ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে প্রবাসী আবু জামাল প্রতারণার স্বীকার

দেশজুড়ে

ফেব্রুয়ারি ১, ২০২৩ ১০:১২ পূর্বাহ্ণ

নাসিরনগর,ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধিঃ-

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার নুরপুর গ্রামের প্রতারনার শিকার প্রবাসী আবু জামালের মা আম্বিয়া বেগম ও একই গ্রামের রহমত আলীর বড় ভাই আনছার আলী মামা ভাগ্নে দুই দালালদের বিচার চেয়ে গদ ১৮ জানুয়ারী ২০২৩ তারিখে নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।

ভুক্তভোগী পরিবারের দাবী,মামা ভাগ্নে দুই দালালদের কথা ও কাজের ঠিক নেই।তারা সৌদি আরবে ভাল কাজ দেওয়ার কথা বলে মোটা অংকের টাকা নিয়ে নুরপুর গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে আবু জামাল (২২) ও একই গ্রামের দেওয়ান আলীর ছেলে রহমত আলী (২০) কে একটি কোম্পানীর কাছে বিক্রি করে দিয়েছে।বর্তমানে ওই কোম্পানী তাদের বন্দী করে রেখে কাজ করিয়ে মাসের পর মাস কোন বেতন দেয়নি। কোম্পানীর কাছে বেতন চাইতে গেলে তারা বলে যে তোমাদের এখানে দিয়ে গেছে আমারা তাদের কথামত বেতন প্রতি মাসে মাসে তাদের কাছে পাঠিয়ে দিচ্ছি।তোমরা তাদের সাথে যোগাযোগ কর।প্রবাসীদের পরিবারের দাবী তারা একবেলা খাবার দিলে অারেক বেলা খেতে দেয়না। এভাবে অনাহারে অর্ধাহারে কাটছে তাদের জীবন।মাসের পর মাস কোম্পানীতে কাজ করেও তাদের পরিবার পরিজনকে পারছে না আর্থিক সহযোগিতা করতে।যারফলে অনেক পরিবারের জীবণ প্রদীপ এখন অন্ধকারাছন্ন।

এরকম আরো অসংখ্য শ্রমিকদের দেশ থেকে লোভনীয় কাজের কথা বলে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে সৌদি আরব পাচার করে তাদের নিঃস্ব ও সর্বশ্রান্ত করেছে উপজেলার পূর্বভাগ ইউনিয়নের বড়ধলিয়া গ্রামের আব্দুর রহমানের পুত্র মোঃ গিয়াস উদ্দিন(৪০)ও তার ভাগ্নে দালাল হিসেবে কাজ করছে পূর্বভাগ ইউনিয়নের নোয়া পাড়া গ্রামের কুখ্যাত চোর মোলায়েম মিয়ার ছেলে নয়ন (৩০)।নয়ন ও গিয়াস তারা সম্পর্কে আপন মামা ভাগ্নে।

ভুক্তভোগী আবু জামালের মা আম্বিয়া বেগম বলেন,দালালের কাছে সাড়ে চার লাখ টাকা দিয়র সৌদি পাঠিয়েছি, এখন সেখানে দালাল কাজ দিতে না পারায় ছেলেকে ফেরৎ চাইলে নয়ন মিয়া বলে, বেশী বাড়াবাড়ি করলে ছেলের অবস্থা আরো বেশী ভয়াবহ হবে।ঘটনার স্বাক্ষী শুক্কুর আলীকে চুপচাপ না থাকলে ডিবি পুলিশের হাতে ধরিয়ে দেওয়ার ভয় ও দেখায় নয়ন মিয়া।

প্রবাসী রহমত আলীর বড় ভাই আনছার আলী জানায়,ছোট ভাইয়ের মাধ্যমে জানতে পেরেছি লোভনীয় কথা বলে সৌদি আরব নিয়ে এক ঘরে অসংখ্য প্রবাসী শ্রমিকদের বন্দী করে রাখে এরা ।কাজের কথা বলে নিয়ে এসে বিনাবেতনে কাজ করিয়ে বন্দী করে রেখে ঠিকমতো খেতেও দেয়না। এরচেয়ে জেলখানা অনেক ভালো।

সরেজমিনে পূর্বভাগের বড়ধলিয়া গ্রামে গিয়ে দালাল গিয়াসউদ্দিনের পৌনে দুই কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত অট্র্রালিকার মত বাড়িতে গিয়ে গিয়াস উদ্দিনকে পাওয়া যায়নি। গিয়াস উদ্দিন বাড়িতে থেকেও তার ভাগিনা নয়নকে দিয়ে বলায় যে তিনি আরো বেশ কিছুদিন আগেই সৌদি আরবে চলে গেছেন।তখন নয়ন জাতীয় পার্টি সহ বিভিন্ন দল থেকে আগত বর্তমানে যারা আওয়ামীলীগের কর্ণধান তাদের কথা বলে সেখানে উপস্থিত নয়ন মিয়া সাংবাদিক পরিচয় পাওয়া মাত্রই বাকবিতণ্ডা শুরু করে এবং প্রথমে তার নাম সুমন বলে পরিচয় দেন।পরে অবশ্যই সাংবাদিকের কাছে তার আসল নাম বলতে বাধ্য হয়েছে। নয়নের কাছে তার ও তার মামার বিরোদ্বে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে নয়ন কেকন সদোত্তর না দিয়ে সে জানায় প্রশাসন, পুলিশ,সাংবাদিক, মিডিয়া আমার কিছুই করতে পারবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *