মসলার অজানা কিছু স্বাস্থ্য গুণাগুণ

লাইফস্টাইল স্পেশাল

জুন ১১, ২০২২ ১০:১৭ পূর্বাহ্ণ

ভারতীয় উপমহাদেশকে বলা হয় মসলার দেশ। এখানে রান্নায় স্বাদ ও রং বাড়ানোর জন্য হরেক রকমের মসলার ব্যবহার রয়েছে। তবে খাবারের মসলা যে কেবল স্বাদ আর রঙের জন্য তা নয়, বরং মসলার রয়েছে হরেক রকমের গুণও। অনেক সময় মসলা বিভিন্ন সংক্রমণের সঙ্গে যুদ্ধ করে শরীরকে রক্ষা করে। ইমিউন সিস্টেম বৃদ্ধি করে, প্রদাহ কমাতে, এবং ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। কিছু কিছু মসলা ওজন হ্রাস, সক্রিয়তা বৃদ্ধি, হাড়কে শক্তিশালীকরণ, রোগের বিরুদ্ধে সুরক্ষা, ঠান্ডা কাটা, স্বাস্থ্যসুরক্ষা, এবং হরমোনের সামঞ্জস্য বজায় রাখার জন্যও ভালো।

সে রকম ১০ রকমের মসলার কথা জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম দ্য হিন্দুস্তান টাইমস। এ মসলাগুলো স্বাস্থ্যের জন্যও ভীষণ উপকারী। চলুন জেনে নেয়া যাক রান্নাঘরে না রাখলেই নয়, এমন মসলাগুলোর কোনটির কী গুণ রয়েছে-

# জিরা: জিরাতে আয়রন বা লৌহ রয়েছে। এ উপাদানটি শরীরের বিভিন্ন অংশে অক্সিজেন সরবরাহে সহায়তা করে। এ ছাড়া দেহের জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি উৎপাদনেও লৌহর প্রয়োজন হয়। এসব ছাড়াও শরীরের বিপাকক্রিয়া ও রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে কাজ করে লৌহ।

# হলুদ: কারকিউমিন নামক এক ধরনের উপাদান রয়েছে হলুদে। এ উপাদানটি স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এটি একটি অ্যান্টিভাইরাস প্রকৃতির উপাদান, তাই শরীরে ইনফ্লেমেটরি এনজাইমের মাত্রা কম রাখতে সাহায্য করে এটি।
হলুদে আরও আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এছাড়া এটি ফাংগাস প্রতিরোধী, অ্যান্টি-মাইক্রোবায়াল, ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল। এর ফলে শরীরে যে কোনো সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়তে সহায়তা করে হলুদ।

# গোলমরিচ: গোলমরিচ বা ব্ল্যাক পেপারে আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান, ভিটামিন সি ইত্যাদি। এ ছাড়া এটি একটি কার্যকর অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবেও কাজ করে।

# লবঙ্গ: শ্বাসনালির সংক্রমণ প্রতিরোধে লবঙ্গ ভীষণ কার্যকরী। গলা ও অন্ননালির শ্লেষ্মা দূর করে লবঙ্গ।

# জোয়ান: ক্যারম সিড বা জোয়ান নাকের যে কোনো প্রতিবন্ধকতা, সর্দি, ফ্লু ইত্যাদি দূর করতে সহায়তা করে। শ্বাসযন্ত্রের অসুস্থতা সারানোর ক্ষেত্রেও জোয়ানের বীজ কার্যকরী।

# তিল: তিলের মধ্যে লিগনানস নামের একটি উপাদান থাকে যা যকৃৎ এনজাইমের কার্যকারিতা বাড়াতে সহায়তা করে। তিলের ভেতর আরও থাকা বিভিন্ন ফ্যাটি অ্যাসিড ও প্রোটিন শরীরের বিপাকক্রিয়া বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে।

# মৌরি: মৌরি হজমে সহায়তা করে ও পেট-ফাঁপা কমায়। রক্তের অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড বের করে দিতে সহায়তা করে এটি। এছাড়া চর্বির হজমেও সহায়তা করে মৌরি।

# কালোজিরা: কালোজিরায় থাইমোকিনোন নামের একটি উপাদান থাকে। এটি ফুসফুসের প্রদাহের বিরুদ্ধে লড়াই করে।

# মেথি: ইনসুলিন রেসপন্স কমানোর মাধ্যমে ডায়াবেটিস রোগীর শরীরের ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে মেথি। পরিপাকনালিতে গ্লুকোজের বিপাক নিয়ন্ত্রণেও সহায়তা করে এটি।

# দারুচিনি: দারুচিনি শরীরের বিভিন্ন এনজাইম নিঃসরণ করতে সহায়তা করে। ডায়াবেটিস প্রতিরোধেও উপকারী দারুচিনি। এছাড়া সর্দি, ফ্লু, ও হজমের সমস্যার বিরুদ্ধে লড়াই করতেও সহায়ক এ মসলাটি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *