পরবর্তী জি-২০ বৈঠকে বাংলাদেশের সক্রিয় অংশগ্রহণ চায় ভারত

পরবর্তী জি-২০ বৈঠকে বাংলাদেশের সক্রিয় অংশগ্রহণ চায় ভারত

জাতীয় স্লাইড

নভেম্বর ২২, ২০২২ ৮:৪৭ পূর্বাহ্ণ

শিল্পোন্নত দেশগুলোর জোট জি-২০-এর আগামী বৈঠকে বাংলাদেশের সক্রিয় অংশগ্রহণ আশা করে ভারত।

সোমবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ কথা জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত নতুন ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কে. ভার্মা।

ঢাকায় ভারতের হাইকমিশনার হিসেবে নিযুক্ত হওয়ার পর আজ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি। এ সময় ভারতীয় হাইকমিশনার বলেছেন, আগামী জি-২০ সম্মেলনের সভাপতি হিসেবে ভারত বিশ্বব্যাপী আলোচনায় পারস্পরিক স্বার্থের বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দিতে চায়। এজন্য এই বৈঠকে ঢাকার সক্রিয় অংশগ্রহণ আশা করে নয়াদিল্লি।

এ সময় সীমান্ত হত্যা শূন্যের কোটায় আনতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, সন্ত্রাসবাদ, মৌলবাদ এবং বিদ্রোহের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স অবস্থা রয়েছে তার সরকারের। আরএসসের বিরুদ্ধে নেওয়া পদক্ষেপের ফলে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার পথ প্রশস্ত করেছে।

সাক্ষাতে ভারতীয় হাইকমিশনারকে স্বাগত জানান এবং বাংলাদেশে তার দায়িত্ব পালনের সময় সফল মেয়াদ কামনা করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হওয়া ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ মানবিক কারণে তাদের আশ্রয় দিয়েছে, কিন্তু এখন এটি দেশের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ এবং বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

তিনি রোহিঙ্গাদের তাদের আদি দেশ মিয়ানমারে দ্রুত প্রত্যাবাসনে ভারতের সমর্থন চেয়েছেন।  উত্তরে হাইকমিশনার জানান, ভারতও এ সমস্যার একটি গ্রহণযোগ্য সমাধান পেতে আগ্রহী। মিযানমারে রোহিঙ্গাদের দ্রুত, নিরাপদ, টেকসই এবং মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে কাজ চালিয়ে যাবে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন বিভিন্নভাবে ভারতের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পরিপূরক। বাংলাদেশ একটি আঞ্চলিক সংযোগ কেন্দ্র হিসেবে অবস্থান করছে এবং ভারতের নিকটতম প্রতিবেশী হওয়ায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পরিকল্পনা অনুসারে সংযোগের দৃষ্টিভঙ্গির সুবিধা পেতে পারে।

ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের বিষয়ে ড. মোমেন বলেন, এ অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে অবাধ ও ন্যায্য সংযোগের ওপর ভিত্তি করে আন্তর্জাতিক নিয়ম ও নিয়মের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *