রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ সম্পর্কে অজানা কিছু তথ্য

আন্তর্জাতিক স্লাইড

সেপ্টেম্বর ৯, ২০২২ ৯:৩৬ পূর্বাহ্ণ

ইতিহাসের যে কয়েকজন নারী শাসককে নিয়ে সবচেয়ে বেশি আলোচনা হয়েছে, তাদের মধ্যে রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ অন্যতম। ব্রিটিশ সাম্রাজ্যকে আধুনিকায়নের পাশাপাশি দ্রুতগামী পৃথিবীর সঙ্গে টিকিয়ে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন তিনি।

ইংল্যান্ডের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ বিশ্বের অন্যতম ক্ষমতাধর ব্যক্তি। তার কাছে এমন বিশেষ ক্ষমতা রয়েছে, যা সাধারণ মানুষের কল্পনার বাইরে। তিনি এমন কিছু সুবিধা ভোগ করেন, যা অন্য দেশের প্রেসিডেন্ট কিংবা প্রধানমন্ত্রীর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য নয়।

গাড়ি চালানোর জন্য তার কোনো ড্রাইভিং লাইসেন্সের প্রয়োজন হয় না। এমনকি পৃথিবীর যেকোনো দেশে পাসপোর্ট ছাড়াই তিনি ভ্রমণ করতে পারেন। অর্থের জন্য তার কাছে সবসময় থাকে প্রাইভেট ক্যাশ মেশিন। আরও একটি বিস্ময়কর বিষয় হলো, রানির বিরুদ্ধে কেউ কখনো মামলা করতে পারবেন না। এমনকি তার কখনো ট্যাক্সও দিতে হয় না।

যুক্তরাজ্যের পাশাপাশি কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ছাড়াও ১১টি দেশের ‘হেড অব স্টেট’ও রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। তবে শুধু সুযোগ-সুবিধা নয়, রানি হওয়ার সুবাদে তার কিছু সীমাবদ্ধতাও রয়েছে। এমন অনেক বিষয় রয়েছে, যেগুলো সাধারণ মানুষ অনায়াসে করতে পারলেও রানির ক্ষেত্রে তা নিষিদ্ধ। চলুন, একনজরে জেনে নেওয়া যাক রানি এলিজাবেথের এমন কিছু ব্যতিক্রমী বিষয় সম্পর্কে।

১. প্যালেসের ভেতরে কিংবা ক্যামেরার বাইরে একসঙ্গে থাকলেও জনসম্মুখে ও ক্যামেরার সামনে স্বামীর সঙ্গে রানি এলিজাবেথের হাঁটা নিষেধ। জনসম্মুখে স্বামীর থেকে দুই কদম আগে চলতে হয়।

২. রানি এলিজাবেথের ক্ষেত্রে কোনো ডিনার বা পার্টিতে খাওয়ার সময় কথা বলা নিষেধ। যদি তিনি কথা বলতে চান, তাহলে তার ডান পাশের অতিথি কারও সঙ্গে কথা বলা শুরু করতে হবে।

৩. রানির পক্ষ থেকে কোনো পার্টি রাখা হলে সেখানে কখনো ১৩ জন অতিথি থাকতে পারবেন না। ১৩ জনের কম অথবা বেশি হলে সমস্যা নেই।

৪. একজন সেলিব্রিটির চেয়ে কোনো অংশে কম নন। কিন্তু তিনি কখনো অটোগ্রাফ দিতে পারবেন না। শুধু তিনি নন, রাজপরিবারের কারও ক্ষেত্রেই এটি প্রযোজ্য নয়।

৫. রানি কখনো তার রাজনৈতিক মতাদর্শ প্রকাশ করতে পারেন না। কোনো রাজনৈতিক দলকে সাপোর্ট করার কিংবা ভোট দেওয়ার অনুমতি তার নেই।

৬. রাজপরিবারের সদস্য হলেও তারা চাইলেই পছন্দমতো যেকোনো খাবার খেতে পারেন না। রানি এলিজাবেথসহ রাজপরিবারের সদস্যদের জন্য চিংড়ি, আদা, পেঁয়াজ, ট্যাপের পানি খাওয়া নিষেধ।

৭. আরেকটি মজার বিষয় হচ্ছে, হাতমোজা ছাড়া রানি কোথাও যেতে পারেন না। মূলত জীবাণু থেকে সুরক্ষার জন্যই রাজপরিবারের এই নিয়ম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *