সেপ্টেম্বর ৫, ২০২২ ৮:১৫ পূর্বাহ্ণ
৭৬ বছর বয়সী বিয়ারট্রিয় থমসন। তিনি আমেরিকার নেভাডায় যৌনপেশার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। যৌনপেশার জগতে বিয়াট্রিস থ্রি ডলার থমসন নামেই বেশি পরিচিত ছিলেন তিনি। বিয়াট্রিস খুব অল্প বয়সেই যৌনপেশায় যুক্ত হয়েছিলেন। শুরুতে তিন ডলারের বিনিময়ে গ্রাহকদের পরিষেবা দিতেন। আর সেই থেকেই নেভাডায় তার পেশার জগতে ‘থ্রি ডলার’ নামেই পরিচিত।
এক সাক্ষাৎকারে বিয়াট্রিস জানিয়েছিলেন, যতো দিন তিনি এই পেশায় থাকবেন, সেই সময়ের মধ্যে কয়েক লাখ গ্রাহককে পরিষেবা দিয়ে যাওয়াই হবে তার লক্ষ্য। আর সেই লক্ষ্যই পূরণ করেছেন পেশাগত জীবনের ৫৪ বছর ধরে। ৫৪ বছর ধরে পাঁচ লাখ গ্রাহককে পরিষেবা দিয়ে গিয়েছেন বিয়াট্রিস।
এক সাক্ষাৎকারে বিয়াট্রিস বলেন, যখন খুব অল্প বয়স ছিল, দিনে ৫০-১০০ জন গ্রাহককে পরিষেবা দিতাম। স্থির করেছিলাম যে, অবসরের আগে এই সংখ্যাটা পাঁচ লাখে নিয়ে যাব। একটু কম পরিচিত ছিলাম এই পেশায়, ফলে এই লক্ষ্যপূরণে আরো বেশ কয়েক বছর অতিরিক্ত সময় ব্যয় হয়েছে। ১৯৬৯ সাল থেকে ১৯৯২ সাল, এই ২৩ বছরে মোট ১৭ বার বছরের সেরা যৌনকর্মীর সম্মান পেয়েছিলেন তিনি। ২০১১ সালে বিয়াট্রিসকে ‘লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড’ দিয়েছিল নেভাডা যৌনকর্মী সংগঠন।
বিয়াট্রিস আরো এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ৬৪ বছরের আগেই আমি এই পেশা থেকে অবসর নিতে পারতাম। কিন্তু কাজকে ভালোবেসেছি। নিজের লক্ষ্যে পৌঁছনোর তাগিদেই আরো কয়েক বছর পরিষেবা দিতে রাজি হয়েছিলাম।
বিয়াট্রিস জানিয়েছেন, তিনি যে পাঁচ লাখ গ্রাহকের পরিষেবার দাবি করছেন, তার সপক্ষে প্রমাণও আছে। কোন গ্রাহক কোন সময়ে এসেছিলেন, কত টাকা দিয়েছেন, সব নথিভুক্ত করে রেখেছেন তিনি। এমনকি ১০ হাজারেরও বেশি গ্রাহকের তার পরিষেবা সম্পর্কে কী মতামত দিয়েছেন, সেই নথিও আছে বিয়াট্রিসের কাছে।
বিয়াট্রিসের দাবি, যে পাঁচ লাখ গ্রাহককে তিনি পরিষেবা গিয়েছেন গত ৫৪ বছর ধরে, সেই ‘সন্তুষ্ট গ্রাহক’দের তালিকায় ছিলেন আমেরিকার চার প্রেসিডেন্টও। অবসরের আগে বিয়াট্রিসের শেষ গ্রাহক ছিলেন ৩৪ বছর বয়সী এক জার্মান নাগরিক। শুধু মাত্র বিয়াট্রিসের টানে প্রায় ৮,৭০০ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে এসেছিলেন হামবুর্গের ঐ বাসিন্দা।
বেশ কয়েকটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে, তার কৃতিত্ব সারা দুনিয়ার কাছে পৌঁছতে গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ড সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছেন। যৌনপেশায় সবচেয়ে বেশি গ্রাহককে ‘সন্তুষ্ট’ করার রেকর্ড ছিল আমস্টারডমের যমজ বোন লুই এবং মার্টিস ফকেনসের দখলে। ৫০ বছরের পেশাগত জীবনে যৌথ ভাবে সাড়ে তিন লাখের বেশি গ্রাহককে পরিষেবা দিয়েছেন।
সূত্র: আনন্দবাজার