পৃথিবীর কোথায় দেখা মেলে এই ‘সুন্দরীদের’

ফিচার স্পেশাল

জুন ২৫, ২০২২ ১০:০০ পূর্বাহ্ণ

অবুঝ প্রাণীদের প্রতি মানুষের ভালোবাসা রয়েছে। বর্তমানে শহরের অনেক বদ্ধ বাড়িতেও শখের পোষ্য হেসেখেলে বড় হচ্ছে পরিবারের সদস্যের মতো। প্রাণীদের জন্য যত্নেরও কমতি থাকে না। কেউ কেউ প্রাণীদের সাজান বিভিন্নভাবে। এ ছাড়া কিছু অদ্ভুত বন্যপ্রাণীর হদিসও মেলে পৃথিবীর কোথাও কোথাও। তাই বলে লিপস্টিক পরা মাছ, লম্বা কানের ছাগল, নীল ড্রাগন…!

এ রকম কিছু বিচিত্র প্রকৃতির জীবের খোঁজ মিলছে পৃথিবীর কোনায় কোনায়। কখনো সমুদ্রের গভীরে, কখনো-বা জঙ্গলে। এমনই কিছু প্রাণী সম্পর্কে জানা গেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে। চলুন জেনে নেয়া যাক, পৃথিবীর কোথায় হদিস মেলে এই ‘সুন্দরীদের’।

লম্বা কানের ছাগল
সম্প্রতি লম্বা কানযুক্ত একটি ছাগলের খোঁজ মিলেছে পাকিস্তানে। চলতি মাসেই করাচিতে একটি ছাগলের জন্ম হয়। তার মালিক মোহাম্মদ হাসান নারেজো ভালোবেসে ছাগলটির নাম দিয়েছেন ‘সিম্বা’।

সিম্বার কানের দৈর্ঘ্য প্রায় ১৯ ইঞ্চি। এক সাক্ষাৎকারে হাসান বলেন, ‘আজ পর্যন্ত কোনো ছাগলের নাম গিনেস বুকে ওঠেনি। কিন্তু আমার ইচ্ছা, সিম্বার নাম তাতে অন্তর্ভুক্ত হোক।’

প্রচণ্ড তাপমাত্রার সঙ্গে মানিয়ে নিতে অ্যাংলো-নুবিয়ান প্রজাতির ছাগলের কানের দৈর্ঘ্য সাধারণত লম্বা হয়। তবে সিম্বার কান এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রমী। গবেষকরা জানিয়েছেন, জিনগত বৈচিত্র্যের জন্যই সিম্বার কানের দৈর্ঘ্য এত লম্বা।

লিপস্টিক পরা মাছ
মাছের ঠোঁটে লিপস্টিক! হ্যাঁ। এই ব্যাটফিশকে দেখলে মনে হবে যেন ঠোঁটে লাল রঙের লিপস্টিক পরে রয়েছে। প্রশান্ত মহাসাগরের বুকে গ্যালাপ্যাগোস দ্বীপপুঞ্জে ‘রেড লিপড্‌ ব্যাটফিশ’-এর খ‌োঁজ মেলে। যদিও এই মাছ সাঁতার কাটতে অক্ষম। পেক্টোরাল পাখনার সাহায্যে সমুদ্রের গভীরেই বেড়াতে দেখা যায় এদের।

‘গরু নিধনকারী’ পিঁপড়া
‘পান্ডা অ্যান্ট’-এর নাম শুনে মনে হচ্ছে বিশালাকৃতির পিঁপড়া। কিন্তু আদতে তা নয়। পান্ডার গায়ে যেমন সাদাকালো ছাপ রয়েছে, ঠিক সে রকমই ছাপ দেখা যায় পিঁপড়ার শরীরে।

এই পিঁপড়ার কামড় এতটাই যন্ত্রণাদায়ক যে একে ‘গরু নিধনকারী’ বা ‘কাউ কিলার’ও বলা হয়। মেক্সিকো, যুক্তরাষ্ট্র, চিলির বিভিন্ন প্রান্তে ‘পান্ডা অ্যান্ট’ দেখা যায়।

মাকড়সা না কাঁকড়া?
জাপানে এমন এক জীবের সন্ধান মেলে, যা দেখলে সহজে চিনতে পারবেন না এটি মাকড়সা না কাঁকড়া। এর নামও ‘জাপানিজ স্পাইডার ক্র্যাব’। জাপানের স্থানীয় লোকজন একে খাদ্য হিসেবেও গ্রহণ করে থাকে। হোনসু দ্বীপপুঞ্জের দক্ষিণ উপকূলে এটি বেশি সংখ্যায় দেখতে পাওয়া যায়।

নীল ড্রাগন
ড্রাগনের অস্তিত্ব নিয়ে বহু বিতর্ক রয়েছে। তবে ‘ব্লু ড্রাগনের’ উপস্থিতি নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু এই ড্রাগনকে আকাশে উড়তে দেখা যায় না; বরং এর হদিস মেলে ভারত মহাসাগর ও প্রশান্ত মহাসাগরের বুকে।

নীল রঙের এই সামুদ্রিক স্লাগটি দেখতে অবিকল ড্রাগনের মতো। পাকস্থলীর কাছে গ্যাসযুক্ত থলে থাকায় সমুদ্রের পানির ঠিক নিচেই এদের ভেসে থাকতে দেখা যায়।

ব্যাঙের শরীর কাচ দিয়ে তৈরি!
দক্ষিণ আমেরিকায় এমন একটি ব্যাঙের প্রজাতি রয়েছে, যাদের দেখলে মনে হবে, এদের দেহ চামড়ার বদলে কাচের আবরণ দিয়ে তৈরি। ‘গ্লাস ফ্রগ’ নামে পরিচিত এই ব্যাঙের পেটের দিকের চামড়া এতটাই পাতলা যে ভেতরের সব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বাইরে থেকেই বোঝা যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *