বাড়ছে যমুনা নদীর পানি, ভাঙন অব্যাহত

জাতীয় স্লাইড

জুন ২০, ২০২২ ৮:১১ পূর্বাহ্ণ

টাঙ্গাইলে যমুনার পানি বাড়তে শুরু করেছে। নদীতে পানি বৃদ্ধির কারণে শুরু হয়েছে তীব্র নদী ভাঙন। এতে নতুন করে গৃহহীন হচ্ছে নদী পাড়ের মানুষ। এছাড়া নদী পথ পরিবর্তন হওয়ায় নতুন নতুন এলাকায় ভাঙন শুরু হয়েছে। গেল ২৪ ঘণ্টায় ভূঞাপুর যমুনা নদীতে ১০ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ২১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের কষ্টাপাড়া ও চিতুলিয়াপাড়া এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে ভাঙনরোধে স্থানীয়রা স্বেচ্ছাশ্রমে নদীতে বালু ভর্তি প্লাস্টিকের বস্তা ফেলছে। এছাড়া পানি বৃদ্ধি হওয়ায় গাবসারা ও অর্জুনা ইউনিয়ন চরাঞ্চলের কয়েক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বন্যা কবলিত পরিবারগুলোর।

এছাড়া কালিহাতী উপজেলার গোবিন্দপুর, গোহালিয়া বাড়ি ইউনিয়ন এবং টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বেশ কিছু এলাকার নিম্নাঞ্চল পানিতে তলিয়ে গেছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় ১০ হাজার মানুষ। পানিতে তলিয়ে গেছে কয়েক হাজার একর জমির পাট, আউস ধান, তিল, বাদামসহ বিভিন্ন ফসল। তবে যমুনার ভাঙন ঠেকাতে এখনও কোন উদ্যোগ নেয়নি পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ।

অন্যদিকে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বাসাইল উপজেলার বাসাইল দক্ষিণ পাড়া-বালিনা সড়কের একটি অংশ ভেঙে গেছে। বন্যার পানি লোকালয়ে প্রবেশ করে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে।

ভাঙ্গন কবলিত নদী পারের বাসিন্দারা জানায়, গেল কয়েকদিনে যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ইতোমধ্যে ভূঞাপুরের বিভিন্ন এলাকায় শতাধিক ঘর-বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম জানান, যমুনা ও ঝিনাই নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়াও অন্য সকল নদীর পানিও বাড়ছে। এতে করে জেলায় বড় ধরনের বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক আহসানুল বাশার জানান, বন্যায় যমুনা নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল তলিয়ে যাওয়ায় পাট, আউস ধান, তিল, সবজিসহ বিভিন্ন ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক ড. মো. আতাউল গনি জানান, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *