মানসিক শান্তির খোঁজে ৫৩ বিয়ে, সৎ থাকার চেষ্টা সব স্ত্রীর সঙ্গেই

মজার খবর স্পেশাল

সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২২ ৮:১০ পূর্বাহ্ণ

প্রাচীনকাল থেকেই মানসিক শান্তির জন্য ধ্যান এবং যোগ ব্যায়াম সবচেয়ে ভালো উপায় হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তবে কখনো কি শুনেছেন মানসিক শান্তির জন্য বিয়ে করতে? শুনতে অদ্ভুদ লাগলেও এমনটাই করেছেন সৌদি আরবের এক ব্যক্তি। নাম তার আবু আবদুল্লাহ।

তিনি মানসিক শান্তির জন্য বিয়ে করেছেন। কি ভাবছে বিয়ে তো করতেই পারে তা আবার বলার কি? তবে আশ্চর্যজনক বিষয় হচ্ছে, তিনি একটি বা দুইটি বিয়ে করে থামেননি। ৬৩ বছর বয়সী ঐ ব্যক্তি মানসিক শান্তির খোঁজে ৫৩ বিয়ে করেছেন। তিনি ‘শতাব্দীর বহুবিবাহকারী’ নামে পরিচিত। সম্প্রতি সৌদি নিয়ন্ত্রিত টেলিভিশন চ্যানেল এমবিসিকে তিনি বলেন, তিনি এখন একজনের সঙ্গেই সংসার করছেন এবং আর বিয়ে করার পরিকল্পনা নেই তার।

আবু আবদুল্লাহ নামে ঐ ব্যক্তি আরো বলেন, ‘তিনি যখন প্রথম বিয়ে করেন তখন তার একাধিক বিয়ে করার পরিকল্পনা ছিল না। কারণ তিনি স্ত্রী-সন্তান নিয়ে স্বাচ্ছন্দ্যে ছিলেন। কিন্তু কিছুদিন পর নানা সমস্যা দেখা দেয় এবং তিনি আবার বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেয়। তিনি এ সিদ্ধান্তের কথা তার স্ত্রীকেও জানিয়েছিলাম। তখন তার বয়স ২৩ বছর।’

এমবিসিকে তিনি আরো জানান, তার প্রথম এবং দ্বিতীয় স্ত্রীর মধ্যে সমস্যা দেখা দিয়েছিল, যা তাকে তৃতীয় এবং চতুর্থবার বিয়ে করতে প্ররোচিত করে। এরপর তিনি প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্ত্রীকে তালাক দেন।

একাধিক বিয়ের জন্য যুক্তি হিসেবে আবু আবদুল্লাহ বলেন, ‘তার একাধিক বিয়ের কারণ হলো, এমন একজন নারীর সন্ধান যে তাকে সুখী করতে পারবে। তিনি তার সব স্ত্রীর সঙ্গেই সৎ থাকার চেষ্টা করেন। তিনি দীর্ঘ সময় ধরে ৫৩ নারীকে বিয়ে করেন। প্রথম বিয়ে করেন ২০ বছর বয়সে।’এর মধ্যে সবচেয়ে কম স্থায়ী বিয়ের সময়কাল ছিল এক রাত।

একথা জানিয়ে তিনি আরো বলেন, ‘পৃথিবীর প্রতিটি পুরুষ চায় তার জীবনে একজন নারী থাকবে, যে চিরকাল তার সঙ্গে থাকবে। তবে স্থিতিশীলতা একজন যুবতীর সঙ্গে নয়, বয়স্ক নারীর সঙ্গে পাওয়া যায়।’

আবু আবদুল্লাহ বলেন, ‘তার বেশিরভাগ বিয়ে সৌদি নারীদের সঙ্গে হয়েছে। ব্যবসায়িক সফরে গিয়ে বিদেশেও বিয়ে করেছি। বিদেশে তিনি তিন থেকে চার মাস থাকতো। তাই সেসময় তিনি নিজেকে পাপ থেকে রক্ষা করার জন্য বিয়ে করেন।’

সূত্র: গালফ নিউজ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *