বিরল এক রেকর্ড গড়লেন ইংল্যান্ডের ক্রিকেটার জনি বেয়ারস্টো। একশ’র বেশি স্ট্রাইক রেইটে টানা দুই টেস্টে সেঞ্চুরি করা ইতিহাসের চতুর্থ ব্যাটার তিনি। ২০১০ সালে একই কীর্তি গড়েছিলেন টাইগার ওপেনার তামিম ইকবাল। তালিকার বাকি দু’জন- পাকিস্তানের শহীদ আফ্রিদি ও নিউজিল্যান্ডের ব্রেন্ডন ম্যাককালাম।
গত কয়েক বছর ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের এন্টারটেইনার ইংলিশরাই। কখনো বেন স্টোকস, কখনো জো রুট কিংবা কখনো জনি বেয়ারস্টো। ইংল্যান্ড সফরে গিয়ে বেয়ারস্টোর রুদ্রমূর্তি দেখছে নিউজিল্যান্ড দল। নটিংহ্যামে ক’দিন আগে মহাচাপের মধ্য থেকে আগ্রাসী এক সেঞ্চুরিতে কিউইদের হাতের মুঠো থেকে জয় ছিনিয়ে এনেছেন। লিডসেও একইরকম দ্যুতি ইংলিশ ক্রিকেটারের ব্যাটে।
প্রথম ইনিংসে কিউইদের ৩২৯ রানের জবাবে ৫৫ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল ইংল্যান্ড। সেখান থেকে দলকে লিড এনে দেন বেয়ারস্টো। অভিষিক্ত জেমি ওভারটনকে নিয়ে গড়েন ২৪১ রানের জুটি। টানা দুই টেস্টে হাঁকিয়েছেন সেঞ্চুরি।
ব্যাক টু ব্যাক সেঞ্চুরিতে বিরল এক রেকর্ড স্পর্শ করেছেন বেয়ারস্টো। প্রথম ইংলিশ আর বিশ্বের চতুর্থ ব্যাটার হিসেবে একশ’র ওপর স্ট্রাইক রেটে হাঁকিয়েছেন টানা দুই টেস্ট সেঞ্চুরি। অনুসরণ করেছেন গুরুর পদাঙ্ক। ইংল্যান্ডের বর্তমান কোচ ব্রেন্ডন ম্যাককালামও ২০১৪ সালে একই কীর্তি গড়েছিলেন। এই রেকর্ডে আছে টাইগাররাও। ২০১০ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে লর্ডস ও ম্যানচেস্টারে অনুরূপ রেকর্ড গড়েছিলেন তামিম ইকবাল। আর তালিকায় প্রথম নামটি- শহীদ আফ্রিদি।
হেডিংলিতে খাদের কিনারা থেকে দলকে টেনে তোলা ইনিংসে সমর্থকদের আরও প্রিয় হয়ে উঠেছেন বেয়ারস্টো। ১৬২ রানের স্কোরটা তার টেস্ট ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ইনিংস। আর ৬ রান করতে পারলেই নিজের সর্বোচ্চ ইনিংসের নতুন রেকর্ড গড়তে পারতেন। তবে, সেটা নিয়ে আফসোস থাকার কথা নয় ফর্মের তুঙ্গে থাকা ব্যাটারের।
শুধু নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এই সিরিজেই নয়, বছরজুড়েই দুর্দান্ত জনি। ২০২২ সালে সাদা পোশাকে এখন পর্যন্ত সাতশ’র বেশি রান করা দ্বিতীয় ক্রিকেটার তিনি। প্রায় সাড়ে ছয়শ’ রান নিয়ে বছরের সর্বোচ্চ স্কোরারের রেইসে আছেন বাংলাদেশের লিটন দাসও। তবে দুজনের একটা বড় পার্থক্য আছে। বেয়ারস্টোর পারফরম্যান্সে হাসিমুখে ইংলিশরা আর লিটনের এতো রান সত্ত্বেও জয় অধরাই থেকে যাচ্ছে টাইগারদের।