রাতে জেগে থাকাই কাজ, মাসে আয় সাড়ে ৪৫ লাখ টাকা

মজার খবর স্পেশাল

জুলাই ৫, ২০২২ ১২:০৬ অপরাহ্ণ

কোনো সরকারি অথবা বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করে না তিনি। পড়াশোনাও শেষ হয়ে গেছে অনেক দিন আগে। এখন তার কাজ শুধু রাতের পর রাত জেগে থাকা। ঘুম না আসার কারণে নয়, বরং দর্শকদের মনোরঞ্জন করার জন্য এই অভিনব পন্থা বেছে নিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার বাসিন্দা জেকি বোয়েম।

জেকি বোয়েম

জেকি বোয়েম

বয়স তার ২৮ বছর। তিনি কুইন্সল্যান্ডের গোল্ড কোস্ট এলাকায় থাকেন। তিনি নেটমাধ্যমের এক জন ইনফ্লুয়েন্সার। বিভিন্ন ধরনের কম্পিউটার গেম খেলতে ভালোবাসেন। এরই মধ্যে ইনস্টাগ্রামে তার ফলোয়ারের সংখ্যা ২২ হাজারের কাছাকাছি। তবে জেকির কাজ হলো মূলত টিকটক করা। সেখানেই তিনি ‘স্লিপ লাইভ স্ট্রিম’-এর মাধ্যমে লক্ষের গুণিতকে উপার্জন করেন। তিনি প্রতি রাতেই টিকটকে লাইভে আসেন। তার অনুরাগীরা লাইভ চলাকালীন বিভিন্ন ধরনের উপহার পাঠান।

জেকি বোয়েম গেম খেলতে ভালোবাসেন

জেকি বোয়েম গেম খেলতে ভালোবাসেন

কেউ সানগ্লাস, কেউ বক্সিং গ্লাভস, কেউ খেলনা রেলগাড়ি উপহারও পাঠান। তবে সবই ডিজিটাল মাধ্যমে, ডিজিটাল কয়েন ব্যবহার করে। অনুরাগীদের পাঠানো প্রতিটি উপহারের সঙ্গে তার ঘরের মিউজিক সিস্টেমের যোগসূত্র রয়েছে। টিকটকের মাধ্যমে এই উপহারগুলো পাঠানোর পরেই কখনো গ্যাসভর্তি বেলুন জেগে উঠে বিকট আওয়াজ করে। আবার কখনো ঘরময় আলো জ্বলে উঠে ‘সোপ বাব্‌ল’-এ তার ঘর ভরে যায়। এত জোরে আওয়াজ হওয়ার কারণে জেকির ঘুমও ভেঙে যায়। বহু দিন আগে থেকেই ঘুমানোর সময় টিকটকে সরাসরি ভিডিও করেন তিনি।

না ঘুমিনে সারারাত টিকটকে সরাসরি ভিডিও করেন তিনি

না ঘুমিনে সারারাত টিকটকে সরাসরি ভিডিও করেন তিনি

তবে, গত এক মাসে তার এই ভিডিওগুলো বিপুল জনপ্রিয়তা লাভ করে। প্রায় ৮৫ লাখ মানুষ তার ভিডিও দেখেছেন। এর ফলে তিনি মাসে উপার্জন করেছেন ৪৯,০০০ আমেরিকান ডলার। যা বাংলাদেশি টাকায় ৪৫ লাখ ৮৭ হাজারের বেশি টাকা। এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, রাতের পর রাত এভাবে জেগে থাকতে তার কোনো অসুবিধা হয় না। যত দিন তার অনুরাগীরা তাকে উপহার পাঠাতে থাকবেন, তিনি তত দিনই সরাসরি সম্প্রচার (লাইভ স্ট্রিম) করবেন।

জেকি যখন প্রথম লাইভ স্ট্রিম শুরু করেছিলেন, তখন তার ভক্তরা একটি উপহার পাঠালে শব্দে ঘুম ভেঙে যেত।

জেকি যখন প্রথম লাইভ স্ট্রিম শুরু করেছিলেন, তখন তার ভক্তরা একটি উপহার পাঠালে শব্দে ঘুম ভেঙে যেত।

জেকি যখন প্রথম লাইভ স্ট্রিম শুরু করেছিলেন, তখন তার ভক্তরা একটি উপহার পাঠালে একটিই শব্দ হত, যার ফলে তার ঘুম ভেঙে যেত। বর্তমানে তার কাছে লেজার লাইট, বাব্‌ল গান-সহ ২০ ধরনের প্রযুক্তি রয়েছে, তিনি উপহার পেলে যে সব যন্ত্রতে আলো জ্বলে এবং শব্দ হয়। তিনি বলেন এই সবই তার অনুরাগীদের ভালোবাসার ফল।

সূত্র: আনন্দবাজার 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *