বেকারদের ভাড়া দিতে হয় না যে শহরে

বেকারদের ভাড়া দিতে হয় না যে শহরে

ফিচার স্পেশাল

জানুয়ারি ২৩, ২০২৩ ১০:৩৯ পূর্বাহ্ণ

এমন শহর আছে যেখানে বেকারদের বসবাস। আবার ভাড়াও পরিশোধ করতে হয় না। এমন অনেক শহর আছে এসব শহরের কোনোটি বড়, কোনোটির অবস্থান বিশাল দালানে আবার কোনোটি গুহার ভেতরে। এমনো শহরের অস্তিত্ব আছে যেখানে মৃত্যুও নিষিদ্ধ। জেনে নিন বিশ্বের অদ্ভূত কয়েকটি শহরের তালিকা-

>> ক্যালিফোর্নিয়ার স্ল্যাব শহরে প্রচুর বেকার মানুষের বাস। যদিও ঐ শহরে নেই কোনো বিদ্যুৎ বা জলের ব্যবস্থা। তবে সেখানে থাকলে কোনো ভাড়া দেওয়ারও প্রয়োজন নেই! বলা হয় এটি পৃথিবীর শেষ স্বাধীন শহর।

>>লংইয়ারবায়েন শহরের উত্তরে আছে সালবার্ড এলাকা। আইনত এই শহরে মৃত্যু নিষিদ্ধ। একটি কবরস্থান থাকলেও ৭০ বছর ধরে তা ব্যবহার করা হয়নি। কারণ সেখানকার আবহাওয়া এতই ঠান্ডা যে, মৃতদেহ পচন ধরে না। তাই পশুপাখিরা সহজেই আকৃষ্ট হয়। একটাই শহরেই দুই দেশে অবস্থান! অবাক করা বিষয় হলেও তা সত্যিই। বুজিংহেম আম হোরখায়েন জার্মান শহর হলেও সুইজারল্যান্ডে অবস্থিত। অর্থনৈতিকভাবে সুইজারল্যান্ডের অধীনে পড়লেও, জার্মানির প্রসাশনিক নিয়ম-কানুন মেনে চলা হয় সেখানে।

>>মিশিগানের এক শহরের নাম ‘হেল’ বা ‘নরক’। কেন এই শহরটি নরক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে, তা জানা নেই কারো। তবে শহরের বাসিন্দারা এই নামেই খুশি।

>>বিভিন্ন জিনিসের মতো শহরও কি নকল করা যায়? যদিও নকল করলে চিন পারদর্শী। তাই বলে পুরো এক নকল করে ফেলেছে চিন। অস্ট্রিয়ার হলস্ট্যাট শহরকে হুবহু তৈরি করা হয়েছে চিনে।

>> তিউনিশিয়ার মাতমাতা শহরেরা বাসিন্দারা গুহায় বসবাস করেন। ১৯৭০ সালে এই শহরে কিছু পাকা বাড়ি নির্মাণ করা হয়েছিল বটে। তবে এখনো সেখানকার বেশিরভাগ মানুষ গুহাতে থাকতে পছন্দ করেন।

>>আলাস্কার হুইটিয়ার শহরটি অবস্থিত একটি ১৪ তলা ভবনে। সেখানে আছে একটি গির্জা, দোকান, বাজার, থানা ও হাসপাতাল।

>>মরোক্কোর শিফশাউয়েন শহর পুরোটাই নীল! জানা যায়, ইহুদিরা সেখানে বসবাস করতেন। যাদের কাছে নীল খুবই পবিত্র রং।
শোনা যায়, ১৯৪৭ সালে নিউ মেক্সিকোর রোজওয়েল শহরের বাইরে এক উড়ন্ত যান নেমেছিলো। যদিও এ তথ্য নিয়ে বিতর্ক আছে। তবে এখনো এই শহরে ভিনগ্রহীদের নিয়ে উৎসাহ কম নেই। এ শহরে ভিনগ্রহীদের নিয়ে প্রচুর উৎসব হয়।

>>তেলের খনির দেশ আজারবাইজান। সমুদ্রের উপর ধাতব মঞ্চের উপরই অবস্থিত পুরো শহরে কোনো বাসিন্দা নেই। তবে প্রতিদিন প্রায় দুই হাজার মানুষ এখানে কাজ করতে আসেন।

>>বিশাল একটি আগ্নেয়শিলার উপর পুরো এক শহর! স্পেনের সেটেনিল ডে লাস বদেগাস দেখতে সারা পৃথিবীর লোক ভিড় করেন।

সূত্র: টিভি নাইন বাংলা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *