ঘুম আমাদের প্রতিটি মানুষের প্রয়োজন। ঠিক মতো ঘুমাতে না পারলে শরীরে অনেক সমস্যাই দেখা দিতে পারে। কারণ ঘুমের মধ্যে অনেক কাজ করে শরীর। তাই প্রতিটি মানুষকে অবশ্যই ঘুম নিয়ে সতর্ক হতে হবে।
ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, বর্তমান জীবনযাত্রায় কোনো কিছুর ঠিক ঠিকানা নেই। এমনকী রাতের ঘুমও উঠে গেছে অনেকের। এবার রাতে ঠিকমতো ঘুম না হওয়ার কারণে শরীরে সমস্যা দেখা দেয়া খুবই স্বাভাবিক। তাই প্রতিটি মানুষকে অবশ্যই এ বিষয়টি নিয়ে সতর্ক হতে হবে।
এদিকে অনেকে রাতে না ঘুমিয়েও ভাবে কেবল সকালে ঘুমিয়েই সমস্যার সমাধান করে দেয়া যাবে। এ অভ্যাসটা কিন্তু আদৌ ভালো নয়। আর এ কথাটা কিন্তু বলা হয়েছে আমাদের প্রাচীন আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে। তাই প্রতিটি মানুষকে অবশ্যই বিষয়টি নিয়ে তৈরি হতে হবে।
এ ক্ষেত্রে আয়ুর্বেদে বলা হয়েছে, দিনে ঘুমলে শরীরে বেড়ে যায় কফ। এমনকী কমে বায়ু। কফ বেড়ে যাওয়ার কারণে শরীরে অনেক সমস্যাই দেখা দিতে পারে। তাই প্রতিটি মানুষকে অবশ্যই এ বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। তবে খুব দুর্বল লাগলে কিছুক্ষণের জন্য দিনেও শুয়ে পড়া যায়। কিন্তু সেই ঘুম হতে পারে মাত্র ১৫ থেকে ২০ মিনিটের জন্য। এর থেকে বেশি ঘুম মোটেও ভালো নয়।
দিনে যাদের একবারেই ঘুমানো ঠিক হয়-
১. যার ফিটনেস নিয়ে মাথা ব্যথা থাকে। এমনকী মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে চাইলেও দিনের বেলা ঘুমাবেন না।
২. আপনার ওজন বেশি থাকলে।
৩. সারাদিন তেল জাতীয় খাবার বেশি খেলে। এমনকী ময়দার খাবার খেলেও দিনে শোয়া নয়।
৪. ঠান্ডা লাগার সমস্যা থাকলেও এ সময়টা এড়িয়ে যেতে হবে ঘুমানো।
৫. ডায়াবিটিস রোগীরাও অবশ্যই দিনের বেলায় ঘুমাতে যাবেন না।
৬. হাইপোথাইরয়েড, পিসিওএস থাকলেও দিনে ঘুমানো যাবে না। তাই সতর্ক হয়ে যান।
যারা চাইলে দুপুরে ঘমাতে পারেন-
১. মানসিক ও শারীরিক ক্লান্তি শরীরকে গ্রাস করলে।
২. খুব দুর্বল মানুষ দুপুরে শুতেই পারেন।
৩. কোনো কারণে সার্জারি হয়ে থাকলে।
৪. সদ্য মা হওয়া নারীরা।
৫. আয়ুর্বেদ অনুযায়ী ১০ বছর বয়সের নিচে এবং ৭০-এর বেশি বয়সী মানুষেরা অবশ্যই ঘুমাতে পারেন।