পরিচালক রাজ শাণ্ডিল্য়ের ‘জনহিত মে জারি’তে এক কনডম বিক্রেতার ভূমিকায় দেখা গিয়েছে নুসরাতকে। পর্দায় ছক ভাঙার সিদ্ধান্ত নিতেই কুমন্তব্যের শিকার অভিনেত্রী। নেতিবাচকতা ঘিরে ধরে তাকে। সমাজ সচেতনতামূলক ছবি করেছিলেন।
চেয়েছিলেন সতর্কবার্তা ছড়িয়ে দিতে। কিন্তু হিতে বিপরীত! উল্টো অভিনেত্রী নুসরাত ভারুচার গায়েই কাদা ছোড়া হল। ধেয়ে এল কটাক্ষ, কটূক্তি।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এ বিষয়ে মুখ খুলেছেন নুসরাত। তিনি বলেন, ‘এতই নোংরা মেসেজ পাঠানো হয়েছে যে, আমার সঙ্গে আমার পরিবার এবং বন্ধুবান্ধবরাও ভেঙে পড়ে। ওই মেসেজগুলোর কথা ভেবে দু’রাত ঘুমোতে পারিনি।’ প্রথমে যাবতীয় কুমন্তব্যকে এড়িয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন নুসরাত। তারপর মত পাল্টান। তার কথায়, ‘ভেবেছিলাম, এ সব নিয়ে আর ভাবব না। ভুলে যাব। তার পর মনে হল, আমি গণতান্ত্রিক দেশে বাস করি। মত প্রকাশের অধিকার আমার আছে। নিজের কথা কেন বলব না?’
এ ছবি করতে গিয়ে এবং প্রচারের সময় একাধিক বার মুক্তমনা হওয়ার বার্তা দিয়েছেন নুসরাত। কিন্তু দর্শক কি খোলা মনে গ্রহণ করেছে তার ‘জনহিত মে জারি’কে?
প্রথম সপ্তাহে ৩.৩৩ কোটি টাকার ব্যবসা করেছে এই ছবি। শেষমেশ এ অংক কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, এখন সেটাই দেখার বিষয়।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস