মামা ভাগ্নের নির্বাচনী সংঘর্ষের জেরে আহত ৫০, গ্রেপ্তার ৮

দেশজুড়ে

নভেম্বর ২৬, ২০২২ ৫:৪৬ অপরাহ্ণ

মোঃ আব্দুল হান্নান,নাসিরনগর,ব্রাহ্মণবাড়িয়াঃ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার চাপরতলা ইউনিয়নের বেঙ্গাউতা গ্রামে গত ইউপি নির্বাচনে অংশ গ্রহণকারী মামা ভাগ্নের নির্বাচনী সংঘর্ষের জের ধরে গতকাল উভয় পক্ষের সংঘর্ষে নারী পুরুষ ও শিশুসহ ৫০ জন আহত হয়েছে। ্ওই ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ৫৯ জনের বিরুদ্ধে নাসিরনগর থানার মামলা নং ১৩,তারিখ-২৬ নভেম্বর ২০২২ দায়ের করা হয়েছে। ওই ঘটনায় পুলিশ ৮জনকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে।
সরেজমিন এলাকা গিয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, পূর্ব শত্রুতা, মামলা মোকদ্দমা ও গত ইউপি নির্বাচ নে মামা জাহের মোল্লা ও ভাগ্নে মোক্তার হোসেনের নির্বাচনী দ্বন্দের জের ধরে শুক্রবার সকাল ৭ঘটিকার থেকে বেলা ১১ ঘটিকা পর্যন্ত চাপরতলা ইউনিয়নের বেঙ্গাউতা গ্রামে চলে উভয় পক্ষের সংঘর্ষ। সংঘর্ষে নারী পুরুষ ও শিশু সহ প্রায় ৫০ জন আহত হয়। এ সময় সংঘর্ষ থাকাতে গিয়ে পুলিশও আহত হয়। নাসিরনগর থানার মোঃ হাবিবুল্লাহ সরকার জানান, নির্বাচনী ঘটনাকে কেন্দ্র করে মামা ভাগ্নে দুই গোষ্ঠীর লোকদের মাঝে সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় পক্ষের লোকজন আহত হয়েছে। আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চাপরতলা ইউনিয়নের বেঙ্গাউতা গ্রামের ১নং ওয়ার্ডে ইউপি সদস্য পদে প্রার্থী হন মামা জাহের মোল্লা ও ভাগ্নে মোক্তার হোসেন। বিজয়ী হন মামা জাহের মোল্লা। এ নিয়ে চাপা ক্ষোভ চলে উভয় গোষ্ঠীর মাঝে। এর পর থেকেই মামা ভাগ্নের দ্বন্দ বাড়তে থাকে। এ নিয়ে বিভিন্ন সময়ে মামা ভাগ্নের দুই পক্ষের মাঝে একাধিকবার হামলা পাল্টা হামলা হয়েছে। বিষয়টি সমাধানের জন্য স্থানীয় প্রশাসন একাধিকবার উদ্যোগ নিলেও কোন সমঝোতা হয়নি। গত ১ সপ্তাহ আগেও এই নিয়ে দুই পক্ষের লোকের মধ্যে বাক বিতন্ডা হয়। এর জের ধরে গতকাল মোক্তার হোসেনের বাড়ীতে হামলা চালায় জাহের মিয়া লোকজন। এ সময় উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র শস্ত্রে সুসজ্জিত হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে প্রাণপন চেষ্টা করে পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় উভয় পক্ষের লোকজনের হাতে পুলিশও আহত হয়। পরে ওই ঘটনায় এসআই জুলফিকার আলী বাদী হয়ে ৫৯জনকে আসামী করে নাসিরনগর থানায় একটি মামলা দায়ের করে। মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আরিফুর রহমান সরকার জানান, ওই ঘটনায় ৮জনকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকীদের গ্রেপ্তারের চেষ্ঠা চলছে। বর্তমানে পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *