শ্বাসতন্ত্রের প্রাণঘাতী রোগ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বে মৃত্যুর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। এ ভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ৫৫৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে দেড়শ। এতে বিশ্বে মৃতের সংখ্যা ৬৩ লাখ ৪০ হাজার ৬৬৮ জনে পৌঁছেছে।
একই সময়ে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ৫৬ হাজার ৯৬৫ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমেছে ১ লাখের বেশি। এতে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে ৫৪ কোটি ৪২ লাখ ৫০ হাজার ৩৭০ জনে দাঁড়িয়েছে।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটার থেকে সোমবার সকালের দিকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্যানুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও প্রাণহানি ঘটেছে তাইওয়ানে। এ সময়ে দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৭২ জন এবং নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৫০ হাজার ৬৩৬ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩২ লাখ ৯৫ হাজার ৭৬ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৫ হাজার ২২১ জনের।
আর রাশিয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৬২ জন এবং নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৩ হাজার ৮১ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১ কোটি ৮৩ লাখ ৯৮ হাজার ২৬০ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৮০ হাজার ৪৬৩ জনের।
লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪৭ জন এবং নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ১০ হাজার ৬৯১ জন। অপরদিকে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩ কোটি ১৭ লাখ ৪ হাজার ১৯৩ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ৬৯ হাজার ১০৯ জনের।
আর যুক্তরাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৭ হাজার ৯২৮ জন এবং মারা গেছেন ৩০ জন। করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এ দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৮ কোটি ৮০ লাখ ৪ হাজার ৭৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১০ লাখ ৩৮ হাজার ৩২৩ জন মারা গেছেন।
ইতালিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩০ হাজার ৫২৬ জন এবং মারা গেছেন ১৮ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে ইউরোপের এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৭৮ লাখ ৭৯ হাজার ১৬০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৬৭ হাজার ৭২১ জন মারা গেছেন।
চীনের উহানে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে।
