ইউক্রেনের দোনেৎস্কে আবাসিক এলাকায় হামলার জন্য পাল্টাপাল্টি দোষারোপ করছে কিয়েভ-মস্কো। রাশিয়ার ওপর আরোপিত পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞাকে উন্মত্ত ও হঠকারী আখ্যা দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। একইসঙ্গে, সামরিক অভিযান শেষ হলে ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক আবারও স্বাভাবিক হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দোনেৎস্কের আবাসিক এলাকায় একের পর এক গোলা বর্ষণে পুড়ে যায় বেশ কয়েকটি ভবন। আবাসিক ভবনের পাশাপাশি ব্যক্তিগত গাড়ি, পার্ক ও অন্যান্য স্থাপনাও বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ হামলার জন্য একে অপরকে দায়ী করেছে ইউক্রেন ও রাশিয়া। গণমাধ্যমে প্রকাশিত একটি ভিডিওতে এক সেনাকে ড্রোনে গুলি করতেও দেখা যায়। খবর বিবিসির।
এদিকে, সামরিক অভিযানের জেরে রাশিয়ার ওপর ইইউ, যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমাদের আরোপিত নিষেধাজ্ঞাকে ‘উন্মত্ত’ ও ‘হঠকারী’ আখ্যা দিয়ে তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। পশ্চিমাদের এই নিষেধাজ্ঞা কোনো প্রভাব ফেলতে ব্যর্থ হয়েছে দাবি করে পুতিন বলেন, ‘যেকোনো মূল্যে রাশিয়া এ নিষেধাজ্ঞা উৎরে যাবে।’
তিনি বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞা তাদের জন্যই বেশি ক্ষতিকর যারা তা আরোপ করে। রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের জেরে ইইউর ৪০ কোটি ডলারের লোকসান হবে। ইউক্রেন যুদ্ধের বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া দেখাতে গিয়ে ইইউ তার রাজনৈতিক কর্তৃত্বও হারিয়েছে। ইউরোপের দেশগুলোতে মুদ্রাস্ফীতি বাড়ছে। নিষেধাজ্ঞার পরিণতিতে অসমতা কেবলই আরও বেড়ে যাবে। আমরা শক্ত মানুষ, যেকোনো চ্যালেঞ্জই আমরা মোকাবিলা করে চলতে পারি।’
তবে সামরিক অভিযান শেষ হলে ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক আবারও স্বাভাবিক হবে বলে আশা প্রকাশ করেন পুতিন।
অন্যদিকে, রুশ-ইউক্রেন সেনাদের তুমুল লড়াইয়ের মধ্যেই দ্বিতীয়বারের মতো কিয়েভ সফরে গেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে নিয়ে সেনাদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
পরে এক সংবাদ সম্মেলনে যুদ্ধে ইউক্রেনকে কৌশলগত সব ধরনের সহায়তার প্রতিশ্রুতি দেন বরিস জনসন। তিনি বলেন, ৩ মাসে ১০ হাজার ইউক্রেনীয় সেনাকে প্রশিক্ষণ দেবে ব্রিটেন।
এ সময় অবৈধভাবে বাসিন্দাদের উচ্ছেদসহ রুশ সেনাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ করেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। আর চলমান যুদ্ধের জন্য রাশিয়াকে চড়া মূল্য দিতে হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন জেলেনস্কি।