সেপ্টেম্বর ৮, ২০২২ ৭:৩১ পূর্বাহ্ণ
শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে মণ্ডপের ভেতর একসঙ্গে ২০ জনের বেশি থাকা যাবে না বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়। এছাড়া প্রতিমা তৈরির সময় নিজস্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করাসহ ৩২টি নির্দেশনা তুলে ধরেন তিনি।
বুধবার দুপুরে সরকারি বিভিন্ন সংস্থা ও পূজা উদযাপন পরিষদের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের এসব নির্দেশনার কথা জানান সিএমপি কমিশনার।
নির্দেশনায় বলা হয়, মন্দির বা পূজামণ্ডপে যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য বজায় রেখে অনুষ্ঠান কার্যক্রম চালাতে হবে। অহেতুক কোনো ধরনের থিম, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বা ডিজে পার্টির আয়োজন করা যাবে না।
এছাড়া মণ্ডপের প্রবেশমুখে ভিড় নিয়ন্ত্রণ, পুরুষ ও মহিলার জন্য আলাদা প্রবেশ-বের হওয়ার ব্যবস্থা, সিসি ক্যামেরা স্থাপন এবং ভিডিও ফুটেজ রেকর্ড করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এতে আরো রয়েছে- মণ্ডপের চারদিক বা ওপরের অংশ উন্মুক্ত রাখা, প্যান্ডেলের আশপাশে নিজস্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা, জরুরি সেবার ফোন এবং মোবাইল নম্বর সংরক্ষণ, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের জরুরি সেবার নম্বরগুলো দৃশ্যমান স্থানে প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা, বিদ্যুতের বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে জেনারেটর প্রস্তুত রাখা, বিদ্যুতের ত্রুটিপূর্ণ সংযোগ দ্রুত মেরামত করা, সার্বক্ষণিক একজন ইলেকট্রিশিয়ান নিয়োগ রাখা, নিরাপদ স্থানে পূজামণ্ডপ স্থাপন ও মণ্ডপে অগ্নিনির্বাপণের ব্যবস্থা (যেমন- ফায়ার এক্সটিংগুইসার, পানি, বালি ইত্যাদি) রাখা।
এছাড়া নামাজ ও আজানের সময় সাউন্ড সিস্টেম বন্ধ রাখা, প্রতিমা পরিবহনের ক্ষেত্রে প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট থানার ওসির সঙ্গে সমন্বয় করা, অজ্ঞানপার্টি ও মলমপার্টি থেকে দর্শনার্থীদের সর্তক করতে বলা হয়েছে নির্দেশনায়।
পূজামণ্ডপে স্বেচ্ছাসেবক মোতায়েন ক্ষেত্রে দেওয়া হয়েছে বিশেষ নির্দেশনা। মণ্ডপে আগত নারী দর্শনার্থীরা যেন ইভটিজিং বা কোনো ধরনের হয়রানির শিকার না হন সে ব্যাপারে জরুরি পদক্ষেপ নেয়া, নারী ও পুরুষ স্বেচ্ছাসেবক মোতায়েন করা, স্বেচ্ছাসেবকদের চেনার সুবিধার্থে গেঞ্জি-ক্যাপ-আর্মডব্যান্ড ব্যবহার করা, স্বেচ্ছাসেবকদের নামের তালিকা সংশ্লিষ্ট থানার ওসির কাছে দেওয়া, মণ্ডপে মদ ও অন্যান্য মাদকদ্রব্য গ্রহণ থেকে বিরত রাখা, মণ্ডপের আশপাশে মেলা-জুয়ার আসর না বসানো, আতশবাজি-পটকা ফুটানো থেকে বিরত রাখা, কোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা বা গুজবের ঘটনা ঘটলে নিকটস্থ থানা পুলিশকে জানানোর কথা বলা হয়েছে।
এছাড়া প্রতীমা বিসর্জন সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে শেষ করা, বিসর্জনের শোভাযাত্রায় যেন অনাকাঙ্ক্ষিত লোক না ঢোকে সে বিষয়ে সতর্ক থাকা, বিসর্জনের আগে পূজামণ্ডপের তালিকা সংশ্লিষ্ট থানায় ও সিটিএসবিতে দিতে বলা হয়েছে।