বিশ্বকাপে কোচের যে সিদ্ধান্তে বিস্মিত হন ডি মারিয়া

বিশ্বকাপে কোচের যে সিদ্ধান্তে বিস্মিত হন ডি মারিয়া

খেলা স্পেশাল

ফেব্রুয়ারি ১, ২০২৩ ৮:৪৫ পূর্বাহ্ণ

কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালে ফ্রান্সকে নাকাল করে ছেড়েছিলেন ডি মারিয়া। লিওনেল মেসির করা পেনাল্টি থেকে গোলে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। দলের দ্বিতীয় গোলটি করে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ডি মারিয়া।

সম্প্রতি আর্জেন্টাইন সংবাদমাধ্যম টিওয়াইসি স্পোর্টসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ফাইনালে পজিশন বদল করে খেলা নিয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেছেন ডি মারিয়া।

সাধারণত রাইট-উইং ধরে খেলে অভ্যস্ত আনহেল ডি মারিয়া। ডান-প্রান্তে বিশ্বের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়দের একজন বিবেচনা করা হয় তাকে। তবে বিশ্বকাপ ফাইনালে তাকে বাঁ-প্রান্তে খেলিয়ে চমকে দিয়েছিলেন আর্জেন্টিনার কোচ লিওনেল স্কালোনি। কোচের এমন সিদ্ধান্ত শুরুতে বিস্মিত করেছিল ডি মারিয়াকে।

এমনকি চোট থেকে ফাইনালের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের একাদশে থাকার বিষয়টিও আশা করেননি এই উইঙ্গার। তবে স্কালোনির সেই কৌশল দারুণভাবে কাজে লেগেছিল।

প্রান্ত বদল করে খেলা প্রসঙ্গে ডি মারিয়া বলেছেন, ফাইনালে বাঁ-প্রান্ত দিয়ে খেলা, এমনকি শুরুর একাদশে থাকার বিষয়টিও আমি আশা করিনি। টুর্নামেন্টে আমাকে ছাড়াও দল ভালোই খেলছিল, তবে স্কালোনি ফাইনালে আমার ওপর আস্থা রেখেছিলেন। অনুশীলনে আমি বেশ ভালো বোধ করছিলাম। বিশ্বকাপ ফাইনালে করা গোলটিকে সবার ওপরে রেখেছেন ডি মারিয়া।

এমনকি সেদিন শুরুতে কোচ স্কালোনির সিদ্ধান্তে বিভ্রান্ত হন ডি মারিয়া। তিনি বলেন, যখন আমি নিজেকে বাঁ পাশে দেখি, ভেবেছিলাম স্কালোনি বিভ্রান্ত। পরে তিনি ব্যাখ্যা করেছিলেন, এই জায়গা দিয়েই আমরা তাদের আক্রমণ করতে যাচ্ছি। আর এই জায়গায় খেলাটা আমার জন্য আনন্দের হবে এবং আমরা পার্থক্য গড়ে দিতে পারব। কারণ এটা তাদের দুর্বল জায়গা। বাঁ-পাশে রেখে তিনি আমাকে বিস্মিত করেছিলেন। তবে এটাই তাঁর কাজ। তিনি জানেন, প্রতিপক্ষের কোথায় আঘাত করতে হবে। এভাবেই আমরা ম্যাচের প্রস্তুতি নিয়েছিলাম।

বিশ্বকাপ জয়ের পর উদযাপন নিয়ে ডি মারিয়া বলেছেন, আমরা জানতাম উৎসবটা বাঁধনহারা হবে। কারণ প্রতিটি ম্যাচের আমরা দেখেছিলাম মানুষ কীভাবে বেরিয়ে এসে উদযাপন করছে। তবে দেশে পৌঁছে আমরা যা দেখেছিলাম, তা আমরা স্বপ্নেও ভাবিনি। মানুষ যেভাবে কাঁদছিল এবং ধন্যবাদ দিচ্ছিল তা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। সেটা সত্যিই আমাদের হৃদয় স্পর্শ করেছে এবং আমরা এটা বেশ উপভোগ করেছিলাম।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *