বয়স ৩০ হলেই কেন শরীরের যত্ন নেয়া জরুরি

লাইফস্টাইল স্পেশাল

জুন ৩, ২০২২ ১০:৩০ পূর্বাহ্ণ

স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল। শরীর ঠিক তো সব ঠিক। শরীর সুস্থ থাকলে সবকিছুই ভালো লাগে। সুস্থ দেহ ও সুস্থ মন সুস্থ মানসিকতার শিল্প বহন করে। আর সেই শরীর সুস্থ রাখার জন্য আমরা কত কিছুই না করি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বয়স ৩০ হলেই যা বাড়িয়ে দেয়া উচিত বহুগুণ।

শরীরের যত্ন নেয়ার আলাদা কোনো বয়স না থাকলেও বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে শরীরের প্রতি বাড়তি যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। বিশেষ করে বয়স ৩০ হলেই সতর্ক হন। কেননা, বয়স বাড়ার সঙ্গে শরীরের নিজস্ব শক্তি কমতে থাকে। কার্যক্ষমতা হ্রাস পেতে থাকে।

তবে পুষ্টিবিদরা বলেন, অনেক দিন সুস্থ থাকতে ৩০ বছর বয়স থেকেই শরীরের প্রতি বাড়তি নজর দেওয়া প্রয়োজন। ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল, উচ্চ রক্তচাপের মতো শারীরিক সমস্যার ঝুঁকি এড়াতে ৩০ বছর বয়স থেকেই জীবনযাপনে বদলে ফেলা উচিত।

প্রাত্যহিক জীবনে কোন বিষয়গুলো মেনে চলবেন?

ধারাবাহিকতা

ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে অনেকেই ডায়েট করেন। নিয়ম মেনে খাওয়াদাওয়াও করেন। কয়েকদিন যাওয়ার পর দেখা যায় বিভিন্ন কারণে আর ডায়েট করে উঠতে পারছেন না। আবার সেই আগের নিয়মে ফিরে এসেছে ডায়েট ও খাওয়াদাওয়া। এমন করলে শরীরের ওপর প্রভাব পড়ে। অথচ ফিট থাকার প্রক্রিয়ায় ধারাবাহিকতা বজায় রাখা প্রয়োজন।

মন ভালো রাখুন

দীর্ঘদিন ধরে মেপে খাওয়াদাওয়া করছেন। এতে ওজন কমলেও মনের ওপর প্রভাব পড়ে। পুষ্টিবিদরা বলছেন, ফিট থাকার অন্যতম শর্ত হলো মানসিকভাবে ভালো থাকা। ডায়েট করার ফলে যদি মানসিক চাপ বাড়ে তা হলে তা বন্ধ রাখাই উত্তম।

আর্দ্র থাকুন

শরীরে আর্দ্রতা বজায় রাখতে প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে পানি খাওয়া প্রয়োজন। শরীর পানিশূন্য হয়ে পড়লে নানা শারীরিক সমস্যার আশঙ্কা থেকে যায়।

খাবার থেকে চিনি বাদ দেওয়া

সরাসরি চিনি না খেলেও বিভিন্ন খাবারে মিশ্রিত চিনি শরীরে প্রবেশ করে। চিনি কিন্তু শরীরের জন্য একেবারেই ভালো নয়। দীর্ঘদিন সুস্থ থাকতে ৩০-এই জীবন থেকে বাদ দিন চিনি।

পর্যাপ্ত ঘুমান

ঘুম ঠিকঠাক না হলে যে কোনো বয়সেই শরীরে তার প্রভাব পড়তে পারে। আমাদের ব্যস্ততম জীবনে ঘুমের বড়ই অভাব। তবে অনিদ্রা কিন্তু শরীরের স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা কমিয়ে দেয়। তাই সুস্থ থাকতে ঘুম অত্যন্ত জরুরি।

সূত্র: আনন্দবাজার

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *