পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু আজ

পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু আজ

ধর্ম স্লাইড

জুন ২৫, ২০২৩ ৯:৪৫ পূর্বাহ্ণ

পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে আজ। ভোরে সৌদি আরবের মক্কা থেকে মিনার উদ্দেশে যাত্রার মধ্য দিয়ে সূচনা হয়েছে ইসলামের অন্যতম এ স্তম্ভের প্রয়োজনীয় কার্যক্রমের। ২৭ জুন আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করে আল্লাহর দুয়ারে নিজেদের উপস্থিতির জানান দেবেন মুসল্লিরা (হজের মূল অনুষজ্ঞ)। সেদিন ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক’ ধ্বনিতে মুখর হবে ময়দান।

করোনা মহামারির পর এবার সর্বাধিক মুসল্লি পবিত্র হজ পালন করবেন। সৌদি আরবের গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, বাংলাদেশসহ ১৬০ দেশ থেকে ১৬ লাখ পাঁচ হাজার মুসল্লি হাজির হয়েছেন মক্কায়। এর সঙ্গে সৌদি আরবের আরও চার লাখের বেশি মুসল্লি অংশ নেবেন হজে। নিকট ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি গরমও সহ্য করতে হবে এবার হজযাত্রীদের। এই কদিন মিনা ও এর আশপাশের এলাকায় তাপমাত্রা প্রায় ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকবে বলে আবহাওয়া বার্তায় জানানো হয়েছে।

হাজিদের নির্বিঘ্নে হজ পালনের জন্য সৌদি সরকারের পক্ষ থেকে কড়া নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জননিরাপত্তা বিভাগের প্রধান মোহাম্মদ আল বাসামী শনিবার জানিয়েছেন, দুই লাখ ৩৮ হাজার নিরাপত্তাকর্মী হাজিদের সেবায় প্রস্তুত রয়েছেন।

সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহবিষয়ক মন্ত্রী ডা. তৌফিক আল রাবিয়া বলেন, এ বছর ৩২ হাজারের বেশি স্বাস্থ্যকর্মী হজযাত্রীদের সেবা দেবেন। গরমসহ নানাবিধ কারণে কোনো হজযাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পর্যাপ্ত পরিমাণ চিকিৎসা কর্মকর্তা নিয়োজিত রয়েছে। মক্কা, মিনা, আরাফাত ময়দান ও মুজদালিফায় বহু অ্যাম্বুলেন্স, অস্থায়ী চিকিৎসাকেন্দ্র ও হেলিকপ্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এসব এলাকার পথে পথে হাজিদের বিভিন্ন তথ্য দিয়ে সহায়তার জন্য বিভিন্ন ভাষার কয়েক হাজার স্বেচ্ছাসেবী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

২০২২ সালে ৯ লাখ ২৬ হাজারেরও বেশি লোক হজ পালন করেছেন। এর আগের বছর প্রায় ৫৯ হাজার জন হজ পালন করেছেন। করোনা মহামারির আগে ২০১৯ সালে প্রায় ২৫ লাখ লোক হজ পালন করেছেন। এবার কোভিড-১৯ বিধিনিষেধ সম্পূর্ণভাবে তুলে নেওয়া হয়েছে এবং বয়সের সীমা বাতিল করা হয়েছে।

বাংলাদেশ থেকে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এক লাখ ২২ হাজার হজযাত্রী সৌদি পৌঁছেছেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১০ হাজার ৩২১ ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এক লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জন।

মক্কা থেকে মিনার দূরত্ব প্রায় ৮ কিলোমিটার। হজ পালনকারীদের জন্য ৮ জিলহজ জোহরের নামাজের পূর্বে মিনায় পৌঁছা সুন্নত। মিনা প্রান্তরে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় ও রাত্রী যাপন সুন্নত আমল। মিনাতে হাজিদের রাত কাটানোর জন্য আলাদা আলাদা তাঁবু রয়েছে। মিনাকে তাঁবুর শহর বলা হয়। এবার প্রায় এক লাখ অস্থায়ী তাঁবু স্থাপন করা হয়েছে। সবই শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। মিনায় হজ পালনকারীরা ৮ জিলহজ রাত থেকে আরাফাতের ময়দানে চলে যাবেন ৯ জিলহজ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *