বেগমগঞ্জে খাদ্য বান্ধব ন্যায্যমূল্য তালিকায় ভোক্তাদের অনলাইনে নাম উঠাতে অবৈধ অর্থ আদায়ের অভিযোগ

দেশজুড়ে

সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২২ ৫:২২ অপরাহ্ণ

রিপন মজুমদার (জেলা প্রতিনিধি)

খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির আওতায় ভোক্তাদের অনলাইনে তালিকাভুক্ত করতে গিয়ে বেগমগঞ্জ উপজেলার সকল ইউনিয়ন পরিষদের লোকজন সরকারি বরাদ্দ পেলেও অবৈধভাবে অর্থ আদায়ের গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে।

অভিযোগে জানাযায়, সরকারী খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির আওতায় সারা দেশের মত বেগমগঞ্জ উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নে মার্চ, এপ্রিল, সেপ্টেম্বর, অক্টোবর, নভেম্বর, মাসে প্রতি ইউনিয়নে ২ জন করে মোট ৩২ জন ডিলারের মাধ্যমে প্রায় সাড়ে ৮ হাজার নিম্ন আয়ের মানুষকে প্রতি মাসে ১৫ টাকা দরে ৩০ কেজি চাউল দেওয়া হয়। এদেরকে সঠিক ভাবে অনলাইনে নাম উঠানোর জন্য সরকারি ভাবে নির্দেশ প্রদান করা হয়। এজন্য প্রতি নামের বিপরীতে ২০ টাকা করে বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের লোকজন প্রতিজন থেকে ১০০ থেকে ২০০ টাকা হারে আদায় করছে। এরই মধ্যে প্রায় ১৭ শ লোকের নাম কোন না কোন কারনে বাদ পড়ে যায়। যাদের নাম বাদ পড়ে যায় তাদের স্থানে ইউনিয়ন পরিষদের স্থানীয় চেয়ারম্যানের পছন্দের লোকজনদেরকে অর্থের বিনিময়ে অন্তর্ভূক্ত করা হয়। এ অভিযোগ পাওয়ার পর খাদ্য মন্ত্রনালয়ের নির্দেশে উপজেলা খাদ্য অফিসারের মাধ্যমে অবৈধ অর্থ আদায় রোধ ও সঠিক কার্ড ধারীদের নাম অনলাইনে উঠানোর জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়। সে মতে উপজেলা খাদ্য অফিসারের কার্যালয়ের ১৩.০৩.৭৫০৭.০০২.০৭.০০০.২২-২২৪ নং স্মারকে গত ৪ সেপ্টেম্বর উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তার নির্দেশ দিলেও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগণ আদেশ অমান্য করে নিজেদের পছন্দের লোকজন অন্তর্ভূক্ত করে।

এব্যপারে বেগমগঞ্জ উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা প্রবীর কুমার মন্ডল বলেন, চেয়ারম্যানদেরকে অবৈধ অর্থ আদায় না করা এবং বাদপড়াদের নাম অনলাইনে ঢুকানোর জন্য আদেশ প্রদান করা হয়েছে। কিন্তু সে আদেশ অমান্য করে নিজেদের লোকজনকে অন্তর্ভূক্ত করা হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে সঠিক নাম আসা পর্যন্ত তাদেরকে চাপে রাখা হবে। সরকারিভাবে প্রতি কার্ডের নামের বিপরীতে ২০ টাকা করে বরাদ্দ আছে। অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার ব্যপারে এখনো কোন অভিযোগ পাওয়া পাওয়া যায়নি। পেলে খতিয়ে দেখা হবে।

১নং আমানউল্যাপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান বাহারুল আলম সুমন বলেন, অতিরিক্ত টাকা আদায় ও বাদ পড়া লোকদের নাম অনলাইনে উঠানোর জন্য উপজেলা খাদ্য অফিস থেকে চিঠি দেওয়ার পর কাজ শুরু করা হয়েছে। কোন লোক পরিষদের নাম ভাঙ্গিয়ে অবৈধ টাকা আদায় করে লাভবান হতে চাইলে তাকে কমরে রশি বেঁধে পুলিশে সোপর্দ করা হবে।

৪নং আলাইয়ারপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোঃ গিয়াস উদ্দিন বলেন, সরকারের খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির আওতায় অবৈধ অর্থ আদায় রোধ এবং সঠিক বাদ পড়া ৪২ জনের তালিকা উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তার অফিসে আদেশ মতে কাজ করা হচ্ছে। প্রতি কার্ডের বিপরীতে ১ থেকে ২’শ টাকা আদায় করা হচ্ছে এমন কোন অভিযোগ আসেনি। আসলে যাচাই বাচাই করে সঠিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *