বন্যার্তদের দুঃসময়ে সরকার পাশে রয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

জাতীয়

মে ১৯, ২০২২ ৯:৪২ পূর্বাহ্ণ

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বর্ষা মৌসুমে সিলেটে সবসময়ই ঢল নামে। এ ঢলের পানি দ্রুতই নেমে যেত। কিন্তু সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর তলদেশ ভরাট হওয়ায় নদীগুলোর পানির স্রোত স্বাভাবিক গতি হারিয়েছে। এর ফলে পানি আটকে যাওয়ায় কয়েকদিন কষ্ট করতে হবে। এ পানি দ্রুতই নেমে যাবে। তবে এ দুঃসময়ে সরকার বন্যার্তদের পাশে রয়েছে।

বুধবার দুপুরে সিলেট নগরের চালিবন্দর এলাকার একটি আশ্রয়কেন্দ্রে বন্যার্তদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সিলেটের প্রধান দুই নদী সুরমা ও কুশিয়ারা খনন করতে হবে। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খুবই আন্তরিক। আমরা নদী খননের পরিকল্পনা নিয়েছি। আগামী বর্ষার আগেই নদীগুলো খনন করতে হবে।

মন্ত্রী আরো বলেন, এক সময় সিলেটকে দিঘির শহর বলা হতো। কিন্তু এখন নগরের ভেতরের সব দিঘি ভরাট করে বড় বড় ভবন করা হয়েছে। সব হাওর ভরাট করা হয়েছে। এছাড়া প্রধান নদীগুলোর তলদেশ ভরাট হয়ে গেছে। খালি মাঠগুলোও ভরাট হয়ে গেছে। এ কারণে পানি নামতে পারছে না।

এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী নগরীর ভেতরের পুকুর-দিঘিসহ জলাশয়গুলো রক্ষায় সবাইকে আন্তরিক হওয়ার আহ্বান জানান।

মন্ত্রী আরো বলেন, দুর্যোগ মোকাবিলায় সরকার প্রস্তুত রয়েছে। সিলেটে বন্যাদুর্গত এলাকায় ২৫ লাখ টাকা ও ২০০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে আরো বরাদ্দ দেওয়া হবে। সিলেটের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করে বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সম্পর্কে জানানো হবে। এরপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ত্রাণ বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন- দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব মো. কামরুল হাসান, সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান, সিলেট মহানগর পুলিশের কমিশনার নিশারুল আরিফ, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিধায়ক রায় চৌধুরী, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *