যুক্তরাজ্যের নতুন নেতা বাছাই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সাবেক নেতা বরিস জনসনের পদত্যাগের পর ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির নেতা ও সেই সঙ্গে দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে দলের অন্তত ৯ জন রাজনীতিক প্রার্থিতা ঘোষণা করেছেন। প্রার্থীর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
পার্লামেন্টে কনজারভেটিভ পার্টির নিয়মবিধি নির্ধারণী ১৯২২ কমিটি সোমবার (১১ জুলাই) বিকালে এক বৈঠকের পর প্রতিদ্বন্দ্বিতার সঠিক সময়সূচি নির্ধারণ করবে। নতুন দলীয় প্রধান নির্বাচিত হলে সেই ব্যক্তিই হবেন যুক্তরাজ্যের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী।
একের পর এক কেলেঙ্কারি ও বিতর্কের জেরে চলতি সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী বরিসের বিরুদ্ধে রীতিমতো বিদ্রোহ ঘোষণা করেন তার নিজ দল কনজারভেটিভ পার্টির নেতারা। তার মন্ত্রিসভা থেকে একের পর এক পদত্যাগ করেন অর্ধশতাধিক মন্ত্রী।
নজিরবিহীন এ বিপর্যয়ের এক পর্যায়ে গত শুক্রবার (৮ জুলাই) পদত্যাগের ঘোষণা দিতে বাধ্য হন বরিস। তবে নতুন নেতা নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিনিই প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করবেন।
রয়টার্স জানায়, রোববার (১০ জুলাই) পর্যন্ত কনজারভেটিভ পার্টির নেতা ও দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার লক্ষ্যে লড়াইয়ে নামার ঘোষণা দিয়েছেন ৯ জন প্রার্থী। তারা হচ্ছেন, পেনি মর্ডান্ট, সাজিদ জাভিদ, জেরেমি হান্ট, গ্র্যান্ট শ্যাপস, নাদিম জাহাবি, কেমি বাদেনক, সুয়েলা ব্রেভারম্যান, টম তুগেনধাত ও ঋষি সুনাক।
বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রার্থীদের মধ্যে মতভেদের একমাত্র বড় বিষয় হচ্ছে কর। আর এটিই প্রার্থীদের নেতৃত্বের দৌড়ে এরই মধ্যে তফাত গড়ে দেয়ার মূল বিষয় হয়ে উঠেছে।
সম্ভাবনাময় প্রার্থীরা তাদের নানা পরিকল্পনা ব্যাখ্যা করছেন। কীভাবে তারা উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি, বাড়তে থাকা জীবনযাত্রামান সামাল দেবেন এবং থমকে থাকা প্রবৃদ্ধি সচল করবেন তার রূপরেখা তুলে ধরছেন।
৯ জনের ৪ জন প্রার্থীই গত ২৪ ঘণ্টায় প্রার্থিতা ঘোষণা করেন। সবশেষ নাম ঘোষণা করেন মর্ডান্ট। জাভিদ, হান্ট, জাহাবি ও শ্যাপস- এই চারজন কর কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কিন্তু ঋষি সুনাক মনে করেন, ট্যাক্স কমানোর পদক্ষেপ নিতে আরও কিছু সময় অপেক্ষা করা দরকার।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস খুব শিগগিরই প্রার্থিতা ঘোষণা করবেন বলে মনে করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থীদের তালিকায় সম্ভাবনাময় আরেক প্রার্থী হিসাবে যোগ হতে পারেন প্রীতি প্যাটেলও।