যুক্তরাষ্ট্রের হাতে যেতেই হচ্ছে অ্যাসাঞ্জকে

আন্তর্জাতিক স্লাইড

এপ্রিল ২১, ২০২২ ১১:১৩ পূর্বাহ্ণ

সাড়া জাগানো ওয়েবসাইট উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানোর আনুষ্ঠানিক অনুমতি দিয়েছে যুক্তরাজ্যের একটি আদালত।

বুধবার (২০ এপ্রিল) এ বিষয়ে লন্ডনে ওয়েস্টমিনস্টার ম্যাজিস্ট্রেট আদালত আদেশ দেয়।

এর ফলে তাকে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো হবে কিনা সেই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রীতি প্যাটেল। অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ এনেছে যুক্তরাষ্ট্র।

আদালতের এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের সুযোগ রয়েছে অ্যাসাঞ্জের। ওয়েস্টমিনিস্টার ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শুনানিতে তিনি ভিডিও লিঙ্কে যুক্ত হন।

অ্যাসাঞ্জের আইনজীবী এই ঘটনা ‘সংক্ষিপ্ত কিন্তু মামলার জন্য গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

আসাঞ্জের পক্ষে আইনজীবী মার্ক সামার্স কিউসি বলেছেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বিষয়টি পাঠানো ছাড়া তার কাছে আর কোনও বিকল্প নেই। নতুন প্রমাণ হাজির করার সুযোগ অ্যাসাঞ্জের আইনজীবীদের ছিল না। কিন্তু নতুন অগ্রগতি আছে।

গত মাসে সুপ্রিম কোর্ট যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যর্পণের বিরুদ্ধে অ্যাসাঞ্জের আপিল খারিজ করে দেওয়ার এই সংক্ষিপ্ত শুনানি অনুষ্ঠিত হলো। সাত মিনিটের শুনানি শেষে প্রত্যর্পণের আদেশ জারি করেন চিফ ম্যাজিস্ট্রেট পল গোল্ডস্প্রিং।

ভিডিও লিঙ্কে বেলমার্শ কারাগার যুক্ত হওয়া অ্যাসাঞ্জের পরণে ছিল একটি জ্যাকেট ও টাই। গত মাসে স্টেলা মরিসকে কারাগারেই বিয়ে করেন তিনি। শুনানিতে শুধু নিজের নাম ও জন্মতারিখ নিশ্চিত করতে কথা বলেন তিনি।

শুনানির সময় ওয়েস্টমিনিস্টার ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পাবলিক গ্যালারিতে অনেক মানুষ জড়ো হয়েছিলেন অ্যাসাঞ্জের সমর্থনে। এদের মধ্যে ছিলেন স্টেলা মরিস ও লেবার পার্টির সাবেক নেতা জেরেমি করবিন।

৫০ বছর বয়সী অ্যাসাঞ্জ ২০১৯ সালের এপ্রিল থেকে লন্ডনের উচ্চ নিরাপত্তা থাকা বেলমার্শ কারাগারে বন্দি আছেন।

সুইডেন সরকারের কাছে হস্তান্তর এড়াতে ২০১২ সালে পালিয়ে লন্ডনের ইকুয়েডর দূতাবাসে আশ্রয় নেন অ্যাসাঞ্জ। ২০১৯ সালে ইকুয়েডরের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হলে দূতাবাস ছাড়তে হয় অ্যাসাঞ্জকে। পরে দূতাবাসের বাইরে অপেক্ষারত লন্ডনের পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। সেই সময় থেকেই বেলমার্শ কারাগারে আছেন অ্যাসাঞ্জ।

একটি মামলায় জামিনের শর্ত লঙ্ঘন ও আদালতে হাজিরা না দেয়ায় গ্রেপ্তার হন তিনি।

উইকিলিকস প্রতিষ্ঠা ও ওয়েবসাইটে যুক্তরাষ্ট্রসহ দেশ-বিদেশের লাখো গোপন ও স্পর্শকাতর সামরিক ও কূটনৈতিক তথ্য ফাঁস করে বিভিন্ন সরকারকে ক্ষেপিয়ে তোলেন অস্ট্রেলীয় সম্পাদক, প্রকাশক ও তথ্য অধিকারকর্মী অ্যাসাঞ্জ।

তার বিরুদ্ধে ১৭টি গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগসহ ১৮টি অভিযোগ রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের। সব অভিযোগ প্রমাণে ১৭৫ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে তার।

সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *