বিশ্বকাপ ট্রফির ইতিবৃত্ত

খেলা স্পেশাল

জুন ১৯, ২০২২ ৯:৫৫ পূর্বাহ্ণ

বিশ্বের সব থেকে জনপ্রিয় খেলা ফুটবল। ফুটবল গোলের খেলা। ৯০ মিনিটে যে দল বেশি গোল দেবে তারাই জিতবে। তাই এই ৯০ মিনিটের প্রতিটা মুহূর্তই থাকে উত্তেজনায় ঠাসা। দুই দল ছাড়াও দর্শকদের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়ে এ উত্তেজনা। প্রায় ৪ বিলিয়ন মানুষ বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় এই খেলাটি উপভোগ করেন। আরেকটি জরিপে দেখা যায়, বিশ্বের প্রায় ৪৩ শতাংশ মানুষের পছন্দের খেলা হলো এই ‘ফুটবল’। জয়ী দলকেই দেয়া হয় ট্রফি।

ফুটবলের নিয়ন্ত্রণ সংস্থা ফিফা। তারাই বিশ্বের সেরা দল গুলো নিয়ে আয়োজন করে ‘বিশ্বকাপ ফুটবল’। সেরা দলের হাতেই তুলে দেয়া হয় ‘বিশ্বকাপ ট্রফি’। আর তাই ফুটবলপ্রেমীদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু এই ট্রফি। এই ৬.১৭৫ কেজি ওজন আর ৩৬.৮ সেন্টিমিটার এর উচু এই ট্রফিটির সামনে হাজার মিলিয়ন ডলার/ইউরোর সমান ঘরের শোভা পাও্য়া অগণিত খেতাব সব কিছুই যেনো ম্লান।

এটি করো কাছে এক বিরাট এক আক্ষেপের নাম। করো কাছে বা পূর্ণতার এক জ্বলজ্যান্ত নিদর্শন।  অনেক বিশ্বখ্যাত ফুটবলারের ট্রফিটি ছুঁয়ে দেখার সৌভাগ্য হয়নি। ট্রফিটি এখনো উঁচু করে ধরতে পারেননি বিশ্বসেরা ফুটবলার লিওনেল মেসি, ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, নেইমার বা এমবাপের মত ফুটবলাররা।  একজন ফুটবলারের কাছে এক চূড়ান্ত অভিলাষের নাম বিশ্বকাপ ট্রফি। যা উঁচিয়ে জানান দেওয়া যাবে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব।

বিশ্বকাপের যাত্রা শুরু:
১৯৩০ সালে উরুগুয়েতে বিশ্বকাপ ফুটবলের যাত্রা শুরু হয়।  তবে ১৯৭৪ সালে জার্মানিতে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপ থেকে ট্রফিটি বিজয়ী দলকে দেওয়া শুরু হয়।  ১৯৭৪ সালের আগে যে ট্রফিটি বিজয়ীদের দেয়া হতো তা ‘ফিফা ওয়ার্ল্ড কাপ ট্রফি’ নামে পরিচিত ছিল।

জুরেলিমে ট্রফি

জুরেলিমে ট্রফি

জুরেলিমে ট্রফি :
১৯৪৬ সালে ফিফার তৃতীয় প্রেসিডেন্ট ফরাসি নাগরিক স্যার জুরেলিমের নামে ‘জুরেলিমে ট্রফি’ নামে নামকরণ করা হয় এই বিখ্যাত ট্রফিটির। এটি মূলত রূপার উপর স্বর্ণের আবরণ দিয়ে তৈরি গ্রীক দেবী ‘নাইকের’ একটি প্রতিমূর্তি যার নিচের অংশটি নীলকান্ত মণি দিয়ে খচিত। প্রায় ১ কেজি ৮০০ গরম নিখাদ স্বর্ণের পাশাপাশি ট্রফিটিতে ব্যাবহার করা হয়েছিল অনেক মূল্যবান পাথর। ঐতিহাসিক এই ট্রফিটি নকশা করেছিলেন ফরাসি ডিজাইনার আবেল লাফলিউর। এই কাপ টি নিয়ে রয়েছে নানান ধরনের বিচিত্র এবং অদ্ভূত ঘটনা।

ইটালি থেকে ট্রফি রক্ষা:
১৯৩৪ এবং ১৯৩৮ সালে টানা দুবার বিশ্বকাপ জিতে নিজেদের দেশে ট্রফি নিয়ে যায় ইতালি। তারপর শুরু হয় ২য় বিশ্বযুদ্ধ। নাৎসি বাহিনী ইতালি দখলের পর নজর যায় সেই মূল্যবান জুরেলিমে ট্রফিটির উপর। তারা খুঁজতে থেকে ট্রফিটি। তখন সেটি তৎকালিন ফিফা সহ সভাপতি অত্তেরিনো বারোসির হেফাজতে ছিল।  তিনি গোপনে ব্যাংক ভল্ট থেকে কাপটি সরিয়ে ফেলেন। ট্রফিকে বাঁচানোর ক্ষুদ্র প্রয়াস হিসেবে সাধারণ একটি জুতার বাক্সে অবহেলিত ভাবে রেখে দেন তার বাড়ির খাটের নিচে। আশ্চর্যজকভাবে তাতেই নাৎসি বাহিনীর চোখ থেকে রক্ষা পেয়ে যায় ট্রফিটি। আশ্চর্যবশত হলেও সত্যি যে ১৯৫০ সালের বিশ্বকাপটিতে চ্যাম্পিয়ন উরুগুয়েকে এই কাপটির মাধ্যমেই পুরস্কৃত করা হয়। এরপর অঘটনহীনভাবে কেটে প্রায় ২০ বছরের অধিক সময়।

বিশ্বকাপ ট্রফি চুরি উদ্ধার :
১৯৬৬ সালে অনুষ্ঠিত ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে জুরেলিমে ট্রফি নিয়ে সবচেয়ে বেশি তোলপাড় হয়।  টুর্নামেন্ট শুরুর মাসখানেক আগে ওয়েস্ট মিনিস্টারে হলে একটি ডাকটিকিট প্রদর্শনীতে কাপটিকে রাখা হয়। সেখান থেকেই হারিয়ে যায় মহামূল্যবান এই ট্রফিটি। এই ঘটনা নিয়ে সারা বিশ্বে হৈচৈ পড়ে যায়। লন্ডনের তৎকালিন সবচেয়ে প্রশিক্ষিত গোয়েন্দা বাহিনী সপ্তাহখানেক অনুসন্ধান করেও এর হদিস পেতে ব্যর্থ হয়।

এর সপ্তাহখানেক পর দক্ষিণ লন্ডনের একটি থানায় নিজের পোষা কুকুর নিয়ে হাজির ডেবিট করবেট নামে ২৬ বছর বয়সী এক যুবক। তার হাতে ছিল কাগজে মোড়ানো হারিয়ে যাওয়া সেই কাঙ্ক্ষিত ট্রফিটি।

১৯৬৬ সালে ইংল্যান্ডে চুরি হওয়া বিশ্বকাপ ট্রফি উদ্ধারকারী কুকুর পিকলস ও তার মালিক ডেভিড করবেট

১৯৬৬ সালে ইংল্যান্ডে চুরি হওয়া বিশ্বকাপ ট্রফি উদ্ধারকারী কুকুর পিকলস ও তার মালিক ডেভিড করবেট

কারবেট এর ভাষ্যমতে সে তার পোষা কুকুর ‘পিকলোস’ কে নিয়ে সকালে হাঁটতে বের হয়। হঠাৎ রাস্তায় পাশে একটি গাছের আড়ালে দৌড়ে গিয়ে ঘেউ ঘেউ শুরু করে পিকলস। কারবেট সেখানে গিয়ে দেখে গাছের আড়ালে কাগজে মোড়ানো একটি বস্তু। সেটি খুলে দেখতে পান এটাই হারিয়ে যাওয়া জুরেলিমে ট্রফিটি।  ১৯৬৬ সালের বিশ্বকাপ জয়ের পর পিকলস কুকুরের মালিক ডেভিড করবেটকে একটি গালা ডিনারে নিমন্ত্রণ করা হয় এবং পুরস্কার স্বরূপ ৬০০০ পাউন্ড দেওয়া হয়। অন্যদিকে ক্ষুদে তারকা কুকুর পুরস্কার হিসেবে পায় আজীবন ডগ ফুডের যোগান।  এর সাথে এরা দুজন হয়ে যান বিশ্বকাপের ইতিহাসের অংশ।

বিশ্বকাপের আগে জুলে রিমে কাপ উদ্ধার করা যাবে না এই ভয়ে ইংরেজরা তড়িঘড়ি করে আরেকটি রেপ্লিকা কাপ তৈরি করার ব্যবস্থা করে। ১৯৯৭ সালে ইংরেজরা নিরাপত্তার ব্যাপারটি মাথায় রেখে ২৫৪,৫০০ পাউন্ডের বিনিময়ে নিলামের মাধ্যমে ফিফার কাছে সেই রেপ্লিকা কাপটি বিক্রি করে দেয়।

দ্বিতীয়বার বিশ্বকাপ ট্রফি চুরি:
আলোচিত এই বিশ্বকাপ নিয়ে ঘটনার শেষ নেই। তৎকালীন নিয়ম অনুসারে ৩ বার যে দেশ বিশ্বকাপ জিতবে তারাই একেবারে ট্রফিটি নিজের করে নিবে। তারই অংশ হিসেবে ১৯৫৮,১৯৬২ এবং ১৯৭০ সালে বিশ্বকাপ জিতে বিশ্ব সেরা হওয়ার পাশাপাশি আজীবনের জন্যে জুরেলিমে ট্রফিটি নিজেদের করে নেয় ব্রাজিল। কিন্তু এখানে শেষ নয়। ঘটলো নতুন এক অঘটন।

১৯৮৩ সালে ব্রাজিল ফুটবল ফেডরেশন ভবন থেকে আজীবনের জন্যে চুরি হয়ে যায় ঐতিহাসিক এই ট্রফিটি। এই কাজের প্রধান হোতা ছিলেন সার্জিও পেরেইরা আইরেস নামে এক ব্যাংকার এবং তার সাথে সম্পৃক্ত ছিল একজন সাবেক পুলিশ কর্মকর্তাও!

গ্রেফতার হবার পর তাদের ভাষ্যমতে ট্রফি টি গলিয়ে স্বর্ণের বারে রূপান্তর করে। সামান্য কিছু অর্থের লোভে নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় আলোচিত এই ট্রফিটি। যদিও এখনো ব্রাজিলে জুরেলিমে ট্রফিটি আছে তবে সেটা রেপ্লিকা।

ফিফা বিশ্বকাপ ট্রফি

ফিফা বিশ্বকাপ ট্রফি

নতুন বিশ্বকাপ ট্রফি:
১৯৭০ সালে ব্রাজিল জুরেলিমে ট্রফি একেবারে নিজেদের নামে করে নেবার পর তার বদলি হিসেবে নতুন মূল্যবান ট্রফি বানানোর পরিকল্পনা করে ফিফা। যার অংশ হিসেবে বিশ্বব্যাপী সবার কাছে ট্রফির ডিজাইন পাঠানোর আহ্বান জানায় সংস্থাটি। অনেক যাচাই বাছাই করে সাতটি দেশের সেরা ডিজাইনার এবং কয়েকটি নামি দামি সংস্থা থেকে পাঠানো ৫৩ টি নমুনা আলাদা করে রাখা হয়।

সেখান থেকে অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে বেছে নেওয়া হয় ইতালির ভাস্কর সিলভিও গাজ্জানিগার তৈরি ডিজাইনটি যার বাস্তব রূপ হচ্ছে আজকের এই বিশ্বকাপ ট্রফি। ইতালির বিখ্যাত ট্রফি তৈরির কারখানা ‘বার্তোনী’ তে বানানো হয় এটি।

নতুন ট্রফিটিতে ১৮ ক্যারেটের প্রায় ৫ কেজি নিখাদ স্বর্ণ ব্যাবহৃত হয় যার ওজন ৬.১৭৫ কেজি এবং উচ্চতা ৩৬.৮ সেন্টিমিটার। গাজ্জানিগা তার ডিজাইনে যে বিশেষত্বটি ফুটিয়ে তুলে ধরেন সেটি হচ্ছে – দুজন ক্রীড়াবিদ পরস্পর পিছনে ফিরে হাত উচু করে দাঁড়ানো এবং তাদের দুইহাতের মাঝে রয়েছে ভূ – গোলক যার মাধ্যমে বোঝানো হয়েছে – বিশ্ব এখন আমাদেরই। ট্রফিটির নিচের অংশে খোদাই করে লেখা হয় বিশ্বকাপজয়ী দেশের নাম।

১৯৭৪ সাল থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত মোট ১২ টি আসরের বিজয়ী দেশের নাম খোদাই করা আছে। ট্রফিটির এই অংশে যে পরিমাণ জায়গা আছে তাতে ২০৩৮ সাল পর্যন্ত আর মাত্র ৫টি দেশের নাম খোদাই করা যাবে।তবে মজার বিষয় হচ্ছে এই ট্রফিটি কাউকে আজীবনের মতো দেওয়া হবেনা। তবে ২০৩৮ সালের পর এর কি হবে তা ভবিষ্যতেই জানা যাবে। অতীতের সব বাজে অভিজ্ঞতার জন্যে সর্বদা কড়া নজরদারিতে রাখা হয় বর্তমান এই ট্রফিটিকে।

বিশ্বকাপ ট্রফির প্রদর্শনি:
২০০৬ সালের আগ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন দেশের কাছে এই ট্রফিটি থাকতো পরবর্তী বিশ্বকাপ মূল পর্বের ড্র না হওয়া পর্যন্ত। কিন্তু এখন আর এমনটি করা হয় না। বর্তমান ফিফার নিয়মানুযায়ী, প্রতি বিশ্বকাপের জয়ী দল একটি সোনার আবরণে মোড়ানো ব্রোঞ্জের রেপ্লিকা পুরস্কার হিসেবে পেয়ে থাকে।

আসল ফুটবল ট্রফিটি ২০১৬ সাল থেকে সুইজারল্যান্ডের জুরিখের ফিফা ওয়ার্ল্ড ফুটবল মিউজিয়ামে প্রদর্শিত হয়ে থাকে। তাছাড়া এটি শুধু কোকাকোলার সৌজন্যে বিশ্ব ট্রফি পরিভ্রমণে সামিল হয়ে থাকে। ২০০৬ সালে প্রথম বিশ্ব ট্যুরে বের হয় বিশ্বকাপ ট্রফি। বিশ্বকাপ ট্রফির বিশ্ব ভ্রমণের ব্যবস্থা করে বিখ্যাত কোমল পানীয় প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান কোকা-কোলা। যারা সেই ১৯৭৬ সাল থেকেই ফিফার সঙ্গে সংযুক্ত। ফিফার যাবতীয় বৈশ্বিক আসরের মূল সহায়তাকারী তারাই। ১৯৭৮ সাল থেকে অফিসিয়ালি তারা ফিফা বিশ্বকাপের স্পন্সর হিসেবে কাজ শুর করে।

বিশ্বকাপ ট্রফির সঙ্গে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কাজী সালাহউদ্দিন ও বাফুফের নেতৃবৃন্দ

বিশ্বকাপ ট্রফির সঙ্গে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কাজী সালাহউদ্দিন ও বাফুফের নেতৃবৃন্দ

বিশ্বকাপ ট্রফি ট্যুর:
২০০৬ সালের জার্মানি বিশ্বকাপের আগে ট্রফি ট্যুরটি ছিল ৩ মাস লম্বা। ট্রফিটি মোট ২৯ টি দেশ ভ্রমণ করে। অন্যদিকে ২০১০ সালের দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপের আগে এটি ৮৪ টি দেশে ১৩৯,০০০ কিলোমিটার ভ্রমণ করে যার ৫০ টিই ছিল আফ্রিকা মহাদেশের দেশ।
ব্রাজিল বিশ্বকাপের আগে ৯০ টি দেশে বিশ্বকাপ ট্রফিকে স্বাগতম জানানো হয়। ট্যুরটি শুরু হয় রিও ডি জেনেরোতে এবং ২৬৭ দিন পর এটি শেষ হয়।

রাশিয়া বিশ্বকাপের আগে অবশ্য আগের মাইলফলককে অতিক্রম করা সম্ভব হয়নি। ২২ জানুয়ারি, ২০১৮ তে শুরু হওয়া বিশ্বকাপ ট্রফি ট্যুরে মোট ৫১ টি দেশ প্রদক্ষিণ করে এই ট্রফি। ১ মে তে ট্রফিটি রাশিয়া পৌছায় এবং ৯ টি স্বাগতিক শহরে এটি প্রদর্শিত হয়।

১২ মে দুবাইতে কাতার বিশ্বকাপের ট্রফি উন্মোচন করেন দুই কিংবদন্তি ফুটবলার স্পেনের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ইকার ক্যাসিয়াস ও ব্রাজিলের রিকার্ডো কাকা।

১২ মে দুবাইতে কাতার বিশ্বকাপের ট্রফি উন্মোচন করেন দুই কিংবদন্তি ফুটবলার স্পেনের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ইকার ক্যাসিয়াস ও ব্রাজিলের রিকার্ডো কাকা।

২১ নভেম্বর ২০২২ এ শুরু হতে যাওয়া কাতার বিশ্বকাপ উপলক্ষে এবার এবার মোট ৫১টি দেশ ঘুরবে বিশ্বকাপের ট্রফি। এর মধ্যে কাতার বিশ্বকাপে চূড়ান্ত পর্বে খেলা ৩২টি দেশও আছে। এবারই প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারো সবগুলো দেশ ভ্রমণ করবে এই ট্রফি। এরপর ধীরে ধীরে আরও ১৯টি অঞ্চলের মানুষ দেখতে পারবে বিশ্বকাপের প্রতীক। দীর্ঘ ৯ বছর পর এবারই বাংলাদেশেও এসে গেছে এই ট্রফি।১২ মে দুবাইতে ট্রফিটি উন্মোচনের মধ্যে দিয়ে শুরু হয়েছে এই কার্যক্রম। ট্রফিটি উন্মোচন করেন দুই কিংবদন্তি ফুটবলার স্পেনের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ইকার ক্যাসিয়াস ও ব্রাজিলের রিকার্ডো কাকা।

ট্রফির নিরাপত্তা:
বিশ্বকাপ ট্রফির মত এমন নিরাপত্তা হয়তো কোনো দেশের রাষ্ট্রপ্রধানও পান না।  ট্রফির জন্য আছে বিশেষ বিমান। এর জন্যে আলাদা বিমা করেছে ফিফা যার বিমাকৃত মূল্য প্রায় ২ লাখ ৩০ হাজার ডলার। বর্তমানে এটি ফিফার সদর দপ্তর জুরিখে সুরক্ষিত কাঁচে রাখা হয়েছে যাতে কেউ এটি ছুতে না পারে। প্রতিবার বিশ্বকাপ আসর শেষে জয়ী দলের খেলোয়াড়,কোচ,কোচিং স্টাফ, সকল রাষ্ট্র প্রধান,ফিফা প্রেসিডন্ট ছাড়া ক্ষেত্রবিশেষে অন্য কেউ এটি স্পর্শ করতে পারেন। মাঠে ফুটবলারদের পায়ের জাদু,দক্ষতায় এ ট্রফিটি অর্জন করতে হয়। সকলের হাসি কান্না,সফলতা ব্যার্থতার এক নীরব সাক্ষী হয়ে থাকে বিশ্বকাপ ট্রফিটি। এই সোনালী ধাতব বস্তুটিই একজন ফুটবলারের ক্যারিয়ারের পূর্ণতা দান করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *