে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
অবিরাম গোলাবর্ষণে এখনো প্রকম্পিত ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় শহর দোনেৎস্ক। একের পর এক হামলায় সেখানকার ঘরবাড়ি, বিভিন্ন আবাসিক স্থাপনা পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। চলছে উদ্ধার কার্যক্রম।
সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, লুহানস্ক প্রদেশের শহর লিসিচান্সকে বোমা হামলার পরপরই সেখানকার একটি গুরুত্বপূর্ণ তেল পরিশোধনাগার নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে রুশ বাহিনী। হামলায় আবাসন ও খাদ্য সংকটে মানবেতর জীবনযাপন করছেন সেখানকার নাগরিকরা। উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় শহর খারকিভেও অব্যাহত রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা। এমনকি পূর্বাঞ্চলীয় সেভেরোদোনেৎস্ক আর ওডেসাও পরিণত হয়েছে বিধ্বস্ত নগরীতে।
এদিকে কৃষ্ণসাগর থেকে রুশ সেনা প্রত্যাহারের একদিন পরই সেখানে ফসফরাস বোমা ব্যবহার করে হামলার অভিযোগ উঠেছে মস্কোর বিরুদ্ধে। কিয়েভের অভিযোগ, শুক্রবার (১ জুলাই) ক্রিমিয়ান উপদ্বীপ থেকে ফসফরাস বোমা নিক্ষেপকারী দুটি রুশ এস-৩০ যুদ্ধবিমান দ্বীপের ওপর দিয়ে উড়ে যায়।
এ অবস্থায় ইউক্রেনীয় সেনারা লড়াই অব্যাহত রাখলেও রাশিয়ার বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিরোধ গড়তে শিগগিরই ইউক্রেনকে ইউরোপীয় ইউনিয়নে অন্তর্ভুক্তির কোনো বিকল্প নেই বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। কিয়েভকে আন্তর্জাতিক সহায়তার আহ্বানও জানান তিনি। জেলেনস্কির ডাকে সাড়া দিয়ে কিয়েভকে ১০০ কোটি ডলার সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে নরওয়ে।
জেলেনস্কি বলেন, ‘ওডেসায় রাশিয়া ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। এমন দিন আমরা আর দেখতে চাই না। কিয়েভ শান্তি চায়। এই মুহূর্তে রুশ বাহিনীকে দমাতে ইউক্রেনকে ইইউতে যুক্ত করা ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই।’